ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যাতেই হাত দেবেন সেটাই ব্যর্থ হবে। তা সে সুন্দরবন হোক, জঙ্গলমহল হোক, শিল্প হোক, কৃষি হোক, কর্মসংস্থান হোক, কিংবা পাহাড়। পাহাড় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০১১ সালে ঢাক ঢোল বাজিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড় হাসছে জঙ্গলমহল হাসছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে ভারত সরকারের মধ্যস্থতায় ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু আজকে এগারো বছর পর ওই চুক্তি যে অশ্ব ডিম্ব ছিল তা প্রমাণ হল।’’ পাহাড় ও জিটিএ ইস্যুতে এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘ত্রিপাক্ষিক চুক্তির প্রধান স্টেক হোল্ডার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে। মোর্চার সম্পাদক রোশন গিরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে বলেছেন, সেই চুক্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের যে সমস্ত বিষয়গুলি ছিল তার একটাও রাজ্য সরকার কার্যকর করেনি বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। পাহাড়ের মানুষকে শুভেন্দু অধিকারীর বার্তা, ‘‘বিগত দিনে যেভাবে পাহাড়ের মানুষ বিজেপির উপর আস্থা রেখেছে আগামী দিনেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর ভরসা রাখুন। বিজেপিই একমাত্র পারবে পাহাড়কে শান্ত রাখতে এবং উন্নয়ন ঘটাতে। সেই সঙ্গে পাহাড়ের মানুষের বঞ্চনা দূর করতে।’’
আরও পড়ুন- ভাইরাল ছবি নিয়ে শোরগোল! 'বিজেপিতেই আছি', শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে 'বার্তা' হিরণের
প্রসঙ্গত, জিটিএ নিয়ে ফের সরগরম পাহাড়। শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। এই ইস্যুতেই শৈলশহরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ২০১১ সালের ১৮ জুলাই জিটিএ চুক্তি সাক্ষর হয়েছিল। শুক্রবার লিখিতভাবে সেই চুক্তিপত্র থেকে নিজেদের সাক্ষর প্রত্যাহার করে নিল মোর্চা। রাজ্য এবং কেন্দ্রের সচিব ছাড়াও ওই চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারন সম্পাদক রোশন গিরি। বারবার বলেও জিটিএর আইন সংশোধন থেকে নতুন মৌজার অন্তর্ভুক্তি হয়নি। প্রতিবাদে জিটিএ ভোটেও অংশ নেয়নি মোর্চা। ভোট পিছনোর দাবিতে আমরণ অনশনও করেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং।
আরও পড়ুন- মোদির তথ্যচিত্র দেখানোর সময় প্রেসিডেন্সিতেও অন্ধকার, দেখানো হল যাদবপুরেও
রোশন গিরি বলেন, ‘‘আমাদের দাবি পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ড। বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে বিজেপি ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সংকল্পপত্রেও উল্লেখ করেছিল। রাজ্যের কাছেও বিকল্পের সন্ধান চেয়ে ড্রাফট পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও তরফেই সাড়া মেলেনি।’’ তাই শুক্রবার একযোগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে চিঠি পাঠানো হল। আলাদা রাজ্যের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengal BJP, Suvendu Adhikari