COVID 19: করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের নতুন হাতিয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার 'হ্যামার অ্যান্ড ডান' মডেল

Last Updated:

দক্ষিণ কোরিয়ার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গণহারে টেস্টিং ফেসিলিটির নীতি নিয়েছিল।

#কলকাতাঃ করোনা মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া মডেল অনুসরণ করতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। দক্ষিণ কোরিয়ায় যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে ভয়াবহ অবস্থার দিকে এগোচ্ছিল সেখানকার পরিস্থিতি। দ্রুত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল, তার সঙ্গে বাড়ছিল মৃত্যু। ১০ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে আড়াই হাজার মানুষ কোরিয়ার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। মৃত্যুও বাড়তে থাকে। এখন দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯,২২৪১। যার মধ্যে ৪,১৪৪ জনকে  সুস্থ করে বাড়ি পাঠান সম্ভব হয়েছে। ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে গত এক সপ্তাহে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। মৃত্যুও প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে একথা বলাই যায়, প্রাণঘাতী করোনা আটকাতে অনেকটাই সফল দক্ষিণ কোরিয়া। যেখানে গোটা ইউরোপে এমনকি আমেরিকাতেও প্রাণঘাতী করোনা আরও বেশি করে থাবা বসাচ্ছে, সেখানে দক্ষিণ কোরিয়া যেভাবে এই করোনাকে আটকাতে পেরেছে,  তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া শুধু করোনাকে ঠেকিয়ে রেখেছে তাই নয়, তারা কোনও সময় ভেঙে পড়েনি। সেখানকার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গণহারে টেস্টিং ফেসিলিটি নীতি নিয়েছিল। সেই পথেই হাঁটছে আমাদের রাজ্য। বর্তমানে রাজ্যে গণহারে টেস্ট করা হচ্ছে। আগামিদিনে উপসর্গ থাকলে টেস্ট না করে কাউকে ঘুরে বেড়াতে দেওয়া হবে না। কারণ, একজনের শরীরে এই করোনা ভাইরাস ঢুকলে, তা ন্যূনতম চারজনের শরীরে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়াবে। যে কোনও জায়গায় জমায়েত নিষিদ্ধ করতে কড়া হাতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। উন্নত দেশগুলির একাধিক ভুলের কারণে সংক্রমণে মৃত্যুর হার বেড়েছে। বহু প্রথম বিশ্বের দেশে করোনা পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, যে পরীক্ষা করার মতো অবস্থাতেও নেই। এমন পরিস্থিতি যাতে না হয় তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, করোনা পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়ানো হোক।
advertisement
'হ্যামার অ্যান্ড ডান' থিওরি। বৈশিষ্ট হল, লকডাউনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা আটকানো। এর ফলে করোনাকে বশে আনার মত এবং একই সঙ্গে যখনই তার সংক্রমণের গতিপথ ধীর হবে রাজ্য সরকারও নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাবে। তখন ব্যাপকভাবে করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে এমনই মনে করা হচ্ছে। এর সঙ্গে মানুষের সচেতনতা আরও যাতে বাড়ে সে চেষ্টাও করা হচ্ছে। যত বেশি সম্ভব মানুষ সচেতন ও সতর্ক হবে,ততই দ্রুত এই করোনা ভাইরাসকে আটকানো সম্ভব বলে মনে করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
advertisement
advertisement
ABHIJIT CHANDA
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
COVID 19: করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের নতুন হাতিয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার 'হ্যামার অ্যান্ড ডান' মডেল
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement