#হিমাচলপ্রদেশ: স্নো লেপার্ড। বরফে ঢাকা পাহাড়ে এদের বাস। চট করে এদের দেখা মেলা মুশকিল। তাঁর প্রথম কারণ পাহাড়ের ওই উচ্চতায় পৌঁছতে হলে দরকার সাংঘাতিক সাহস। প্রথমত টেম্পারেচার এতটাই কম থাকে যে সকলের পক্ষে স্নো লেপার্ড দেখা সম্ভব না। তবে ভারতের বেশ কিছু ফটোগ্রাফার আছেন, যারা স্নো লেপার্ডের একটা ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। বহু বছরের প্রচেষ্টায় হয়তো দেখা মেলে একটা স্নো লেপার্ডের।
তবে এবছরের মার্চেই হিমাচল প্রদেশের কাজাতে স্নো লেপার্ডের দেখা পেলেন ভারতীয় ফটোগ্রাফার যশ আদুকিয়া। সকাল ৮ টায় রামপুর বুশার থেকে যাত্রা শুরু করে ৪০০০ মিটার পাহাড় চড়ার পর যশ ও তাঁর দল পৌঁছায় কাজাতে । রাত তখন সাড়ে ৯টা। এর পরদিন সকাল থেকে স্নো লেপার্ডের খোঁজে তাঁরা মেতে থাকেন। লের্পার্ডের পায়ের ছাপ দেখেই তাঁদের আনন্দের সীমা ছিল না। সে সময় কাজাতে তাপমাত্রা মাইনাস ৭ ডিগ্রি। এর পর তাঁরা পৌঁছে যান কিবেরে। দিনের বেলায় সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি। এই অবস্থায় লেপার্ডের খোঁজ চালানো অনেকটা যুদ্ধ জয়ের মতোই। এর পরদিন সকালে গাইডের কথা মতো স্নো লেপার্ডের খোঁজে যান যশ। আরও ৩০ মিনিট পাহাড় চড়ার পর মা স্নো লেপার্ডের দেখা পান। এই স্নো লেপার্ডটির চারটে ছোট বাচ্চাও ছিল। অন্য একটি পাহাড়ে ছিল। দূরবিনের সাহায্যে তাদের দেখা মিলল।
যশ জানিয়েছেন, " প্রথমবার যখন স্নো লেপার্ডটিকে দেখতে পেলাম আমার চোখ দিয়ে জল পড়ছিলো। এ এক চীরস্মরণীয় দৃশ্য। যা কখনও ভোলার নয়। আমাদের উপস্থিতিতে ওরা একটু বিরক্তই হচ্ছিল। তবে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে চারটে স্নো লেপার্ড দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।" মার্চ মাসে হিমাচল প্রদেশের কিবেরে স্নো লেপার্ড দেখতে হলে ভাগ্যের দরকার। যশ এই স্নো লেপার্ডের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়। এই রেয়ার লেপার্ড অনেক দিন পর কারও ক্যামেরায় ধরা দিল। তবে এই সময়টায় অনেক ফটোগ্রাফারই স্নো লেপার্ডের খোঁজে যান। এর আগেও অনেকের ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছে স্নো লেপার্ডের ছবি। যদিও বলা হচ্ছে ভারতে আট বছরের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। সেখানে লেপার্ডের কাউন্টও আছে। তবে আলাদা করে স্নো লেপার্ডের কাউন্টিংও হয়। কিন্তু স্নো লেপার্ড খুঁজে পাওয়াই মুশকিলের।