Lata Mangeshkar : আম, জাফরান সুবাসিত গাজরের হালুয়া এবং আশা ভোঁসলের তৈরি শাম্মি কাবাব ছিল সুরসম্রাজ্ঞীর পছন্দের শীর্ষে

Last Updated:

Lata Mangeshkar : ভোজনবিলাসিতা হার মানত তাঁর আপসহীন সঙ্গীত সাধনার কাছে৷ কোনও রেকর্ডিং বা কনসার্টের আগে খেতেন যৎসামান্য৷ রেকর্ডিং বা অনুষ্ঠান সমাপ্ত হলে অবশ্য খেতেন তৃপ্তি করেই৷

‘‘ আমি সঙ্গীতসাধনা কোনওদিন বন্ধ করব না৷ যখন মৃত্যু হবে, আমার গানও আমার সঙ্গেই যাবে’’-বলেছিলেন কিন্নরকণ্ঠী৷ সঙ্গীতের পাশাপাশি তাঁকে জড়িয়ে ছিল তাঁর শিকড়ও৷ সেই শিকড়ের স্পর্শ খুঁজে পাওয়া যেত লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) পছন্দের খাবারে৷ খেতে ভালবাসতেন, প্রিয়জনকে খাওয়ানোতেও ছিলেন খুব আন্তরিক৷ তাঁর নিজের পছন্দের শীর্ষে ছিল বোন আশার (Asha Bhosle) তৈরি খাবার৷
আশা নিজেই একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি শিল্পী না হলে রন্ধনশিল্পী হতেন৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছে তাঁর রেস্তরাঁ৷ রন্ধনপটিয়সী বোনের হাতে তৈরি শাম্মি কাবাব খুব ভালবাসতেন লতা৷ সবাইকে বলতেন, তাঁর বোনের মতো রাঁধতে কেউ পারে না৷ এক সাক্ষাৎকারে আশা বলেছিলেন, লতা ক্বচিৎ তাঁর কাছে শাম্মি কাবাব খাওয়ার আর্জি জানাতেন৷ আর ভালবাসতনে মাটন কোরিয়্যান্ডার৷ কাঠকয়লার আঁচে রান্না করা খাবার খেতেন খুব তৃপ্তি করে৷
advertisement
তবে ভোজনবিলাসিতা হার মানত তাঁর আপসহীন সঙ্গীত সাধনার কাছে৷ কোনও রেকর্ডিং বা কনসার্টের আগে খেতেন যৎসামান্য৷ রেকর্ডিং বা অনুষ্ঠান সমাপ্ত হলে অবশ্য খেতেন তৃপ্তি করেই৷ সব সময় সঙ্গে রাখতেন মধু এবং জল৷ কথায় কথায় এক বার এক সাক্ষাৎকারে লতা বলেছিলেন যশ চোপড়ার বাড়িতে নৈশাহারের আমন্ত্রণের অমলিন স্মৃতি৷ অসামান্য মোগলাই খাবারের সঙ্গে আলোচনা চলত সঙ্গীত নিয়ে৷
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : সরস্বতী পুজোর পরই আসে শীতল ষষ্ঠী, গোটা সিদ্ধর স্বাদ যেন সন্তানের জন্য মায়ের স্নেহের মতোই অমলিন
দৈনন্দিন জীবনের আহার ছিল বিলাসিতাবর্জিত৷ পুরনো সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, সকাল ছ’টায় এক গ্লাস উষ্ণ জল পান করে তাঁর দিন শুরু হত৷ তার পর জলখাবার৷ বিস্কুটের সঙ্গে চা বা কফিপানও ছিল খুব তৃপ্তিদায়ক৷ কিংবদন্তি শিল্পী নিজেই বলেছিলেন, ‘‘আমি সবই খাই খুব অল্প পরিমাণে৷ তেল ও আচারও খাই৷ মশলাদার খাবার ভালবাসি, বিশেষ করে লঙ্কা, কিন্তু ইদানীং এ সব এড়িয়ে চলি৷ তবে হ্যাঁ, ঠান্ডা জল আমি একদমই পান করি না৷ টকজাতীয় খাবার এবং দই-ও এড়িয়ে চলি৷’’
advertisement
আরও পড়ুন : ছেলেমেয়ের জন্য বাড়িতেই রাঙিয়ে তুলুন বাসন্তী পাঞ্জাবী ও শাড়ি, রইল সহজ পদ্ধতি
মঙ্গেশকর পরিবারের শিকড় বিস্তৃত গোয়ায়৷ একটা সময় সামুদ্রিক খাবারও তিনি ভালবাসতেন৷ একইসঙ্গে নিরামিষ খাবারেও ছিল সম্রাজ্ঞীর অনায়াস গতি৷ সব রকমের সব্জি খেতেন৷ দুপুরের আহারে সাধারণত থাকত রুটি, তরকারি এবং অবশ্যই ডাল৷ আর ভালবাসতেন আম এবং মিষ্টি৷ গাজরের হালুয়া বা দুধ বাদামের শরবতই হোক, তিনি বেশি করে মিশিয়ে নিতেন জাফরান৷
advertisement
তাঁর ব্যক্তিত্বের শান্ত, স্নিগ্ধ মাধুর্য ও সারল্য প্রতিফলিত হয়েছিল যাপনেও৷
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Lata Mangeshkar : আম, জাফরান সুবাসিত গাজরের হালুয়া এবং আশা ভোঁসলের তৈরি শাম্মি কাবাব ছিল সুরসম্রাজ্ঞীর পছন্দের শীর্ষে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement