হোম /খবর /স্বাস্থ্য /
করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্র্যাফটিং? এটা কতটা জরুরি? বিশদে আলোচনা করছেন বিশেষজ্ঞ

Health Tips|| করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্র্যাফটিং? এটা কতটা জরুরি? বিশদে আলোচনা করছেন বিশেষজ্ঞ

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্র্যাফটিং। প্রতীকী ছবি।

করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্র্যাফটিং। প্রতীকী ছবি।

Health Tips: আলোচনা করছেন বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটির কাবেরী হাসপাতালের কনসালট্যান্ট কার্ডিওথোরাসিক ও ভাস্কুলার সার্জন ডা. রাজেশ টি আর।

  • Share this:

কলকাতাঃ করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফটিং বা সিএবিজি হল এক ধরনের হৃদযন্ত্র সম্বন্ধীয় অস্ত্রোপচার। আর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের হামেশাই এই পন্থা অবলম্বন করতে হয়। হার্টের মধ্যে থাকা রক্তনালীগুলির মধ্যে ব্লকগুলিকে মূলত এই সার্জারির মাধ্যমে বাইপাস করা হয়। শুনেই ভয় হচ্ছে তো। আসলে এটা ততটাও আতঙ্কের নয়। আসলে রোগীদের হার্টের সমস্যা ও হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচানোর জন্য এই সার্জারি করা হয়। এই সার্জারির মাধ্যমে হার্টের কার্যকারিতাও বেড়ে যায়। এ বিষয়ে আলোচনা করছেন বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটির কাবেরী হাসপাতালের কনসালট্যান্ট কার্ডিওথোরাসিক ও ভাস্কুলার সার্জন ডা. রাজেশ টি আর।

অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস:

এক্ষেত্রে ধমনীগুলি দৃঢ় এবং সংকীর্ণ হয়ে যায়। এটা সাধারণত হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও অন্য কার্ডিওভাস্কুলার রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। রক্তনালীর দেওয়ালে ফ্যাট জমে প্লাক তৈরি হয়। হার্টের রক্তনালীর ভিতরেও প্রবেশ করে। যার ফলে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। আর রক্তও ঠিক মতো হৃদযন্ত্রে পৌঁছতে পারে না।

কার্ডিওথোরাসিক ও ভাস্কুলার সার্জন ডা. রাজেশ টি আর। কার্ডিওথোরাসিক ও ভাস্কুলার সার্জন ডা. রাজেশ টি আর।

আরও পড়ুনঃ অল্প খাওয়ার পরেই বমি ভাব, পেট ভার? অজান্তেই বড় রোগ বাঁধাচ্ছেন না তো? জানুন

অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস ও সিএবিজি:

অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের জেরে হওয়া করোনারি হার্ট ডিজিজের চিকিৎসার জন্য সিএবিজি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। তবে এই পদ্ধতি প্রথমেই অবলম্বন করা হয় না। প্রচুর ওষুধপত্র খেয়ে কিংবা এক বা একাধিক অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করেও সমস্যা না মিটলে তবেই সিএবিজি-র শরণপন্ন হতে হয়।

সিএবিজি-তে কী হয়?

সিএবিজি সার্জারির ক্ষেত্রে রোগীর দেহের অন্য কোনও অংশ থেকে রক্তনালীর একটা সেগমেন্ট নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বিশেষ করে বুক (ইন্টারনাল ম্যামারি আর্টারি - এলআইএমএ ও আরআইএমএ), পা (শিরা), হাত (রেডিয়াল আর্টারি)-সংলগ্ন এলাকা থেকেই রক্তনালীর অংশ নেওয়া হয়। নতুন যে রক্তনালী তৈরি হয়, তা গ্রাফট হিসেবে পরিচিত। এতে হার্টে পৌঁছনো এবং ব্লক বাইপাস করার জন্য রক্ত চলাচলের নতুন পথ তৈরি হয়। ব্লকেজের উপর ভিত্তি করে রোগীদের একাধিক বাইপাসের প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুনঃ ধূমপান ছাড়তে চাইছেন অথচ পারছেন না? নানা সমস্যা এড়িয়ে কীভাবে সফল হবেন? জানুন

বিটিং হার্ট সিএবিজি:

সাধারণত হৃদস্পন্দন চলাকালীনই ডাক্তাররা বাইপাস সার্জারি করেন। বছরের পর বছর ধরে এই পন্থাই জনপ্রিয় হয়েছে। কারণ এটা দ্রুত সম্পন্ন হয়। আর ঝুঁকিও বেশ কম। এই সার্জারির ক্ষেত্রে ডাক্তাররা একটি টিস্যু স্টেবিলাইজেশন সিস্টেম ব্যবহার করেন।

মিনিমাল অ্যাক্সেস সিএবিজি:

এটা মিনিমালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি অথবা এমআইসিএস সিএবিজি নামেও পরিচিত। সাধারণত হার্টের অস্ত্রোপচারের জন্য ব্রেস্টবোন পুরোপুরি কাটা হয়। কিন্তু এমআইসিএস সিএবিজি-তে ব্রেস্টবোন পুরোপুরি খোলা হয় না।

সিএবিজি পরবর্তী জীবন:

বাইপাস সার্জারির পরে সাধারণত ৫-৭ দিনেই রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এর পরে লাইফস্টাইল ও অভ্যেসের মান উন্নত করে হবে। এই সার্জারির পরে নিম্নোক্ত উপায়ে জীবনযাপন করা উচিত:

স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

নিয়মিত এক্সারসাইজ করা উচিত।

ওজন বেশি অথবা ওবেসিটি থাকলে ওজন কমানো ঠিক নয়।

হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Health Tips