হোম /খবর /স্বাস্থ্য /
ঘুম হচ্ছে না, সারাক্ষণ মনখারাপ?অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভুগছেন নাতো? দেখে নিন

ঘুম হচ্ছে না, সারাক্ষণ মনখারাপ? অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভুগছেন নাতো? দেখে নিন বাঁচতে কী করবেন

মনের মতো শহরে মনের মতো চাকরি। একে হাতে চাঁদ পাওয়া বলা যেতেই পারে। আর মন যেখানে একবার বসে যায়, সেখানে তো মন দিয়ে কাজ করা যেতেই পারে! কিন্তু একের পর এক সাফল্যের সিঁড়ি ভেঙে বেশ কিছু দিন তরতর করে বিনা বাধায় এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ একদিন যদি কাজ করতেই আর ইচ্ছে না হয়? মন দিয়ে করা কাজে আচমকা মনখারাপ হওয়ার এই রোগের পোশাকি নাম অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার (Anxiety Disorder)।

মনের মতো শহরে মনের মতো চাকরি। একে হাতে চাঁদ পাওয়া বলা যেতেই পারে। আর মন যেখানে একবার বসে যায়, সেখানে তো মন দিয়ে কাজ করা যেতেই পারে! কিন্তু একের পর এক সাফল্যের সিঁড়ি ভেঙে বেশ কিছু দিন তরতর করে বিনা বাধায় এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ একদিন যদি কাজ করতেই আর ইচ্ছে না হয়? মন দিয়ে করা কাজে আচমকা মনখারাপ হওয়ার এই রোগের পোশাকি নাম অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার (Anxiety Disorder)।

অতিরিক্ত মানসিক চাপে পড়লে সবারই ভয়বোধ এবং নার্ভাসনেস কাজ করে। তাই বলা চলে অ্যাংজাইটি সবারই কম বেশি হয়, এবং এই বিষয়টি খুব সাধারণ একটা আবেগপ্রবণতার অংশ।

  • Last Updated :
  • Share this:
অতিরিক্ত চাপ পড়লে সব মানুষই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। বেশিভাগ ক্ষেত্রে আমরা যখন কোনও বিষয় নিয়ে ভয় পাই অথবা নার্ভাস হয়ে পড়ি সেইসময়ই আমাদের অ্যাংজাইটি গ্রাস করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপে পড়লে সবারই ভয়বোধ এবং নার্ভাসনেস কাজ করে। তাই বলা চলে অ্যাংজাইটি সবারই কম বেশি হয়, এবং এই বিষয়টি খুব সাধারণ একটা আবেগপ্রবণতার অংশ। কিন্তু অতিরিক্ত উদ্বিগ্নতা কারোর মধ্যে কাজ করলে তা চিন্তার বিষয় কারণ এই অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার সুস্থ মানুষের জীবন তছনছ করে দিতে পারে। এই রোগ আক্রান্তদের সামাজিক মেলামেশা এমনকি বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন থেকেও অনেকসময় আলাদা করে দেয়।অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারের কয়েকটি লক্ষণ:- ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়া- সর্দিকাশি- অতিরিক্ত ভীতভাব এবং ছটফটে হয়ে যাওয়া
- মন সবসময় খিঁচড়ে থাকা- মনোসংযোগে ঘাটতি- ঘুমের অসুবিধা- প্যানিকের শিকার হওয়াএই রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে ঠিক করা যায়। তাছাড়াও কখনো খুব উদ্বেগ তৈরী হলে কিছু চটজলদি ব্রিদিং টেকনিক রয়েছে যার মাধ্যমে কিছুটা হলেও অ্যাংজাইটির থেকে সুরাহা মেলে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, শ্বাসের কয়েকটি ব্যায়াম যা শিখে নিলে সহজেই আপনি আপনার উদ্বেগ দূর করতে পারবেন।সিম্পল ব্রিদিং এক্সারসাইজ- ধীরে ধীরে গভীর ভাবে দম নিন দম ছাড়ুন। ঘাড় হালকা করে ফেলুন। দম নেওয়া ছাড়ার তালে আপনার বুক আর পেট ফুলে উঠবে।- মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে দম ছাড়ুন। পেট এর ফলে ভেতর দিকে ঢুকে যাবে, কিন্তু চোয়াল রিলাক্স রাখবেন।- এই শ্বাসের ব্যায়াম বেশ কিছুক্ষণ চালিয়ে যান, যতক্ষণ না আপনার উদ্বেগ কাটছে।লায়ন ব্রিদিং এক্সারসাইজ- হাঁটু গেড়ে বসুন, এমন করে বসতে হবে যাতে আপনার কোমরের নিচের অংশ আপনার পায়ের উপর ভর পায়- হাঁটুতে দুই হাত টানটান করে রাখুন- নাক দিয়ে বেশ বড় করে দম নিন- মুখ দিয়ে এবার পুরো দমটা ছেড়ে, 'হাহ' করে আওয়াজ করুন- মুখ যতটা পারেন বড় করে হাঁ করুন, জিভ বার করে এবার থুতনিতে তা ঠেকানোর চেষ্টা করুন- নিঃশ্বাস ছাড়ার সময়ে, চোখ দিয়ে কপাল অথবা ভুরুর মধ্যে দেখার চেষ্টা করুন- দম নেওয়ার সময় মুখের পেশিগুলো আবার রিল্যাক্স করে দিনপ্রাণায়াম (যোগিক ব্রিদিং)যোগা শরীর ও মন ভালো রাখার এক অন্যতম সনাতন পদ্ধতি। অনেকরকমের প্রাণায়ামের পদ্ধতি আছে যা আপনাকে অ্যাংজাইটির থেকে রক্ষা করবে।ভ্রমরী প্রাণায়াম এমন এক প্রাণায়াম, মুখ দিয়ে যেখানে মৌমাছির মতন আওয়াজ করতে হয়। চোখ এবং কান বন্ধ করে ততক্ষণ আওয়াজ করতে হবে যতক্ষণ আপনার দম থাকে।নাড়িশোধন প্রাণায়াম- বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে নাকের ডানদিক চেপে ধরুন- এবার বাঁ নাক দিয়ে দম নিয়ে তা আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরুন- ডান নাকে চেপে ধরা বুড়ো আঙ্গুল এবার সরিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ধরে রাখা দমটা ছেড়ে দিন, বাঁ নাক যেন আঙ্গুল চাপাই থাকে- এরপর আবার বুড়ো আঙ্গুল দিয়েই ডান নাক চেপে ধরে, আঙ্গুল সরিয়ে বাঁ নাক দিয়ে দম নিন- এরকমভাবেই এই নিঃশ্বাসের ব্যায়ামটি পরপর ৫ বার করুন।এই নিঃশ্বাসের ব্যায়াম শুধুমাত্র আপনাকে শান্তই রাখবে না, আপনাকে উদ্বিগ্নতার হাত থেকেও রক্ষা করবে।
Published by:Elina Datta
First published:

Tags: Anxiety