#কলকাতা: কে আর কবে খাবারের ইতিহাস-ভূগোল নিয়ে খেয়াল রেখেছে? খাদ্যকণা মুখের মধ্যে পৌঁছে, লালারসে মাখামাখি হয়ে জিভের কোরকগুলোকে যখন সন্তুষ্ট করে, মুখটা যখন আপার তৃপ্তিতে আধো চোখ বোজা মূর্তির সৃষ্টি করে...তখন কী আর খাবারের জাতপাত নিয়ে বিচার করার সময় থাকে বাঙালির? তার উপর সেই খাবারের নাম যখন ‘বিরিয়ানি’ হয়, তখন এ রকম কোনও ‘ফালতু’ তর্কে কেন বেকার বুদ্ধি খরচ করা বাপু?
তার চেয়ে বরং পুজোয় রাত জেগে লাইন দিয়ে, জন্মদিন বা বিয়ের পার্টিতে প্লেটে পাহাড় প্রমাণ সাজিয়ে নিয়ে, অথবা কাল অমুক, পড়শু তমুকের অজুহাত খাড়া করে, লম্বা লম্বা চালের ভাত, মাংস আর পরম আদরের আধখানা আলুকে পেটের মধ্যে চালান করে দেওয়া অনেক বেশি সহজ । নবাবের হেঁসেলের এমন মহার্ঘ্য খাদ্যটি ছাড়া বাঙালির দুর্গোৎসব যেন ওই আলুর মতোই আধখানা হয়ে যায় ।
সেই বিরিয়ানি প্রিয় বাঙালির মনপসন্দ নবাবিখানা সাজিয়ে পুজোর সময় দরজা খুলে বসে রয়েছে ‘অওধ ১৫৯০’। তিলত্তমার বুকে অওয়াধি বিরিয়ানির সেরা ঠিকানা । ভেজ আর নন ভেজ, দু’ধরনের অপশনই পেয়ে যাবেন ।
তাহলে শুরু করা যাক বাদামের শরবৎ দিয়ে । এরপর স্টার্টারে থাকছে মুর্গ জাফরানি কাবাব, শাহি টেংরি কাবাব, কলমি কাবাব, কাকরি কাবাব, গালৌটি কাবাব, ফিস টিক্কা, কর্ন শিক কাবাব, ভেজ গালৌটি কাবাব, শাহি দহি কাবাব, মাশরুম গালৌটি কাবাব ।
মেইন কোর্সে পেয়ে যাবেন, আওয়াধি গান্ডি বিরিয়ানি, মুর্গ বিরিয়ানি, গোস্ত বিরিয়ানি, ঝেঙ্গা বিরিয়ানি, সুব্জ সোয়া বিরিয়ানি, ভেজ কষা, লখনঔ পরোটা, রুমালি রুটি, বাটার নান, প্লেন নান, নেহারি খাস, কিমা কলেজি, মুর্গ কষা, মুর্গ ইরানি, মুর্গ রেজালা, গোস্ত রোঘানজোস, গোস্ত ভূনা, গোস্ত রেজালা, মাহি কালিয়া, ইরানি ঝেঙ্গা মশালা, সুব্জ মাখান মশালা, পনীর কোর্মা, আওয়াধি ডাল, লসুনি পালং ।
শেষ পাতে মিষ্টি মুখ । ডেসার্টে থাকছে ফিরনি আর শাহি টুকরা ।
শেফের পছন্দের আইটেমগুলো কিন্তু চেখে না দেখলেই নয় । যেমন- জাফরানি কাবাব, মাশরুম গালৌটি কাবাব, কলমি কাবাব, রণ বিরিয়ানি, গোস্ত বিরিয়ানি, সুব্জ সোয়া বিরিয়ানি, কিমা কলেজি, গোস্ত ভূনা, মাহি কালিয়া লসুনি পালং ও শাহি টুকরা ।
পুজো স্পেশ্যাল এই মেন্যু নিয়ে ‘অওধ ১৫৯০’ আপনার জন্য তৈরি থাকছে ১৯ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত । দু’জনের খাওয়ার খরচও একেবারে আয়ত্তের মধ্যেই । ১,২০০ টাকা (কর অতিরিক্ত)। দেশপ্রিয় পার্ক, সল্টলেক, বিবেকানন্দ পার্ক, যশোর রোড এবং নাকতলায় ‘অওধ ১৫৯০’-এর প্রতিটি আউটলেটেই পাবেন সবক’টি মেন্যু । খোলা থাকছে দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ।
ছবি: ‘অওধ ১৫৯০’-র সৌজন্যে