#কলকাতা: ওবেলিক্সকে মনে আছে নিশ্চয়ই? ছোট বেলায় জাদু পানীয়ের পাত্রের মধ্যে পড়ে গিয়ে যে বিপুল শক্তির অধিকারী হয়েছিল! শুধু গল নয়, ভারতেও এমন জাদু পানীয়ের ব্যবহার বহুল প্রচলিত (Kanji)। সেটা হল বিট, গাজরের ‘কাঞ্জি’। তবে পেশি শক্তির জন্য নয়, হজম এবং শরীর সুস্থ রাখতে এই পানীয় ব্যাপক জনপ্রিয়।
শীতকাল মানেই ব্যাকটেরিয়া বাহিত রোগের উপদ্রব(Kanji)। সর্দি, কাশি, জ্বর লেগেই থাকে। প্রতিদিন সকালে একগ্লাস ‘কাঞ্জি’ ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে দারুন কার্যকরী। সঙ্গে শরীরকে রাখবে তরতাজা। দেবে সার্বিক সুস্থতা। জল, কালো গাজর, বিট, সরষের বীজ এবং কালো মরিচ দিয়ে তৈরি হয় কাঞ্জি। হোলির সময় অতিথিকে ভাঙের শরবতের সঙ্গে এই ‘কাঞ্জি’ও পরিবেশন করা হয়। কী ভাবে কাঞ্জি তৈরি করতে হয় এবং শীতের মরশুমে কেন এটা ডায়েটে রাখতেই হবে, দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
বাড়িতে কী ভাবে কাঞ্জি বানাতে হবে?
২টি বিটরুট এবং ৪টি কালো গাজর ছোট ছোট টুকরো (Kanji)করে কেটে নতে হবে। জল ও নুন মেশানো কাচের বয়ামে সেগুলি রাখতে হবে। তাতে সরষের বীজ এবং কালো মরিচ ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার বয়ামটি মসলিন কাপড় দিয়ে ঢেকে রোদে রাখতে হবে। এভাবে ৫ থেকে ৬ দিন রোদ খাওয়াতে হবে। দিনে একবার বয়ামটি কিছুক্ষণ ঝাঁকিয়ে দিতে হবে। ৫-৬ দিন পর একটি পৃথক কাচের পাত্রে রসটা ছেঁকে নিতে হবে। ঘরে তৈরি কাঞ্জি প্রস্তুত। এবার ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করা যায়।
হজমশক্তি বাড়ায়
কাঞ্জিতে আছে দ্রবীভূত ফাইবার(Kanji)। যা পাচনতন্ত্রের জল শোষণ করে জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে। স্বাস্থ্যবিদরা বলেন, এর ফলে হজমশক্তি বাড়ে। দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই জুস মিরালের মতো কাজ করে।
প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর
এই জুস কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর(Kanji)। প্রতিদিন সকালে একগ্লাস কাঞ্জি পান করলে শরীর চনমনে থাকবে। সারাদিন মাথা ঘোরা, দুর্বলতার কাটিয়ে শরীরকে দেবে বাড়তি তরতাজা ভাব।
আরও পড়ুন: যে কোনও আরটি-পিসিআর টেস্টে কাজ না-ও হতে পারে, ওমিক্রন সনাক্ত করতে দরকার নয়া টেস্ট কিট!
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্য (Kanji)দূর করতে এর জুড়ি নেই। পরিপাকতন্ত্র সবল রাখতে নিয়মিত কাঞ্জির জুস খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে। ক্যালরি ও সুগারের উপাদান খুবই কম থাকে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে যেসব ভিটামিন ও খনিজের প্রয়োজন তা-ও এতে বিদ্যমান।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
বিট ও গাজরে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন থাকে(Kanji)। তাই প্রচুর ভিটামিন এ পাওয়া যায় কাঞ্জি থেকে। এতে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
শরীরকে ডিটক্সিফাই করে
শরীরকে বিষমুক্ত করার উপাদান আছে বিটে। নিয়মিত কাঞ্জি পান করলে শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা বিষাক্ত উপাদান দূর হয়ে শরীর পরিষ্কার এবং ত্বক সুন্দর হয়। বিটের জুসে থাকা বেটাইন নামের উপাদান টক্সিন বের করে লিভার ফাংশান আরও উন্নত করে।
স্নায়বিক রোগ নিয়ন্ত্রণ করে
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কাঞ্জি(Kanji) পান করলে অ্যালঝাইমার্সের মতো স্নায়বিক রোগের ঝুঁকি কমায়। কালো গাজরের বেশ কিছু প্রদাহনাশক বৈশিষ্ট আছে। সঙ্গে এতে থাকা অ্যান্থিসায়ানিন স্নায়ুকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।