Epilepsy: খিঁচুনি হলে কী ভাবে সাহায্য করবেন রোগীকে! জেনে নিন বিস্তারিত
- Published by:Anulekha Kar
Last Updated:
জেনে নেওয়া যাক অ্যাস্টর সিএমআই হাসপাতাল বেঙ্গালুরুর নিউরোলজি ও এপিলেপ্টোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট চিকিৎসক কেনি রবীশ রাজীবের কাছ থেকে!
কলকাতা: মৃগী এক ধরনের স্নায়বিক রোগ। যা আমাদের মস্তিষ্কের কাজে বাধা সৃষ্টি করে থাকে। এর ফলে মস্তিষ্ক থেকে স্নায়ুপথে বার্তা মানব শরীরের কোষে কোষে প্রবাহিত হতে পারে না। তখন খিঁচুনির মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এই খিঁচুনি আসলে এক ধরনের অনিচ্ছাকৃত পেশি সঞ্চালন। অনেক সময় দেখা যায় রোগী অস্বাভাবিক নড়াচড়া করে, বা কাঁপতে থাকে। আবার অনেক সময় স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। সাধারণত ২০ সেকেন্ড থেকে মিনিট দুয়েকের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু যদি দেখা যায় মিনিট পাঁচেক এমন খিঁচুনিতে ভুগছে রোগী, তবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
advertisement
আচমকা কেউ এমন খিঁচুনিতে আক্রান্ত হলে ঠিক কী করা উচিত জেনে নেওয়া যাক অ্যাস্টর সিএমআই হাসপাতাল বেঙ্গালুরুর নিউরোলজি ও এপিলেপ্টোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট চিকিৎসক কেনি রবীশ রাজীবের কাছ থেকে—
advertisement
রবীশের মতে, এধরনের সমস্যা খুব সাধারণ হলেও কখনও কখনও তা মারাত্মক হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীর ক্ষতি কম করতে চিকিৎসকের পরামর্শ যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি চিকিৎসাও প্রয়োজন।
advertisement

কী ভাবে খিঁচুনি আক্রান্তকে সাহায্য করা যায়:
কোনও বড় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আগেই আশপাশে থাকা মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
১. রোগীর পাশে ভিড় জমতে দেওয়া যাবে না, যাতে তিনি খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারেন।
২. আঁটসাঁট জামা থাকলে যতটা সম্ভব তা ঢিলে করে দিতে হবে। বিশেষত ঘাড়ের কাছে।
advertisement
৩. কাছে কোনও ধারালো বস্তু যেমন কাচ, আয়না, লোহার পাত থাকলে তা সরিয়ে ফেলাই ভাল।
৪. রোগীর পাশে থাকতে হবে। সঙ্গে একটা বালিশ রাখা যেতে পারে।
advertisement
৫. কতক্ষণ খিঁচুনি হচ্ছে তা খেয়াল রাখতে হবে।
৬. অচেনা মানুষের এমন হলে তাঁর ব্যাগে বা হাতে কোনও জরুরি নম্বর রয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখতে হবে।
৭. রোগীর মুখে কোনও কিছু ঢোকানো যাবে না। জল খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই যতক্ষণ না তিনি সুস্থ হচ্ছেন।
৮. খিঁচুনি থেমে গেলে রোগীকে একপাশে কাত করে দিতে হবে, চোয়াল সামনে দিকে রাখতে হবে। যাতে তিনি শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারেন। আসলে খিঁচুনির সময় রোগীর জিহ্বা গোল হয়ে পিছন দিকে চলে যেতে পারে। সেসময় শ্বাস কার্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
advertisement
চিকিৎসকের পরামর্শ:
পাঁচ মিনিটের বেশি খিঁচুনি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তাছাড়া,
১. যদি দ্বিতীয় বার খিঁচুনিতে আক্রান্ত হন রোগী,
২. খিঁচুনি থেমে যাওয়ার পর সাড়া না দেন,
৩. খিঁচুনির পর জ্বর এলেও চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
যে সমস্ত মানুষের অন্য কোনও রকম স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, যেমন, ডায়াবেটিস বা অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য এবং লাইফস্টাইলের (Lifestyle News in Bengali)সব খবরের আপডেট পান নিউজ 18 বাংলাতে ৷ যেখানে থাকছে হেলথ টিপস, বিউটি টিপস এবং ফ্যাশন টিপসও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইনগুলি অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
March 24, 2023 4:57 PM IST