Mango: গর্ভাবস্থায় কাঁড়ি কাঁড়ি আম খাচ্ছেন না কি? ভুল করছেন, মেনে চলুন এই ১০ নিয়ম

Last Updated:

Eating Mangoes during Pregnancy: প্রেগন্যান্ট হলে আম খাওয়ার ব্যাপারে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে। এই সময় আম খাওয়া পুষ্টিকর হলেও কিছু ঝুঁকি থেকেই যায়।

#কলকাতা: সুস্বাদু পাকা আম হোক কিংবা মুখরোচক কাঁচামিঠে আম (Mango), গরম কাল জুড়ে ফলের রাজাকে উপভোগের সময়। আম খেতে যেমন ভাল লাগে তেমনই শরীরের জন্যও খুব উপকারী। তবে প্রেগন্যান্ট হলে আম খাওয়ার ব্যাপারে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে। এই সময় আম খাওয়া পুষ্টিকর হলেও কিছু ঝুঁকি থেকেই যায় (Eating Mangoes during Pregnancy)।
অতিভোজন নয়: গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত আম খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। দিনে কটা আম খাওয়া চলতে পারে সেই নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ যা শিশুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে সমস্যা হতে পারে। সাধারণত দিনে একটার বেশি আম না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
advertisement
advertisement
যেন কার্বাইড দিয়ে পাকানো না হয়: অতিরিক্ত খেতে বারণ করার অন্যতম কারণ হল, আম পাকাতে অনেক সময় কার্বাইড ব্যবহার করা হয়। ২০১৬ সালে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই রাসয়নিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। তাই আম খাওয়ার সেটা প্রাকৃতিক ভাবে পেকেছে কি না বা কার্বাইড ছাড়াই পেকেছে, আগে এটা নিশ্চিত করতে হবে।
advertisement
ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ: চিকিৎসক ক্যালোরি গ্রহণের পরামর্শ দিলে তবেই গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া চলতে পারে। নচেৎ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। গর্ভাবস্থায় মুখরোচক খাওয়ার ইচ্ছে হয়। তাই বলে আইসক্রিম বা চিনির সঙ্গে আম মিশিয়ে খাওয়া চলবে না। এতে ক্যালোরির ভারসাম্য নষ্ট হয়। ডায়াবেটিস বা অতিরিক্ত ওজন থাকলেও আম খেতে বারণ করা হয়।
advertisement
আচার নয়: আচারের পরিবর্তে সরাসরি খোসা ছাড়ানো পাকা আম খাওয়াই ভালো। আমের আচার খেলে অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে। তাছাড়া গর্ভকালীন নানা সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। আচারে অনেক তেল এবং নুন দেওয়া হয়, যা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়।
পুষ্টিগুণে ভরপুর: আমে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ, সি, ডি রয়েছে। এতে থাকা বায়োফ্ল্যাভোনয়েড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশাল ভূমিকা পালন করে। উচ্চ ফাইবার এবং পটাশিয়াম সামগ্রী থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন এমন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আম খুব উপকারী।
advertisement
ফাইবার সমৃদ্ধ: আমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই একটা খেলেই অনেকটা সময় পেট ভর্তি থাকে। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে মহিলারা হজম সংক্রান্ত একাধিক সমস্যায় ভোগেন। আমের মাধ্যমে এর মুখরোচক সমাধান সম্ভব।
হিমোগ্লোবিন বাড়ায়: আম শুধু আয়রনের সবচেয়ে বড় উৎস তাই নয় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে। ভারতের অধিকাংশ গর্ভবতী মহিলারাই হিমোগ্লোবিনের অভাবে ভোগেন। এক্ষেত্রে দারুণ কাজে আসতে পারে আম।
advertisement
ভ্রুণের বিকাশ: আমে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড ভ্রূণের মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের বিকাশে সহায়তা করতে পারে। অনেক সময় গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে নিউরাল টিউবে ত্রুটি দেখা যায়। নিয়মিত আম খেলে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তা ছাড়া ভিটামিন বি৬ ভ্রূণের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
সকালের অসুস্থতা: আমে রয়েছে ভিটামিন বি৬, যা বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণ করে সকালের অসুস্থতা দূর করতে পারে। এর মিষ্টি স্বাদ বমির প্রবণতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। গর্ভাবস্থায় আম খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে কয়েকটি বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যাতে মা এবং শিশু নিরাপদে ফলের রাজা থেকে লাভবান হতে পারে!
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Mango: গর্ভাবস্থায় কাঁড়ি কাঁড়ি আম খাচ্ছেন না কি? ভুল করছেন, মেনে চলুন এই ১০ নিয়ম
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement