Ayurvedic Oil: সমস্যা থাকলে আছে সমাধানও, ১০ হাজার বছরের পুরনো আয়ুর্বেদিক তেল স্বাস্থ্য ভান্ডারের চাবিকাঠি!
- Published by:Suman Biswas
Last Updated:
Ayurvedic Oil: চিকিৎসাবিজ্ঞানের আদি রূপ এবং ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে আগাগোড়া সম্পৃক্ত৷ অথর্ব বেদের অংশবিশেষ এই শাস্ত্রকে পঞ্চম বেদও বলা হয়৷
#নয়াদিল্লি: দ্রত বদলাচ্ছে নাগরিক জীবনশৈলী৷ বাড়ছে ক্রনিক অসুখ-বিসুখের প্রকোপ৷ অ্যালোপ্যাথির মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না-থাকায় এবং প্রাকৃতিক উপায়ে রোগকে সমূলে উপড়ে ফেলার সুযোগ বেশি থাকায়, আধুনিক জীবনে ক্রমেই কদর বাড়ছে আয়ুর্বেদের৷ অথচ আয়ুর্বেদশাস্ত্র নতুন কিছু নয়৷ বরং চিকিৎসাবিজ্ঞানের আদি রূপ এবং ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে আগাগোড়া সম্পৃক্ত৷ অথর্ব বেদের অংশবিশেষ এই শাস্ত্রকে পঞ্চম বেদও বলা হয়৷
ভেষজ, খনিজ, ভেষজ-খনিজ এবং জৈব ওষুধের মতো প্রাকৃতিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে রোগ সারানো হয় আয়ুর্বেদে৷ ‘আয়ু’ শব্দের অর্থ ‘জীবন’ এবং ‘বেদ’ শব্দের অর্থ ‘বিশেষ জ্ঞান’। ‘আয়ুর্বেদ’ শব্দে বোঝায় জীবনের বিজ্ঞান। অর্থাৎ যে বিজ্ঞানের মাধ্যমে দীর্ঘায়ু লাভ ও জীবের কল্যাণসাধন হয়, তা-ই আয়ুর্বেদ। প্রায় ১০ হাজার বছরের পুরনো আয়ুর্বেদ আদতে ভেষজ উদ্ভিদ, প্রাণীজ ও খনিজ দ্রব্যের মাধ্যমযুক্ত চিকিত্সাপদ্ধতি।
advertisement
এই চিকিৎসাবিদ্যায় শরীরের প্রকৃতি ঠিক কেমন, তা নির্ধারণ করে তিনটি দোষ- বাত, পিত্ত আর কফ। কার ক্ষেত্রে কোনটির পাল্লা ভারী, তা বুঝে সঠিক ডিটক্সিফিকেশেনর সাহায্য নিয়ে চলে চিকিৎসা। আয়ুর্বেদের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় চরক সংহিতায়। তবে আজও ব্যাপকভাবে এর প্রচলন আছে। কারণ এর কার্যকারিতা। নারকেল তেল, বাদাম তেল এবং ক্যাস্টর অয়েলের মতো ক্যারিয়ার তেলে হলুদ, তুলসি, ব্রাহ্মী এবং রোজমেরির মতো সামগ্রিক নিরাময়কারী ভেষজ যোগ করে আয়ুর্বেদিক তেল তৈরি করা হয়। এই তেল ব্যবহার করার সর্বোত্তম উপায় হল ত্বকে মাসাজ করা। এই তেল কোষে প্রবেশ করে সমস্যাকে গোড়া থেকে নির্মূল করে।
advertisement
advertisement
আয়ুর্বেদ বলে, শরীরে কখন ভারসাম্যের অভাব হচ্ছে এবং তা ঠিক করতে কী প্রয়োজন সেটা শরীর বোঝে। এখানে বায়ু-পিত্ত-কফ, এই তিন দোষ অনুযায়ী কয়েকটি আয়ুর্বেদিক তেলের উল্লেখ করা হল। কার ক্ষেত্রে কোন দোষের পাল্লা ভারী সেটা বুঝে পেশাদারের সঙ্গে পরামর্শ করে এই তেল লাগালে উপকার মিলবে হাতেনাতে।
আরও পড়ুন: অসুস্থতা ছিল না, কিন্তু বুধবার বদলে গেল পরিস্থিতি! অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর কারণ কী?
advertisement
বায়ু দোষ: তিলের তেল বায়ু দোষ বৈশিষ্ট্যের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত উপকারী। শরীরকে মাধ্যম করে এটি ‘প্রাণ’-এর প্রবাহকে সচল করে ওজস (ইমিউন সিস্টেমের নেপথ্য শক্তি) স্তরকে শক্তিশালী করে। এই তেল গমের সঙ্গে মিশিয়ে লাগানো যায়।
পিত্ত দোষ: এ জন্য নারকেল তেল এবং ব্রাহ্মী তেল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। নারকেল তেল কুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরে পিত্তের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ব্রাহ্মী তেল মন এবং শরীরকে শান্ত করে। নারকেল তেলের সঙ্গে ব্রাহ্মী তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।
advertisement
কফ দোষ: সরষের তেল অথবা ক্যাস্টর অয়েল কফ দোষের জন্য আদর্শ। শরীরে কফ বৈশিষ্ট থাকলে আয়ুর্বেদে উষ্ণ তেলের সুপারিশ করা হয়েছে। আয়ুর্বেদিক তেল নিয়মিত ব্যবহারে ঘুম ভালো হয়। চুল এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। মন হয় শান্ত। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি আয়ুর্বেদিক তেল ব্যবহারের এটাই আসল গুরুত্ব।
Location :
First Published :
March 24, 2022 10:15 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Ayurvedic Oil: সমস্যা থাকলে আছে সমাধানও, ১০ হাজার বছরের পুরনো আয়ুর্বেদিক তেল স্বাস্থ্য ভান্ডারের চাবিকাঠি!