Day out Trip: বর্ষা এলেই রূপ খোলে...! শিল্পাঞ্চলের একমাত্র পর্যটনকেন্দ্র এটি, রোজ বিকেলে বসে মেলা! একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন

Last Updated:

Weekend Trip: বর্ষায় শিল্পাঞ্চলের একমাত্র পর্যটনকেন্দ্র হয়ে ওঠে দামোদর নদের ওপর গড়ে ওঠা দুর্গাপুর ব্যারেজ। বর্ষা এলেই দুর্গাপুর ব্যারেজের অপরুপ সুন্দর দৃশ্য দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা। এই সময় ব্যারেজের লকগেট থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়। ফলে ব্যারেজের জলাধারের নিম্নমুখী জলের প্রবাহ মুগ্ধ করে তোলে পর্যটকদের।

+
দামোদর

দামোদর নদ

দীপিকা সরকার, দুর্গাপুর: একটিও নদী নেই শিল্পশহর দুর্গাপুরে! তবে জানলে অবাক হবেন দু’টি নদের মাঝে গড়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চল। আর এই বর্ষায় শিল্পাঞ্চলের একমাত্র পর্যটনকেন্দ্র হয়ে ওঠে দামোদর নদের ওপর গড়ে ওঠা দুর্গাপুর ব্যারেজ। বর্ষা এলেই দুর্গাপুর ব্যারেজের অপরুপ সুন্দর দৃশ্য দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা। এই সময় ব্যারেজের লকগেট থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়। ফলে ব্যারেজের জলাধারের নিম্নমুখী জলের প্রবাহ মুগ্ধ করে তোলে পর্যটকদের। আর তার বিপরীতে ব্যারেজের জলাধারে এই সময় অথৈ জল। ব্যারেজের দুই পাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আকর্ষিত করে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
বিকেল বেলায় এখানে একপ্রকার পর্যটকদের মেলা বসে যায়। দুর্গাপুর ব্যারেজের আরেকটি মূল আকর্ষণ নদের নানা প্রজাতির টাটকা মাছ। চিংড়ি, রুই, কাতলা, বোয়াল, বান, সিঙ্গি, বাটা ইত্যাদি নানান প্রজাতির টাটকা মাছ নিয়ে পসরা সাজায় ব্যারেজের মৎস্যজীবীরা। বহু মানুষ ভিড় করে পছন্দসই মাছ কিনে নিয়ে যান। এছাড়াও বর্ষা স্পেশাল ভুট্টা পোড়া, আইসক্রিম, ফুচকা, পাপড়ি চাট, ঝাল মুড়ি ইত্যাদি নানান খাবারের দোকান বসে এখানে। জলাধারের ওই মনোরম প্রকৃতির অনুভূতির পাশাপাশি মুখরোচক খাওয়া দাওয়ায় মেতে ওঠেন সকলে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রতিটি ইটে ঠাসা ইতিহাস, ৩০০ বছরের ইতিহাস খসে পড়ছে বয়সের ভারে, ‘এই’ মন্দির হতে পারে পর্যটনকেন্দ্র, কোথায় জানেন?
তবে এই নদী এবং নদের পার্থক্যটা অনেকেরই অজানা। চলতি কথায় নদ কেও আমরা নদী বলেই অভিহিত করি। তবে কেন কিছু নদীকে নদ এবং কিছু নদীকে নদী বলা হয় জানেন। যে জলধারার শাখা প্রশাখা থাকে  তাকে নদী বলা হয়। আর যে জলধারার সাধারণত কোনও শাখা থাকে না, তাকে নদ বলা হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দামোদর ও অজয় নদের ভৌগোলিক স্থান বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলার মানচিত্রে পড়ে। দামোদর নদের ওপর ব্যারেজ গড়ে তোলা হয় ১৯৫৫ সালে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফুটপাথে ছিল ছোট্ট বিরিয়ানির দোকান, দু-এক বছরেই ৩ বিরাট দোকানের মালিক ‘এই’ বিরিয়ানি-ওয়ালা, নজরকাড়া সাফল্য, চিনুন তাঁকে…
ওই জলাধার থেকে শিল্প ও কৃষিকার্যের জন্য জল সরবরাহ করা হয়। ব্যারেজে মোট ৩৪টি লক গেট রয়েছে। বিহার-ঝাড়খণ্ডে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে ব্যারেজের জলাধার ভরে ওঠে। তখনই জল নিয়ন্ত্রণ করতে লকগেট খুলে জল ছাড়া হয়। ওই নিম্নমুখের জল প্রবাহ অশান্ত রূপে বয়ে চলে।কিছু মানুষ নদীর রুদ্র ও অশান্ত রূপের মধ্যে সৌন্দর্য খুঁজে পান। আবার ব্যারেজের জলাধারের শান্ত ও স্নিগ্ধ রূপ পছন্দ করেন কিছু কিছু মানুষ।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Day out Trip: বর্ষা এলেই রূপ খোলে...! শিল্পাঞ্চলের একমাত্র পর্যটনকেন্দ্র এটি, রোজ বিকেলে বসে মেলা! একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement