হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
হৃদয় থাক তারুণ্যে ভরপুর; তিরিশের পরে থেকেই মেনে চলুন এই চারটি পরামর্শ

Healthy Lifestyle: হৃদয় থাক তারুণ্যে ভরপুর; তিরিশের পরে থেকেই মেনে চলুন এই চারটি পরামর্শ

হৃদয় থাক তারুণ্যে ভরপুর; তিরিশের পরে থেকেই মেনে চলুন এই চারটি পরামর্শ

হৃদয় থাক তারুণ্যে ভরপুর; তিরিশের পরে থেকেই মেনে চলুন এই চারটি পরামর্শ

সব বয়সের মানুষেরই খানিকটা শারীরচর্চা করা প্রয়োজন। এতে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রার মতো হৃদরোগ সম্পর্কিত অসুস্থতাগুলি এড়ানো যেতে পারে।

  • Share this:

বেঙ্গালুরু: যেমন বীজ বপন করবে তেমনই ফসল ঘরে উঠবে—এ প্রবাদ বুঝি হৃদয়ের ক্ষেত্রেও খাটে। তিরিশ বছর বয়সের পর থেকেই মানুষের জীবনে একটা পরিবর্তন আসে। এসময় অনেকটা দায়িত্ব নেওয়ার সময়, অথচ, তারুণ্যে ভরপুর। ফলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়। পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে কিছু পরিবর্তন আসে। ফলে ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য কেমন হবে তা অনেকাংশেই নির্ধারণ করে দেয় এই বয়স। তিরিশের পর থেকে চারটি বিষয় মেনে চললেই অনেকটা ভাল থাকা যেতে পারে। এমনটাই জানালেন বেঙ্গালুরুর ফোর্টিস হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজির ডিরেক্টর চিকিৎসক রাজপাল সিংহ।

১. নিয়মিত ব্যায়াম—

সব বয়সের মানুষেরই খানিকটা শারীরচর্চা করা প্রয়োজন। এতে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রার মতো হৃদরোগ সম্পর্কিত অসুস্থতাগুলি এড়ানো যেতে পারে। ব্যায়াম যে কোনও রকম হতে পারে, খেলাধুলা, সাঁতার বা জোরে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটা। দিনে অন্তত ৪০ মিনিট এ ভাবে হাঁটা দরকার।

আরও পড়ুন- সিঙ্গাপুরের এসপ্ল্যানেড পার্কে কী করছেন কুণাল ঘোষ ?

২. সুস্থ খাদ্যাভ্যাস—

প্রতিদিনের খাবারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট থাকা প্রয়োজন। তার সঙ্গে ফল ও পরিমাণ মতো জল প্রয়োজন। এবং অ্যালকোহলে পরিমিতি বোধ থাকা উচিত। খাবারে লবণের পরিমাণও কম হওয়া দরকার। একসঙ্গে বেশি পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের পরিবর্তে নিয়মিত বিরতিতে অল্প খাদ্য গ্রহণ করা দরকার।

৩. ধূমপান থেকে মুক্তি—

ধূমপান হৃৎযন্ত্রর শত্রু। একজন ধূমপায়ীর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ। শুধু তাই নয় এঁদের হৃদরোগে মৃত্যুর আশঙ্কাও অন্যদের তুলনায় ৩-৪ গুণ বেশি।

Dr Rajpal Singh Dr Rajpal Singh

ধূমপান বন্ধ করার পর একজনের কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকি অর্ধেক হতে প্রায় এক বছর লাগে। আরও এক বছর কিছুটা ঝুঁকি থাকে। পরোক্ষ ধূমপানেরও একই রকম ক্ষতিকর প্রভাব থাকে।

আরও পড়ুন- মোদির নির্দেশে বাংলার সংখ্যালঘুদের 'মন কি বাত' বুঝতে বিশেষ অভিযানে নামছে পদ্ম শিবির

অতএব, যে কোনও বয়সের ধূমপায়ীদের, বিশেষ করে যাঁদের বয়স ৩০ বা তার বেশি, অবিলম্বে ধূমপান বন্ধ করা উচিত।

৪. স্বাস্থ্য পরীক্ষা

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভাল—তাই তিরিশ বছর বয়সের পর থেকে বছরে অন্তত একবার হৃদযন্ত্র এবং সেই সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বিশেষত, যাঁদের পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে, বা যাঁরা ধূমপায়ী, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনসিভ, স্থূলতায় ভুগছেন, তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Health care, Health Care Tips