থাইরয়েডের সমস্যা? এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে!

Last Updated:

সাধারণত এই রোগ পুরোপুরি নির্মূল হয় না। তবে কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চললে হাইপোথাইরয়ডিজম বা থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

#কলকাতা: একটা ছোট্ট গ্রন্থি, কিন্তু সেটা যদি কোনও কারণে নিয়মের বাইরে চলে যায়, তা হলে মহা মুশকিল! থাইরয়েড হল এমন একটি সমস্যা যার সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না। কিন্তু একটু বুঝে-শুনে চললেই এটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন (Hormone) আমাদের শরীরের পক্ষে খুব উপকারী। এই হরমোন মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ সারিয়ে তুলতে কাজে দেয়। এই হরমোনের নিঃসরণ কম বা বেশি হলেই নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময়ে নানা কারণে এই গ্রন্থি সঠিক পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়। তখন বিনা পরিশ্রমেও ক্লান্তি দেখা দেয়, বাড়তে থাকে ওজন।
advertisement
চিকিৎসার ভাষায় একেই হাইপোথাইরয়ডিজম (Hypothyroidism) বলে। সাধারণত এই রোগ পুরোপুরি নির্মূল হয় না। তবে কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চললে হাইপোথাইরয়ডিজম বা থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
advertisement
থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা থাকলে প্রথমেই এড়িয়ে চলতে হবে জাঙ্ক (Junk Food) ও প্রসেসড খাবার। খেতে ভাল লাগলেও যাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য এ ধরনের খাবার বিষের সমান। প্যাকেটজাত মাংস, চিপস, কেক বা ক্যান ভর্তি নরম পানীয়র মধ্যে কোনও পুষ্টিগুণ থাকে না। কিন্তু এগুলোর মধ্যে থাকে প্রচুর চিনি আর নুন। থাইরয়েডে হজম ক্ষমতা কমে যায়, তাই বাড়তি ক্যালোরি কম করা একটা সমস্যা হয়ে যায়।
advertisement
থাইরয়েড থাকাকালীন মুড সুইংয়ের (Mood Swings) সঙ্গে অ্যালকোহলের যোগ আছে। অতি মাত্রায় অ্যালকোহল (Alcohol) সরাসরি থাইরয়েড গ্রন্থিকে প্রভাবিত করে। এতে আচমকা হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায় বা কমে যায়।তাই এড়িয়ে চলা উচিৎ অ্যালকোহলও।
সকালে এক কাপ কফি না হলে অনেকেরই চলে না। কিন্তু যাঁদের থাইরয়েড আছে, তাঁদের জন্য কফি (Coffee) গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সকালে উঠে থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পর যদি চিকিৎসক অনুমতি দেন, একমাত্র তা হলেই ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর সারা দিনে মাত্র এক কাপ কফি পান করা যেতে পারে।
advertisement
থাইরয়েড থাকলে এড়িয়ে চলতে হবে গম, বার্লি, মিলেট জাতীয় খাবার। কারণ এতে গ্লুটেণ থাকে। কফির মতো গ্লুটেনও (Gluten) থাইরয়েডের সমস্যায় শরীরের পক্ষে অতীব ক্ষতিকর। তবে গ্লুটেনমুক্ত খাবার যেমন কিনোয়া, রাগি এগুলো খাওয়া যেতে পারে।
এমনিতে যাঁদের থাইরয়েড আছে, তাঁদের সবজি খেতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু ব্রোকোলি, বাঁধাকপি (Cabbage) এগুলোর মধ্যে গোইট্রোজেন আছে। এই উপাদান থাইরয়েড উৎপাদন কমিয়ে দেয়। তবে এই নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। অনেক চিকিৎসক বলেন যে ভাল করে রান্না করে খেলে এই সবজি খাওয়া যেতে পারে।
advertisement
হাইপোথাইরয়ডিজমের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে আইসোফ্ল্যাভোনস, যা থাকে সোয়া, সোয়া মিল্ক ও তোফুতে। যদিও থাইরয়েড গ্রন্থির উপর সোয়াজাত খাবারের প্রভাব কতটা, সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে সুরক্ষিত থাকার জন্য এই জাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভাল!
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
থাইরয়েডের সমস্যা? এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement