যাঁদের এই প্রথমবার সন্তান হল, তাঁদের পক্ষে শিশুর দেখভাল করা একটু হলেও কঠিন ব্যাপার তো বটেই! কেন না, সন্তান মানুষ করার কোনও অভিজ্ঞতা না থাকায় কখন খুদের কী প্রয়োজন, তা বুঝে উঠতেই অনেকটা সময় লেগে যায়!
তবে এর আগে সন্তান মানুষ করার অভিজ্ঞতা যাঁদের আছে, তাঁদেরও সতর্ক না থাকলেই নয়! শীতে বায়ুদূষণ বাড়বে, যা রীতিমতো শ্বাসকষ্টের মুখে ফেলতে পারে সদ্যোজাত সন্তানটিকে। তাই কী ভাবে তাকে আগলে রাখা যায়, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!১. স্তন্যপানসমস্যা যে রকমই হোক না কেন, ইমিউনিটি সিস্টেমটি সতেজ থাকলে তার মোকাবিলা করা যায়। ছ'মাসের উপরে বয়স হয়ে গেলে শিশুকে ইমিউনিটি বুস্টিং স্টেপল দেওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু সদ্যোজাত বা ছ'মাসের কম বয়সের সন্তানের ক্ষেত্রে মাতৃদুগ্ধের চেয়ে সুষম খাবার আর কিছুই নেই!২. বাইরে বেরোনো বারণ
একে শীত আসছে, তার উপরে কোভিড ১৯ সংক্রমণের দিকটাও খেয়াল না রাখলেই নয়। একেবারে ছোট সন্তানকে তো আর ফেস মাস্ক পরিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়া চলে না, তাতে তার আরও বেশি করে শ্বাসকষ্ট হবে- তাই বাড়ির ভিতরে থাকাই ভালো!৩. জানলা বন্ধ রাখাযে ঘরে খুদে রয়েছে, সেই ঘরের জানলা যতটা সম্ভব বন্ধ রাখাই উচিৎ হবে। কেন না খোলা জানলা দিয়েও দূষিত বায়ুকণা ঘরে ঢুকে শিশুর শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে উঠতে পারে।৪. এয়ার পিউরিফায়ারএর ঠিক পরের ধাপেই এই জিনিসটার উল্লেখ না করলেই নয়! শিশুকে নিয়ে বাইরে বেরোনো যাবে না, যে ঘরে সে আছে তার জানলা খুলে রাখলেও বিপদ! কিন্তু শুদ্ধ বাতাস তো দরকার! এই জায়গা থেকেই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে একটা এয়ার পিউরিফায়ার ঘরে রাখা যায়।৫. কিছু জিনিস সরিয়ে রাখাঅ্যাজমার সমস্যা না থাকলে বড়দের কাছে কিছুই নয়, কিন্তু ছোটদের পক্ষে সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে, এমন বেশ কিছু জিনিস সব বাড়িতেই হাতের কাছে থাকে। যার মধ্যে সুগন্ধি অন্যতম। এটা তৈরি হয় বড়দের কথা ভেবে, তাই সদ্যোজাত বা ছ'মাসের কম বয়স এমন শিশুর থেকে তা দূরে রাখাই ভালো! এমন শিশু থাকলে এই সময়ে বাড়ি রং করানোর পরিকল্পনাও বাতিল করা উচিৎ!
Published by:Piya Banerjee
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।