#নয়াদিল্লি: রানার বা ক্রীড়াবিদরা নিয়মিত পায়ের ম্যাসাজ নেন। এতে পেশির আরাম হয়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ইদানীং সাধারণ মানুষও পায়ের নানা সমস্যায় ভুগছেন। তাঁদের ক্ষেত্রেও পায়ের মাসাজ খুব আরামদায়ক। এ জন্য ফিজিওথেরাপিস্টের দ্বারস্থ হওয়া যায়। তবে স্পা-এর লেগ ম্যাসাজও কিন্তু খারাপ নয়।
ঘুম ভাঙার পর থেকেই সচল হয় পা। বাড়ির কাজ, স্কুলকলেজ, অফিস-কাছারি সামলানো, রীতিমতো দৌড়তে হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই সারাদিনে সবচেয়ে বেশি ধকল যায় পায়ের উপর দিয়েই। এই সময় সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে পায়ের মাসাজ উপযুক্ত বিকল্প। শুধু পেশির আরামই নয়, এতে শারীরিক ও মানসিক নানা লাভও হতে পারে।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়: লকডাউনের সময় থেকেই শুরু হয়েছে ওয়ার্ক ফর্ম হোম। তাছাড়া এই ডিজিটাল যুগে সবকিছুই স্মার্ট ফোনে। ট্রেন-বিমানের টিকিট কাটা থেকে খাবার অর্ডার দেওয়া সব হয় এক ক্লিকেই। ফলে এমন অলস জীবনযাত্রা পায়ের রক্ত প্রবাহ এবং সঞ্চালনকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করে। পায়ের মাসাজের ফলে নড়াচড়া হয়, পেশিগুলো সচল হয়ে ওঠে। ফলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
লিম্ফ জমতে দিলে হবে না: শুয়ে বসে থাকার ফলে হাত এবং পায়ের বেশিতে লিম্ফ জমতে শুরু করে। এতে শরীর দূষিত হয়। যা থেকে অন্যান্য রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এক্ষেত্রে মাসাজ নিলে পায়ের পেশি সচল হয়। লিম্ফ জমতে পারে না।
চোটআঘাতের আশঙ্কা কমে: পেশি শিথিল হয়ে গেলে খেলাধুলো বা ব্যায়ামের সময় অল্পেই চোট লাগার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত মাসাজ নিলে পেশির টিস্যু প্রসারিত হয় বং রক্ত সরবরাহে উন্নতি ঘটায়। ফলে চোট-আঘাতের আশঙ্কা কমে। বা আঘাত লাগলেও, তা দ্রুত সেরে যায়।
আরও পড়ুন - Frosting Cake: কেকের ওপর অনেক কিছু দিয়ে সাজানো, খেতে দারুণ লাগে, মারাত্মক ক্ষতি করছেন
মানসিক চাপ কমায়: বর্তমান জীবনযাত্রায় উদ্বেগ সকলের সঙ্গী। উদ্বেগ বা চিন্তা কমিয়ে মন শান্ত করতে পায়ের মাসাজ উপযুক্ত বিকল্প। বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতিদিন পায়ের মাসাজ করাতে পারলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের আধিক্য কমে।
পেশি পুনরুদ্ধার: অনেক সময় হার্ডকোর ওয়ার্কআউটের পর শরীরে ব্যথা হয়। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাঁদের এই অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই ব্যথাকে ‘ডিলেড অনসেট মাসল সোরনেস’ বা ডিওএমএস বলে। এই ক্ষেত্রে পায়ের মাসাজ স্বর্গীয় অনুভূতি দেয়। পেশির প্রসারণকে হ্রাস করে দ্রুত ব্যথা নিরাময়ে সহায়তা করে।
ভুল ভঙ্গিমা: অনেক সময় ভুল ভঙ্গিমায় শোয়ার জন্য পিঠে ব্যাথা হয়। যা পা-কেও প্রভাবিত করে। পায়ে নিয়মিত মাসাজ করলে নিতম্ব এবং পিঠের নিচের অংশের মিসলাইনমেন্টও ভালো হয়।
ওডেমা: গর্ভবতী মহিলাদের পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ওডেমা। পায়ে ফ্লুইড জমে এমনটা হয়। এক্ষেত্রেও পায়ের মাসাজ অত্যন্ত উপকারী।
পিএমএস: অনেক মহিলাই শারীরিক এবং মানসিকভাবে প্রিমেনস্ট্রুয়েল সিন্ড্রোমে ভোগেন। মেজাজের পরিবর্তন, উত্তেজনা, মাইগ্রেন এবং মাথাব্যথার মতো নানা সমস্যা দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। পায়ের মাসাজ এই প্রভাবগুলিকে শান্ত করতে দারুণ সহায়তা করে।
ইনসমনিয়া: অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যা একটা জটিল অসুখ। বিভিন্ন ওষুধ, অতিরিক্ত ক্যাফিন, মানসিক চাপ, বিষন্নতা ইত্যাদি কারণে এটা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের মাসাজ করালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। অন্য যে কোনও নসাজের মতো, খানিক ক্ষণ পায়ের মাসাজ মন শান্ত করে দেয়। যার ফলে ঘুম গভীর হয়।
জয়েন্টে ব্যথা: পায়ের কোনও দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা থাকলে তার উপশম ঘটতে পারে মাসাজের মাধ্যমে। বিশেষ করে জয়েন্ট পেইন। তবে এক্ষেত্রে পেশাদার কারও হাতে মাসাজ নেওয়াই শ্রেয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Healthy Lifestyle, Mensturation