#মিলান: জিমে এক্সারসাইজ করার সময়ে যখন আমাদের শরীর একটা পরিশ্রমের মধ্যে থাকে, তখন শ্বাস নেওয়ার চাহিদাও বেড়ে যায়। অন্য দিকে, করোনাভাইরাস যে ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়, সে কথা নানা সমীক্ষা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছে। কিন্তু ইতালির মিলান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সম্প্রতি যে সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছেন, তা এক অভিনব দিকে আলোকপাত করেছে। জিমে ফেস মাস্ক পরে থাকা কতটা দরকার, সেই দিকটা খুঁটিয়ে দেখেছেন তাঁরা।
সমীক্ষায় ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সিদের নিয়ে একটি দল তৈরি করা হয়েছিল। তাঁদের তিন রকম ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা হয়েছে। একটি ফেস মাস্ক ছাড়া এক্সারসাইজ করা অবস্থায়, দ্বিতীয়টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরা অবস্থায় এবং তৃতীয়টি দ্বিস্তরীয় মাস্ক পরা অবস্থায়। সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, ফেস মাস্ক পরা থাকলে এক্সারসাইজ করতে অসুবিধা হয়, কেন না তাতে শ্বাসগ্রহণে সামান্য হলেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
কিন্তু তার পরেও ফেস মাস্ক পরে থাকাটাই যে ঠিক হবে জিমের ভিতরে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করছেন মিলান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। কেন না, এর আগে পরিচালিত অনেক গবেষণা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, জিমের বদ্ধ পরিবেশে করোনার ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। ফলে অসুবিধা হলেও ফেস মাস্ক ছাড়া যে জিমে সময় কাটানো ঠিক হবে না, সেটা বার বার বলছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, জিমে এক্সারসাইজ করার সময়ে আরও কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করে চলা উচিৎ। ওয়ার্ক আউটের আগে এবং পরে, হাত ও পা ভালো করে হ্যান্ড ওয়াশ বা সাবান দিয়ে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পর অ্যান্টি-ফাঙ্গাল পাউডার লাগানোটাও যে জরুরি, সে কথাও বলতে ভুলছেন না তাঁরা। অন্য দিকে, ওয়ার্ক আউট শুরু করার আগে জিমের যন্ত্রপাতি মুছে নেওয়া প্রয়োজন। কেন না, জিমে একই যন্ত্র অনেকেই ব্যবহার করেন। ফলে যন্ত্রপাতিতে হাত দেওয়ার আগে স্যানিটাইজার স্প্রে করে বা ওয়াইপস দিয়ে মুছে ফেলা জরুরি তো বটেই!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।