কোথায় গেল করোনার প্রাণদায়ী টোসিলিজুম্যাব ইঞ্জেকশন? তদন্তে সরাসরি স্বাস্থ্যভবন
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
Last Updated:
প্রাণদায়ী টোসিলিজুম্যাব (Tocilizumab) ইঞ্জেকশন ভায়েল গায়েব-কাণ্ডে সরাসরি স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে নতুন করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কমিটি সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাবে।
#কলকাতাঃ ২৬টি প্রাণদায়ী টোসিলিজুম্যাব (Tocilizumab) ইঞ্জেকশন ভায়েল চুরি নিয়ে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College Hospital) হাসপাতাল। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠেছিল হাসপাতাল। এ বারে ফের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য ভবন।
সরাসরি স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে নতুন করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কমিটি সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাবে। আগামী ৭২ ঘন্টা বা তিনদিনের মধ্যে দ্রুত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজে যে সাত সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে, তাতে রয়েছেন ফার্মাকোলজি ফরেনসিক-সহ নানা বিভাগের চিকিৎসক এবং নার্সিং বিভাগের অধিকারিকরা।
advertisement
আইএনটিটিইউসি সেবা দলের পক্ষ থেকে বুধবাই চুরি নিয়ে বউবাজার থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগকারীদের বক্তব্য এই ২৬ টি জীবনদায়ী ইঞ্জেকশান পরিকল্পনামাফিক ভাবে, শিশু বিভাগের দায়িত্বে থাকা সিস্টারকে বোকা বানিয়ে গায়েব করা হয়েছে। তারা চাইছেন এই দুর্নীতির যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
advertisement
বিষয়টি কানে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। বুধবারের বৈঠকে তিনি বলেন, বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের অধীনস্থ, তারাই দেখবে। মেডিক্যাল কলেজ নিজের বিষয়টি ভাল বোঝে। তারা নিজেরা বিষয়টি দেখবে। আমি কোনও রাজনৈতিক অবস্থান নেব না। মেডিক্যাল কলেজের হাতে আইনত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়াই আছে। তাঁরাই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
advertisement
এ দিকে, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এই কমিটি ইতিমধ্যেই দু'বার বৈঠকে বসেছে। প্রথমবার কী ভাবে তদন্ত হবে তার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছে। তার পরের বার বিষয়টি যাচাই করা হয়েছে। খুব শিগগিরই কমিটি যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।
প্রসঙ্গত, টোসিলিজুমাব কোনও সাধারণ ইঞ্জেকশান নয়। করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এটিকে জীবনদায়ীই বলা চলে। রোগীর শরীরে সাইটোকাইনিনের ঝড় দেখা দিলে এই ইঞ্জেকশান ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা। এক কথায় বললে, করোনা রোগীর শরীরে যে ইনফ্ল্যমেশান বা প্রদাহ তৈরি হয়, কোষে কোষে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরির বার্তা পৌঁছে দেয় টোসিলিজুমাব। ফলে এই মুহূর্তে এক কথায় তা মহার্ঘ্য। দামও প্রচুর টোসিলিজুমাবের। এক একটি টোসিলিজুমাবের বর্তমান বাজারমূল্য ৫০-৫৬ হাজার টাকা। কালোবাজারে এই ইঞ্জেকশান দুই আড়াই লক্ষ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে চুরি যাওয়া ইঞ্জেকশনের বাজারমূল্য কম করে ১০ লক্ষ টাকা।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
June 03, 2021 3:54 PM IST