হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
মানসিক অবসাদ কাটাতে কতটা কাজে দেয় মিউজিক থেরাপি, ব্যাখ্যা দিল বিজ্ঞান

মানসিক অবসাদ কাটাতে কতটা কাজে দেয় মিউজিক থেরাপি, ব্যাখ্যা দিল বিজ্ঞান

প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ মিনিট মিউজিক (music) ব্রেক নিলে মস্তিষ্কের কোষ উজ্জীবিত হয়

  • Last Updated :
  • Share this:

#নয়াদিল্লি: ভাল গান শুনলে কি সত্যিই মন ভালো হয়ে যায়? অবসাদ কম করতে আদৌ কতটা কাজে দেয় মিউজিক থেরাপি? অতিমারীর জেরে শুরু হল দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন। আর এই লকডাউনের জেরে ভয়, আতঙ্ক, অস্থিরতা এবং একাকীত্ব সব চেপে বসেছে বহু মানুষের উপর। এই বিষয় নিয়েই কয়েকজন গবেষক কাজ করেছেন। তাঁরা দেখিয়েছেন যে সামনেই অনেকগুলো উৎসব আছে। আর এই ঋতুতে সঙ্গীত মনের চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।

কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসবে বড়দিন বা ক্রিসমাস। অনেকেই এই নিয়ে নেগেটিভ আবেগে জর্জরিত হয়েছেন। এমনিতেই শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত, রয়েছে কাজ হারানোর আশঙ্কাও। তাছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কোনও উৎসব পালনেও অনেক সমস্যা আছে। তার চেয়েও বড় চিন্তা হল আগামী ভবিষ্যতে কী হবে? এইসব নেগেটিভ চিন্তা শরীর ও মনের ক্ষতি করে। মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম Qobuz এর ওয়েলনেস (wellness) বিশেষজ্ঞ শন লুজি বলেছেন এইসব আজেবাজে চিন্তা দূর করার জন্য দরকার ইমোশনাল ডিটক্স। আমাদের স্নায়ুতন্ত্রে এবং নিউরোএনডোক্রাইনকেও প্রভাবিত করে ভাল গান ও বাজনা। আমাদের মস্তিষ্কে বা মনের মধ্যে যে বিষাক্ত চিন্তা ভাবনা ও আবেগ ঘোরাফেরা করে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে মানসিক চাপ অনেকটাই কম করে দিতে পারে ভালো গান।

অনেকেই আছেন যারা সময় কাটানোর জন্য গান (Songs) শোনেন। সেই কারণেই অনেককেই দেখা যায় খেতে খেতে বা ঘরের কাজ করতে করতে গান শুনছেন। লুজি বলেছেন এতে অবসাদ বা টক্সিক আবেগ কোনওটাই দূর হয়না। গান শোনার জন্য আলাদা সময় বের করতে হয়। যাতে পুরো মনোযোগ গানের প্রতিই থাকে। প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ মিনিট মিউজিক (music) ব্রেক নিলে মস্তিষ্কের কোষ উজ্জীবিত হয়।

এই গবেষণার কাজটি করেছেন বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক। আমেরিকা ও চিনের কয়েকজন অধিবাসীদের থেকে তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করেন। নানা রকমের হিট গান এঁদের শোনানোর পর দেখা গেছে যে গান শোনার সময় ১৩ রকমের আবেগ সঞ্চারিত হচ্ছে। জ্যাজ আর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত যে মন শান্ত করে একথা আগে থেকেই জানা আছে আমাদের। কিন্তু অন্যান্য অনেক গানের সঙ্গে নানা সুখস্মৃতি জড়িয়ে থাকে। টাই সেই গানগুলোও শোনা উচিৎ। যদি এমন কোনও গান থাকে যেটা ছোটবেলায় ভালো লাগত সেটাও শোনা উচিৎ বলে দাবী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে লজ্জার কিছু নেই বলেছেন তাঁরা।

হার্ভার্ড( Harvard Study) বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৪ এবং ১৯৯৯ এ চারটি ট্রায়াল দিয়ে দেখেছিলেন। তাতে দেখা গেছিল যে মিউজিক মানসিক চাপ কমায়। ২০০৬ এও ৬০ জন ক্রনিক ব্যথার রোগীদের উপর মিউজিক থেরাপি করে দেখা গেছিল যে গানবাজনা ব্যথা, অবসাদ এগুলো কম করে। ২০০৯ এ মিউজিক থেরাপি করে দেখা হয়েছিল যাঁদের ঘুমের সমস্যা আছে তাঁদের উপর। গান যে ঘুম নিয়ে আসতেও সাহায্য করে সেটা প্রমাণিত হয়েছিল।

Published by:Ananya Chakraborty
First published:

Tags: Anxiety, Depression, Music therapy