এখনও কাটেনি বিপদ; কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে দীপাবলি পালন করতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম!

Last Updated:

স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করে আলোর উৎসব উদযাপনে যথাযথ সতর্কতা ও যত্ন নেওয়া অপরিহার্য।

#কলকাতা: দীপাবলির আর বাকি মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। আর দীপাবলি মানেই আলোর রোশনাই, খাওয়া-দাওয়া সহ প্রিয়জনদের সঙ্গে অনেক আনন্দ। কিন্তু বিগত দেড় বছর ধরে করোনার প্রকোপ পড়েছে সব উৎসবেই। আগামী দিনে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসা নিয়েও বেশ উদ্বেগ রয়েছে। তাই স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করে আলোর উৎসব উদযাপনে যথাযথ সতর্কতা ও যত্ন নেওয়া অপরিহার্য।
দীপাবলিতে ঘরে বাইরে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যায় বলেও সতর্ক থাকতে হবে। যদিও আমরা সাধারণত বাইরের দূষণের উপর বেশি চিন্তিত থাকি কিন্তু আমাদের বাড়ির ভিতরে দূষণের মাত্রা অনেক বেশি হতে পারে যা আমাদের শ্বাসতন্ত্র, হার্ট এবং ইমিউন সিস্টেমের জন্য বিপজ্জনক। বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণে ক্ষেত্রে বায়ুদূষণ আমাদের জন্য আরও ক্ষতিকর। তাই আতসবাজি বাদ দিয়ে পরিবেশ-বান্ধব পটকা এবং প্রদীপ দিয়ে দীপাবলি উদযাপন করাই শ্রেয়। তবে অবশ্যই ঘরের বাইরে যাতে বাজি ফাটানো হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একই সঙ্গে বাড়িতে পুজোর জন্য পরিবেশ-বান্ধব ধূপকাঠি এবং দাহ্য উপাদান ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে যতটা সম্ভব বাড়ির বায়ুচলাচল ঠিক রাখতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্ল্যান্ট লাগালেও কিছুটা লাভ পাওয়া যাবে। তবে সব চেয়ে ভালো উপায় হল বাড়িতে একটি উচ্চ-ক্ষমতা যুক্ত এয়ার পিউরিফায়ার যন্ত্র লাগানো যা শুধুমাত্র দীপাবলিতেই নয়, সারা বছরই আমাদের বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে সাহায্য করবে।
advertisement
advertisement
দীপাবলি সুস্থভাবে উদযাপন করার ৮ গুরুত্বপূর্ণ টিপস রইল-
শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা
করোনার তৃতীয় ঢেউকে আটকাতে আমাদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সকলের সঙ্গে মিলিত হওয়া উচিত। যে কোনও ভিড়ের জায়গায় ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্যানিটাইজার খুবই দাহ্য বস্তু হওয়ায় মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালানোর আগে অ্যালকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত নয়।
advertisement
মাস্ক ব্যবহার
কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ ছাড়াও দীপাবলিতে মাস্কের ব্যবহার খুবই জরুরি। আতসবাজির ধোঁয়া শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষতি করতে পারে যা থেকে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা, কাশি বা চোখে জ্বালাপোড়ার মতো শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে।
advertisement
সঠিক পোশাক পরা
যদিও দীপাবলিতে সুন্দর পোশাকে নিজেকে সকলেই সাজাতে চান, বেশিরভাগ মানুষেই শিফন, জর্জেট, সাটিন এবং সিল্কের কাপড় বেশি পছন্দ করেন, কিন্তু এই ধরনের পোশাকে আগুন তাড়াতাড়ি ধরে যেতে পারে। তাই পরিবর্তে, সুতি সিল্ক, সুতি বা পাটের ঢিলেঢালা পোশাক পড়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া
দীপাবলি মানেই মিষ্টি, স্ন্যাক্সস এবং বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের সমারোহ। কিন্তু এই ধরনের খাবার মাত্রাতিরিক্ত খেলে পেট খারাপ, গ্যাস, অম্বল হতে পারে। তাই জাঙ্ক ফুড পরিমিত খাওয়াই ভালো। পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার, ফল এবং বাদাম খাওয়া যায়। একই সঙ্গে নিজেকে হাইড্রেটেড এবং সতেজ রাখতে প্রচুর জল খেতে হবে।
advertisement
আতসবাজিতে 'না'
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ৩০টি শহরের মধ্যে ভারতের স্থান ২২ নম্বরে। তাই দীপাবলিতে যে কোনও ধরনের আতসবাজি পোড়ানো দেশের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। আতসবাজির কার্বন কণাগুলি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসও হতে পারে। এছাড়াও, কোভিড রোগীদের শ্বাসতন্ত্রে খুবই প্রভাব ফেলে। তাই কোভিড পরিস্থিতিতে আতসবাজি ফাটানো বেশ বিপদজ্জনক ।
advertisement
ওষুধ খেতে ভুললে চলবে না
দীপাবলিতে অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়মিত ওষুধ খাওয়া ভুললে চলবে না। চাইলে মোবাইলে রিমান্ডার দিয়ে কিংবা বাথরুমে, সামনের দরজায় অথবা অন্য কোনও চোখে পড়ার মতো জায়গায় ওষুধ খাওয়ার কথা লিখে রাখা যায়।
কোভিড ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক
কোভিড ১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্যাকসিন দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রমাণিত যে কোভিড ১৯ পজিটিভ রোগীর শরীরে ভয়াবহতা ঠেকাতে ভ্যাকসিন কার্যকরী। শরীরে অন্য কোনও রোগের ঝুঁকি থাকলেও কোভিড রোগীদের শরীরে ভ্যাকসিন ভালো কাজ করে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
এখনও কাটেনি বিপদ; কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে দীপাবলি পালন করতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম!
Next Article
advertisement
Maharashtra Doctor Death Update: কী চলত সরকারি হাসপাতালে, কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? বিরাট কেলেঙ্কারি ফাঁস
কী চলত সরকারি হাসপাতালে,কেন নিজেকে শেষ করলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? কেলেঙ্কারি ফাঁস
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার পরিবার৷ মৃতার এক সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হত৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement