#কলকাতা: অনেক দিন পাশাপাশি থাকার পর কাছের মানুষকে ছেড়ে যাওয়া কথা ভাবলেই আমরা শিউরে উঠি। আসলে আমাদের কাছের মানুষটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক সুন্দর দিন, রঙিন মুহূর্ত আর অসংখ্য ইমোশন। এত কিছুর পরেও কখনও কখনও সম্পর্কে চিড় ধরে। অশান্তি অথবা মনোমালিন্যের সঙ্গে বাড়তে থাকে তিক্ততা, অগত্যা ইতি টানতেই হয়। কিন্তু এখানেই সমস্যার শেষ নয়, হয় তো উল্টোদিকের মানুষটা নানান অজুহাত দেখিয়ে সম্পর্ক শেষ করতে দেবে না, ফলে ঝামেলা আরও বাড়ে। কী কী কারণে এই ধরনের সমস্যা হয় আসুন জেনে নিই!
পার্টনার দাপুটে অথবা ক্ষমতাপ্রিয় হলে
অনেক পার্টনারই ক্ষমতা পছন্দ করেন। উল্টোদিকের মানুষটি কী ভাবছেন বা তার মতামত কী, এসবের তোয়াক্কা করে না। সম্পর্ক শেষ করার ব্যাপারে যদি পার্টনার নিজের মতকেই প্রাধান্য দিতে চায়, তাহলে বুঝতে হবে সে ক্ষমতাপ্রিয়। সেক্ষেত্রে নিজের ওপর একটু ভরসা দিয়ে সাহসী হতে হবে। নিজেকে বোঝাতে হবে জীবন যেহেতু আমার তাই সম্পর্কের বিষয়েও আমার মতের দাম আছে।
পার্টনার নির্ভরশীল প্রকৃতির হলে
আমরা প্রত্যেকেই তো কাছের মানুষের থেকে একটু-আধটু যত্ন পেতে ভালোবাসি। সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে স্বভাবতই ইমোশনাল কানেকশনটাও হারিয়ে যায়। পার্টনারের মধ্যে এধরনের প্রবণতা দেখা দিলে বুঝতে হবে সে নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য বা দেখাশোনার জন্য সম্পর্ক ভাঙতে চাইছে না। সেক্ষেত্রে সে বার বার এইসব বলে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে।
নতুন করে সম্পর্কে জড়াতে না চাইলে
অনেক পার্টনারই এরকম বলে থাকেন যে তারা আর নতুন করে সম্পর্কে জড়ানোর ঝামেলায় পড়তে চায় না। দীর্ঘদিন কমফর্টেবল জীবন কাটানোর পর এটা সাধারণত হয়। তাই শুরু থেকেই সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হওয়ার পরিবর্তে একে অপরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও সচেতন থাকা উচিত।
পার্টনার শারীরিক সম্পর্কে নিরাপত্তা চাইলে
দীর্ঘ দিনের সম্পর্কে শারীরিক নিরাপত্তা তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু ব্রেক আপের পরিস্থিতিতে পার্টনার শারীরিক সম্পর্কে নিরাপত্তা আনতে অনেক সময় উল্টো দিকের মানুষটিকে ছাড়তে চায় না।
পার্টনার অহংকারী হলে
রিজেক্টেড হতে আমাদের কারও ভালো লাগে না। এই প্রবণতাই অনেক সময় সম্পর্কে বিপদ ডেকে আনে। রিজেক্টেড হওয়া মানুষটি আত্মমর্যাদায় ঘা লাগার কারণে সম্পর্ক ভাঙতে দিতে চায় না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।