#নয়াদিল্লি: কোভিডের চোখরাঙানিতে গত দু’বছর ধরে বন্দীজীবনে হাঁপিয়ে উঠছে মানুষ। এখন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে এই মারণ রোগ। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জীবন। খুলে গিয়েছে অফিস-কাছারি, খুলেছে স্কুলও। আর স্কুলের পঠন-পাঠন শুরু হওয়ায় ফের স্কুলে ফিরছে বাচ্চারা। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা, হই-হুল্লোড়, টিফিন ভাগ করে খাওয়া, খোলা মাঠে খেলাধুলো- সব মিলিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত তারা।
এ দিকে আবার চৈত্রেই চোখ রাঙাচ্ছে তাপপ্রবাহ। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ তো এখনও ঢের দেরি। দিন-দিন তাপমাত্রার পারদ এতটাই চড়ছে যে, বাড়ির বাইরে পা রাখাই দুষ্কর হয়ে উঠছে। এমনকী হাওয়া অফিসের ভবিষ্যদ্বাণী, উত্তর-পশ্চিম, মধ্য, পূর্ব এবং উত্তর ভারতের সমতল ভূমিতে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। অন্যদিকে, আবার বাচ্চারা এত দিন ধরে বাড়িতেই পড়াশুনো করেছে। এ বার ফের বাইরে বেরোনোর ফলে তাপপ্রবাহের প্রভাব তাদের শরীরে পড়তেই পারে। আর গরমের ছুটি পড়তেও এখনও বহু দেরি। ফলে গরমের দাবদাহ থেকে শিশুদের রক্ষা করাটাই এখন মূল লক্ষ্য। দেখে নেওয়া যাক, গরমের তীব্রতা থেকে শিশুদের বাঁচাতে কী কী করণীয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পোষ্যদিবস, পালন করুন দিনটি, উদযাপন করুন আপনার প্রিয় বন্ধুটির সঙ্গে
হাইড্রেশন জরুরি:
গরমের দিনে শিশুদের ডিহাইড্রেশন হতে পারে। যার ফলে তাদের ক্লান্তি ভাব আসতে পারে। এমনকী এই সময় বাচ্চাদেরও হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গরমকালে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। এমনকী বাচ্চাদের জল তেষ্টা না-পেলেও যেন তারা সারা দিনে ২-৩ লিটার জল খায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সব সময় জল খেতে ভালো না-লাগলে ডাবের জল, লেবু জল, বেলের সরবতও খাওয়ানো যেতে পারে।
রোদে বেরোনো চলবে না:
অনেক বাচ্চা হয় তো খেলতে কিংবা সাইকেল চালাতে যেতে চাইবে, সেক্ষেত্রে দুপুরবেলা তাদের বেরোতে দেওয়া চলবে না। শিশুকে ঘরের মধ্যে খেলতে বলতে হবে এবং রোদ না-পড়ে আসা অবধি অপেক্ষা করতে হবে। কারণ সূর্যের তাপ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই বিকেল ৫টার পরে কিংবা সন্ধ্যেবেলা বাচ্চাদের বাইরে বেরোতে দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: গরমে শিশুদের মধ্যে বাড়ছে পেটের অসুখ, কী করে খেয়াল রাখবেন?
সানস্ক্রিনের ব্যবহার মাস্ট:
সানস্ক্রিন শুধু বড়দের নয়, ছোটদের জন্যও খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ বড়দের তুলনায় ছোটদের ত্বকে অনেক বেশি র্যাশ, সানবার্ন এবং ব্রন হতে পারে। তাই দিনের বেলা বাইরে বেরোতে হলে বাচ্চাদের শরীরের উন্মুক্ত জায়গায় ভালো ভাবে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুললে চলবে না। টুপি এবং ছাতাও তীব্র রোদ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
হালকা পোশাক:
গরমে সব সময় হালকা রঙের সুতির পোশাক পরানোই ভালো। কারণ হালকা রঙের সুতির পোশাক কম তাপ শোষণ করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, সুতির জামাকাপড় পরলে গরম থেকে ত্বকে র্যাশ এবং চুলকানিও হয় না।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট:
মরসুমের কথা ভেবে হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ফ্যাটযুক্ত কিংবা ভাজাভুজি জাতীয় খাবার থেকে এই সময় ডায়েরিয়া এবং বমি হতে পারে। তাই মরসুমি, টাটকা এবং সবুজ ফল ও সবজি ডায়েটে রাখা উচিত। মরসুমি খাবার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ইমিউনিটিও বাড়ায়।
হিট স্ট্রোকের উপসর্গের উপর নজর:
সব রকম সতর্কতা মেনে চলা সত্ত্বেও গরমের তাপে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই হিট স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণের বিষয়ে জানা জরুরি, যাতে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করে জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়।
এক্ষেত্রে সাধারণ লক্ষণগুলি হল:
*অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
*বিবর্ণতা বা ফ্যাকাশে ভাব
*পেশিতে ক্র্যাম্প
*ক্লান্তি
*দুর্বলতা
*আচ্ছন্নভাব
*মাথাব্যথা
*বমি কিংবা বমি-বমি ভাব
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।