রক্তশূন্যতা থেকে ডায়াবেটিস একাধিক রোগের মহাষৌধ কারিপাতা! এর গুণাগুণে দূর হবে হাজার ব্যাধি, জানুন

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিসের সমস্যায় কারি পাতা খুবই উপকারী।হেলথলাইনের খবর অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য আমাদের শরীরের অনেক ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন এবং কারি পাতা এই চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: শরীর সুস্থ রাখতে রোজ খান কাঁচা ছোলা, এর পুষ্টিগুণ জানলে চমকে যাবেন

কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ২, বি৬, বি৯ পাওয়া যায়।

কারি পাতা চুল পড়া রোধ করে। ঘন ও লম্বা চুল পেতে শরীরে ভিটামিন বি২, বি৬ এবংবি৯ প্রয়োজন এবং এই উপাদানগুলো কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। অতএব, চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ কারি পাতা খাওয়া যেতে পারে।সকালে ঘুম থেকে উঠে জল পান করার পর কারি পাতা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে ।

কারি পাতা হজমশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে।  সকালে খালি পেটে কারি পাতা খেলে হজমে সাহায্য করে। খালি পেটে খাওয়া হজমের এনজাইম বাড়ায় এবং শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে। কারি পাতা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: রান্নাঘরের এই উপাদানেই ম্যাজিক! শুধু মুখশুদ্ধিই নয় এর চমৎকার গুণে দূর হবে একাধিক সমস্যা, জেনে নিন

কারি পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারি পাতায়  আছে ডাইক্লোরোমেথেন, ইথাইল অ্যাসিটেট এবং মহানিম্বিনের মতো উপাদান।  কারি পাতা কোলেস্টেরল কমাতেও অত্যন্ত সাহায্য করে।

রক্তশূন্যতায়ও কারি পাতা খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি অ্যানিমিয়া বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক পাওয়া যায় যা রক্তাল্পতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কারিপাতা উপকারী। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কারি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এতে প্রচুর অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।

কারি পাতায় অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এটি খেলে রক্ত ​​সঞ্চালনও ভালো হয় এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়।

কারিপাতা লিভার ভাল রাখতেও সাহায্য করে।  হৃদরোগ এড়াতেও কারি পাতা খাওয়া উচিত। কারিপাতা  লিভারকে যেকোনোও ধরনের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, কারি পাতায় থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি লিভারের রোগ কমায়।

ডায়রিয়াতেও এটি খুবই উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও কারি পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। কারি পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান পাওয়া যায়, যা পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।