হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
সেক্সটিং থেকে কি ভবিষ্যতে বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হয়? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ

সেক্সটিং থেকে কি ভবিষ্যতে বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হয়? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ

সংস্থা জানিয়েছে যে এই নতুন ফিচারের ক্ষেত্রেও সবগুলিতেই এন্ড-টু-এন্ড মেসেজ এনক্রিপশনের বিষয়টি বজায় রাখা হবে। আপাতত স্বল্প কিছু ইউজারের মধ্যে বেটা ভার্সনে এই ফিচারের টেস্টিং চলছে, সেই কাজ শেষ হয়ে গেলে সবার জন্য ফিচার বাজারে আসবে।

সংস্থা জানিয়েছে যে এই নতুন ফিচারের ক্ষেত্রেও সবগুলিতেই এন্ড-টু-এন্ড মেসেজ এনক্রিপশনের বিষয়টি বজায় রাখা হবে। আপাতত স্বল্প কিছু ইউজারের মধ্যে বেটা ভার্সনে এই ফিচারের টেস্টিং চলছে, সেই কাজ শেষ হয়ে গেলে সবার জন্য ফিচার বাজারে আসবে।

যখন দু'জন নিজেদের মধ্যে যৌন আনন্দের আবহ তৈরি করেন, লেখার মাধ্যমে পরস্পরের শরীর ছোঁওয়ার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলেন, তখন সেই ভার্চুয়াল সে

  • Share this:

সেক্সটিং কথাটা একটা সন্ধিযুক্ত শব্দ। যা একেবারেই এই যুগের মানসিকতা এবং টেকনোলজি ব্যবহারের প্রবণতার উপরে আলোকপাত করে। টেক্সটিং মানে হল চ্যাটের মাধ্যমে কারও সঙ্গে কথোপকথন চালানো। এখানে আমরা কথা বলছি না, বরং লিখছি। এই উপায়েই যখন দু'জন নিজেদের মধ্যে যৌন আনন্দের আবহ তৈরি করেন, লেখার মাধ্যমে পরস্পরের শরীর ছোঁওয়ার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলেন, তখন সেই ভার্চুয়াল সেক্সকে বলা হয় সেক্সটিং!

সাইবার ক্রাইমের যুগে এই সেক্সটিং কতটা নিরাপদ? এক পাঠিকা যখন সেই কথাটা তাঁর চিঠির মাধ্যমে জানতে চাইলেন, মুখ খুললেন বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল। মানসিক দিক থেকেও বিশ্লেষণ করার চেষ্টা রলেন ব্যাপারটিকে। কেন না, ওই পাঠিকা জানিয়েছেন যে ডেটিং অ্যাপে সম্পূর্ণ অপরিচিত এক ব্যক্তির সঙ্গে সেক্সটিং করার পরে তাঁর মনে ভয় আর অপরাধবোধ দুই কাজ করছে!

সাইবার ক্রাইমের কথা মাথায় রেখে ভয়ের কারণ না হয় বোঝা গেল! কিন্তু অপরাধবোধের প্রসঙ্গ উঠবে কেন?

পল্লবী বলছেন যে এর মূলে আছে সামাজিক চাপ। আমাদের সমাজ এখনও তার সদস্যদের যৌন স্বাধীনতা দিতে শেখেনি, বিশেষ করে মেয়েদের তো কখনই নয়। প্রযুক্তির অগ্রগতির যুগে সেক্সটিং জলভাত হয়ে এলেও ধরে নেওয়া হয় যে তা কেবল মনের মানুষের ক্ষেত্রেই আটকে থাকবে। এই সব প্রচলিত ধারণার জাঁতাকলে আটকে পড়েই যে অপাধবোধ তৈরি হয়, তা জানিয়েছেন পল্লবী। পাশাপাশি, বলতে ভোলেননি যে সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে সেক্সটিং কোনও অপরাধ নয়, অতএব দ্বিধা মন থেকে ঝেড়ে ফেলা ভালো!

এর ঠিক পরের ধাপেই পল্লবী বলছেন যে উল্টো দিকের ব্যক্তি সম্পূর্ণ অপরিচিত হলেও তাঁর সঙ্গে সেক্সটিং বিপদের আবহ তৈরি করে না। কেন না, অনেকেই আজকাল আমাদের দেশে নিজের যৌনতা উদযাপনের জন্য সেক্সটিংকে বেছে নেন। পাশাপাশি, কারও যৌন পছন্দ-অপছন্দ জানার ক্ষেত্রেও কাজ করে সেক্সটিং, এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ব্যক্তিটির সঙ্গে দেখা করা যায় কি না, সেই দ্বিধা মন থেকে দূর হয়ে যায়।

তবে একটা কথা মাথায় রাখতে বলছেন পল্লবী! নিজের যৌনতা উদযাপনের জন্য, একাকিত্ব কাটানোর জন্য সেক্সটিং ভুল কিছু নয়। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত অঙ্গের ছবি শেয়ার না করাই উচিৎ হবে। তার সূত্রেই মরফিং বা অন্য কোনও সাইবার ক্রাইমের হাত ধরে ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের জায়গা তৈরি হতে পারে। এই নিয়ে সতর্ক থাকলে সেক্সটিংয়ে কোনও অসুবিধা নেই!

Pallavi Barnwal

Published by:Ananya Chakraborty
First published:

Tags: Cyber Crime, Sexual Tips, Sexual Wellness