EXPLAINED: যে কোনও আরটি-পিসিআর টেস্টে কাজ না-ও হতে পারে, ওমিক্রন সনাক্ত করতে দরকার নয়া টেস্ট কিট!

Last Updated:

EXPLAINED: ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের কারণে এখন টেস্টের যথাযথতা এবং ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

যে কোনও আরটি-পিসিআর টেস্টে কাজ না-ও হতে পারে, ওমিক্রন সনাক্ত করতে দরকার নয়া টেস্ট কিট!
যে কোনও আরটি-পিসিআর টেস্টে কাজ না-ও হতে পারে, ওমিক্রন সনাক্ত করতে দরকার নয়া টেস্ট কিট!
#কলকাতা: কোভিড মহামারীর ক্রমবর্ধমান ঢেউ এখনও অব্যাহত। তবে আগের তুলনায় আমরা মহামারীর ভয় আমরা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। তবে এখানেই শেষ নয়, কোভিড মহামারীর নতুন ভ্যারিয়ান্ট বর্তমানে চোখ রাঙাচ্ছে। ওমিক্রন (Omicron) নামে নতুন আগত এই ভ্যারিয়ান্টের প্রভাব ইতিমধ্যেই সারা বিশ্ব জুড়ে পড়তে শুরু করেছে। কী ভাবে চেনা যাবে এই ভ্যারিয়ান্টকে? কতটা মারাত্মক আকার নেবে এই ভ্যারিয়ান্ট? চারদিকে এখন এইসব প্রশ্নই ঘুরছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) এক খবরে আমাদের স্বস্তি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, ওমিক্রনকে সাধারণ আরটি-পিসিআর (RT-PCR) টেস্ট দিয়েই চেনা যাবে, কেননা কোনও ব্যক্তির কোভিড (COVID- 19) পজিটিভ রেজাল্ট এলে তার পশ্চাতে ওমিক্রন থাকতে পারে। তবে আমাদের দেশে যে আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হয় তা কিন্তু ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টকে সনাক্ত করতে খুব একটা কার্যকরী নয়। তাহলে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টকে সনাক্ত করতে আমাদের কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে?
advertisement
আরটি-পিসিআর টেস্টকে কিন্তু কোভিড সনাক্তকরণের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের কারণে এখন টেস্টের যথাযথতা এবং ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে অন্য দিকে এই টেস্ট খুব অল্প সময়ে অনেক বেশি পজিটিভ রিপোর্ট সনাক্ত করতে সক্ষম। সে ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির কোভিড পজিটিভ রেজাল্ট এলে তার পশ্চাতে ন থাকতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এটা বলাই বাহুল্য যে সব আরটি-পিসিআর কিন্তু এই ভাইরাস সনাক্ত করতে সক্ষম। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
advertisement
advertisement
রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন-পলিমার্স চেইন রিঅ্যাকশন (Reverse Transcription- Polymerase Chain Reaction) বা আরটি-পিসিআর টেস্ট প্রকৃতপক্ষে প্যাথোজেনে (Pathogen) থাকা স্পেসিফিক জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল (Specific Genetic Material) সনাক্ত করে। নভেল করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে এই টেস্ট শরীরের প্রোটিন সেলে থাকা বিশেষ ধরনের ভাইরাসকে সনাক্ত করতে সক্ষম।
এই টেস্টে ডিএনএয়ের সঙ্গে লালারসের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। এই ডিএনএ একটি টার্গেট ডিএনএয়ের সঙ্গে অ্যাটাচ করা হয়, অন্য দিকে নভেল করোনাভাইরাস একটি আরএনএ ভাইরাস। সে ক্ষেত্রে এই টেস্টে প্রথমে বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে আরএনএ থেকে ডিএনএ-তে পরিবর্তিত করা হয়। এরপর সংগ্রহিত পজেটিভ ডিএনএয়ের সঙ্গে ব্যক্তির ডিএনএ-কে ম্যাচ করিয়ে ব্যক্তি পজিটিভ কি না তা জানানো হয়।
advertisement
এখন টেস্টের ফলাফলকে আরও নিখুঁত করতে একাধিক সংগ্রহিত ডিএনএয়ের সঙ্গে নমুনা মিলিয়ে দেখা হয়। এতে নতুন ভ্যারিয়ান্টের খোঁজ পেতে সুবিধে হয়। এখন ওমিক্রনের ক্ষেত্রে যেহেতু নির্দিষ্ট মিউটেশনের খোঁজ বা নমুনা পাওয়া যায়নি তাই সাধারণ আরটি-পিসিআরের ক্ষেত্রে ওমিক্রনের খোঁজ পাওয়া সমস্যা বহুল।
advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এই ধরনের জিন যা ‘এস’ (s) জিন নামে পরিচিত, ব্যক্তির ডিএনএ-তে এই জিনের অনুপস্থিতি ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টকে সনাক্ত করতে সক্ষম। ‘হু’য়ের মতে এই ধরনের অ্যাপ্রোচ আরও দ্রুত ওমিক্রনকে সনাক্ত করবে।
আরটি-পিসিআর কি ওমিক্রনকে সনাক্ত করতে সক্ষম?
হ্যাঁ। যেমনটা ‘হু’ বলেছে, ওমিক্রনের কেবলমাত্র একটি মিউটেশন যেটি আরটি-পিসিআর টেস্টের হাত থেকে পালাতে সক্ষম তা দু'টি বা তিনটি টার্গেট জিনের মাধ্যমে সনাক্ত করা যাবে। অধিক ও নিয়মিত ডায়াগনস্টিক টেস্ট দ্রুত ওমিক্রনকে সনাক্ত করতে পারবে। আবার র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট দ্রুত ও নিয়মিত এই কাজটি করে। প্রতিষ্ঠানের তরফে এ কথা নিশ্চিত বলা হয়েছে যে আরটি-পিসিআর এবং আরএটি নতুন ভ্যারিয়ান্টকে সনাক্ত করতে পারবে।
advertisement
অর্থাৎ প্রথমত কোন আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে তার ওপর ওমিক্রনের সনাক্তকরণ নির্ভর করবে। কেননা যে কোনও টেস্ট তা সনাক্ত করতে সক্ষম নয়। তাছাড়াও যেমনটা হু বলেছে সিকোয়েন্স করা ছাড়া ওমিক্রন সনাক্ত করা সম্ভব নয়। বেশির ভাগ পিসিআর টেস্ট যা সারা বিশ্ব জুড়ে প্রচলিত রয়েছে তা টার্গেট জেনকে সনাক্ত করতে পারে না।
advertisement
ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স এবং ইনটেগ্রেটিভ বায়োলজি বিভাগে কর্মরত এক বিজ্ঞানী বিনোদ সারিয়ার (Vinod Scaria) মতে, আরটি-পিসিআর টেস্ট জেনোমের দু'টি বা তিনটি জেন নিউক্লিয়েক অ্যাসিডকে সনাক্ত করে। তাঁর মতে, দুঃখের বিষয় ভারতে ব্যবহৃত হওয়া কোভিড টেস্টের কিটগুলি জনসাধারণের নিকট খুব একটা সহজলভ্য নয়। তার ফলে ঠিক কোন ধরনের কিটে এই নতুন ভ্যারিয়ান্টকে চেনা যাবে বা যাবে না তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এই ধরনের জিন যা ‘এস’ জিন নামে পরিচিত, ব্যক্তির ডিএনএ-তে এই জিনের অনুপস্থিতি ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টকে সনাক্ত করতে সক্ষম। ‘হু’য়ের মতে এই ধরনের অ্যাপ্রোচ আরও দ্রুত ওমিক্রনকে সনাক্ত করবে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র স্টেট টাস্ক-ফোর্সের তরফে বিভিন্ন ল্যাবরেটরিগুলিকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করতে বলেছে যাতে টেস্টে তিনটি জিনই সনাক্ত করা যায়। এতে ‘এস’ জিনের অনুপস্থিতিতে ওমিক্রন সনাক্ত করা সম্ভব হয়। ড. শশাঙ্ক জোশির (Shashank Jhoshi) মতে, আমাদের দেশের বিভিন্ন ল্যাবরেটরিগুলিতে ‘এস’ জেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি সম্পর্কিত কোনও তথ্য থাকে না। এটা দুঃখের বিষয়।
ওমিক্রনে মিউটিশনের অক্ষমতা এই নতুন ভ্যারিয়ান্টকে তাড়াতাড়ি চিনতে পারবে। ফলে নতুন এই ভ্যারিয়ান্টকে দ্রুত সনাক্ত করতে সক্ষম হবে আরটি-পিসিআর টেস্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে ইউএস দ্বারা নির্মিত থার্মোফিসার সায়েন্টিফিক টেস্ট কিট যেটিকে ট্যাকপাথ টেস্ট (TaqPath Test) বলা হয় তা ওমিক্রনের সনাক্তকরণে বিশেষ সহায়ক। এছাড়াও এই টেস্ট কিট খুব দ্রুত হারে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট সনাক্ত করবে। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু সরকার একটি সার্কুলার জারি করে রাজ্যের সমস্ত ল্যাবরেটরিগুলিতে নির্দেশ দিয়েছে যাতে প্রতিটি টেস্টে তিনটি জিনই পরীক্ষা করে দেখা হয়। এমনকি তামিলনাড়ু সরকার প্রতিটি ল্যাবেই ট্যাকপাথ কিট সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ওমিক্রনেই কি শুধুমাত্র ‘এস-ড্রপ আউট’ রয়েছে?
না, ওমিক্রন ছাড়াও আলফা (Alpha) নামে আরও একটি ভ্যারিয়ান্টে একই রকম ভাবে ‘এস-ড্রপ আউট’ রয়েছে। তবে আলফার প্রকোপ সারা বিশ্ব জুড়েই সংখ্যায় খুব কম বলে একে নিয়ে তেমন একটা চিন্তার কারণ নেই। সবশেষে এটাই বলার যে, ব্যক্তির আরটি-পিসিআর টেস্টে পজিটিভ রেজাল্ট হলেও তাতে যদি ‘এস’ জিন সনাক্ত না করা যায় তবে কিন্তু ওমিক্রন সনাক্ত করা একেবারেই অসম্ভব। তাই ‘এস’ জিনকে সনাক্ত করা খুবই প্রয়োজন এবং আরটি-পিসিআর টেস্টের সময় এই বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এছাড়াও জেনোমিক সিকোয়েন্সকে কনফার্ম করাও বর্তমান ভ্যারিয়ান্টকে সনাক্ত করতে বিশেষ প্রয়োজন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
EXPLAINED: যে কোনও আরটি-পিসিআর টেস্টে কাজ না-ও হতে পারে, ওমিক্রন সনাক্ত করতে দরকার নয়া টেস্ট কিট!
Next Article
advertisement
Success Story: বেঙ্গালুরুর দুই বোনের কাজ দেখে দোকানদাররা হাসতেন, এখন তাঁরাই ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা পরিচালনা করছেন
বেঙ্গালুরুর দুই বোনের কাজ দেখে দোকানদাররা হাসতেন, এখন তাঁদেরই ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা !
  • বেঙ্গালুরুর দুই বোনের কাজ দেখে দোকানদাররা হাসতেন

  • এখন তাঁদেরই ১০০ কোটির ব্যবসা !

  • জেনে নিন তাঁদের সাফল্যের কাহিনি

VIEW MORE
advertisement
advertisement