#নয়াদিল্লি: অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেন। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয়। ভিটামিনের সঠিক ডোজ বেশিরভাগেরই অজানা। শুধু ইন্টারনেট ঘেঁটে কিংবা কয়েকটা প্রতিবেদন পড়ে এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া মুশকিল। ভিটামিন শরীরের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু এটা তখনই কাজে আসে যখন সঠিক পরিমাণে প্রদান করা হয়। ভিটামিনের মাত্রাছাড়া ডোজ গ্রহণ করলে সেটা শরীরের জন্য বিষবৎ হয়ে দাঁড়ায়।
ভিটামিন ডি শরীরের জন্য অপরিহার্য: ভিটামিন ডি স্বতন্ত্র। কারণ কোনও খাবার নয়, এটা সূর্যালোক থেকে পাওয়া যায়। এটি শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে হাড়কে সুস্থ রাখে। ভিটামিন ডি-র মাত্রা কম হলে প্রথমেই হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর অভাবে বাচ্চাদের রিকেট এবং প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওম্যালাসিয়া রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য শরীরে ভিটামিন ডি সরবরাহ করা খুবই জরুরি।
আরও পড়ুন - Weight Loss Tips: ওজন এমন হুড়মুড়িয়ে কমবে, নিজেই দেখে ভাববেন ম্যাজিক নাকি!ভিটামিন ডি-র ওভারডোজের কারণে হাসপাতালে ভর্তি মধ্যবয়সী ব্যক্তি: সম্প্রতি অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন ডি বা হাইপারভিটামিনোসিস ডি নেওয়ার ফলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় এক মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি তিন মাস ধরে প্রতিদিন ২০টিরও বেশি ভিটামিন, খনিজ, পুষ্টি এবং বিভিন্ন প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট নিচ্ছিলেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাঁর শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় ৭ গুণ বেশি ভিটামিন ডি রয়েছে। ক্যামসিয়ামের পরিমাণও অনেক বেশি ছিল।
তাঁর উপসর্গ কী ছিল: এর ফলে বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, ঘন ঘন জল তেষ্টা, ডায়রিয়া, ওজন কমে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগছিলেন। কিন্তু তারপরেও সাপ্লিমেন্ট নেওয়া বন্ধ করেননি।
আরও পড়ুন - Hooghly News: ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসলেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ অভিভাবকদের কপালে, কেন এমন...ভিটামিন ডি কখন হুমকি স্বরূপ: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভিটামিন ডি গ্রহণের মাত্রা ২০ থেকে ৪০ এনজি/এমএল। এর বেশি হলেই সেটা শরীরে বিষের কাজ করে। অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এর সঠিক ডোজ নিয়ে সচেতনতার অভাবে রয়েছে। কিন্তু অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ভিটামিন ডি নেন। ফলে বারবার ওভারডোজের ঘটনা সামনে আসে।
কেন ভিটামিন ডি-র ওভারডোজ একটা সমস্যা: ভিটামিন ডি-র ওভারডোজের মূল সমস্যা হল, এটা শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণে কার্যকর - দুটি উপাদানই হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতাকেও প্রভাবিত করে। শরীরে ক্যালসিয়ামের উচ্চ মাত্রার কারণে কিডনিতে ক্যালসিফিকেশন ঘটে। যার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। এতে অনেক সময় শরীরে জল কমে যায়। শুধু তাই নয় কিডনি ফেলিওরের সম্ভাবনাও বাড়ে।
শরীরে ভিটামিন ডি ওভারডোজের লক্ষণ ও উপসর্গ: ভিটামিন ডি ওভারডোজের সাধারণ লক্ষণগুলি হল: বমি বমি ভাব, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য, খিদে কমে যাওয়া, অনিয়মিত মলত্যাগ, বিভ্রান্তি, বিষণ্ণতা, সাইকোসিস এবং চরম ক্ষেত্রে কোমা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।