Misuse of Antibiotics: জ্বর-সর্দি হলেই মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন? এতে স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Misuse of Antibiotics: অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টার সিএমআই হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. বিন্দুমতী পি এল
অ্যান্টিবায়োটিকের বিষয়ে আমরা প্রায় সকলেই ওয়াকিবহাল। এটা আসলে সবথেকে সাধারণ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে এবং তা ধ্বংস করতেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সকলেই এই ধরনের ওষুধ যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করছে। আসলে অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই এটা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টার সিএমআই হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. বিন্দুমতী পি এল।
কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
অন্ত্রের সমস্যা:
advertisement
কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে, যা অন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এমনকী হজমে সহায়তার পাশাপাশি ইমিউনিটিও বজায় রাখতে সহায়ক। এই ব্যাকটেরিয়াগুলিই ‘গাট ফ্লোরা’ নামে পরিচিত। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে সেই ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটে। এর পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়ার সঠিক অনুপাতও নষ্ট করে। এটা নানা রকম স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা তৈরি করে।
advertisement
ডায়রিয়া:
সাধারণ জ্বর, ঠান্ডা লাগা, সর্দি সারানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। তবে এর জেরে কিছু কিছু সময়ে অবাঞ্ছিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, শিশুদের সর্দি-কাশির জন্য যেসব অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলি সি. ডিফ নামে পরিচিত ব্যাকটেরিয়াল অ্যান্টিবায়োটিক-রেজিস্ট্যান্ট স্ট্রেনের প্রতি বেশি সংবেদনশীল। আর এই ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রে পাওয়া যায় এবং ডায়েরিয়ার মূল কারণ।
advertisement
ফাঙ্গাল সংক্রমণ:
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য তৈরি করা হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। এমনকী কখনও কখনও ভাল ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে অ্যান্টিবায়োটিক। আর এই ভাল ব্যাকটেরিয়াগুলিই ফাঙ্গাস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরের কিছু অংশে ফাঙ্গাল সংক্রমণ হয়।
আরও পড়ুন : বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না...আরিফের থেকে দূরে মনের কষ্টে চিড়িয়াখানায় খাওয়াদাওয়া ছাড়ল তাঁর প্রিয় সারস
অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে সম্পর্ক:
advertisement
কখনও কখনও অ্যান্টিবায়োটিক অন্যান্য রোগের ওষুধকেও কম কার্যকর করে তোলে। সেই সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে মারাত্মক।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স:
অ্যান্টিবায়োটিক নিয়মিত ব্যবহার করা হলে ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকার জন্য নিজেদের গঠন এবং আকার পরিবর্তন করে। এমনকী নির্দিষ্ট কিছু উৎসেচক বের করে দেয়। এর ফলে অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বা রেজিস্ট্যান্স গড়ে ওঠে।
advertisement
অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় কী কী মাথায় রাখা উচিত?
প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খেলে এর কার্যকারিতা আরও ভাল হয়। নিজে থেকে ওষুধ না-খেয়ে বরং ডাক্তারের পরামর্শ মতোই তা খেতে হবে।
সমস্ত সমস্যার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন নেই। যেমন - মৃদু ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি অথবা জ্বর, যা মোটামুটি ১ থেকে ২ দিন স্থায়ী হয়, তার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না। খুব প্রয়োজন নাহলে খাওয়ার দরকারই নেই। সাধারণ ডায়েরিয়া, পেট খারাপের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খেলে চলবে না। ডেঙ্গিও কিন্তু ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ। যার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
March 28, 2023 7:53 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Misuse of Antibiotics: জ্বর-সর্দি হলেই মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন? এতে স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ