কলকাতা : শুক্রবার ডিএ ইস্যুতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটে বেশ কিছু জেলায় স্কুল কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছিল। কয়েকটি জায়গায় তুলনামূলক কম সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকা এসেছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকেই এমনটাই অভিযোগ এসে পৌঁছচ্ছিল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে। যদিও নবান্নের তরফে বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয় বিকেল পাঁচটার মধ্যে কারা কারা অনুপস্থিত রয়েছেন তাদের তালিকা পাঠাতে। স্কুল শিক্ষা দফতর ও অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা তৈরি করতে বলে বিভিন্ন জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের। সেই তালিকায় ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে।
সূত্রের খবর প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা অনুপস্থিত ছিলেন গোটা রাজ্যজুড়ে শুক্রবার। অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নামের তালিকাও ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর জেলাভিত্তিক সেই তালিকা তৈরি করতে গিয়ে দেখা গেছে কোচবিহার জেলায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুপস্থিত থাকার সংখ্যা সব থেকে বেশি। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও লক্ষণীয়ভাবে অনুপস্থিতির হার বেশি। অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ হবে তা নিয়ে নবান্নের মতামত রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর চেয়েছে বলেই এই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন : নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরেছে ভিন রাজ্যেও, সিবিআই হঠাৎ পেল বিশাল খবর, দেখুন
নবান্নের তরফে সবুজ সংকেত পেলেই রাজ্য অর্থ দফতরের নির্দেশিকা মেনে পদক্ষেপের পথে হাঁটবে বলেই স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য অর্থ দফতর আগেই নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল শুক্রবারের ডাকা ধর্মঘটের দিন কোনও সরকারি কর্মচারী অনুপস্থিত থাকলে তাঁর সার্ভিস ব্রেক এবং শোকজ করা হবে। পাশাপাশি বেতনও কাটা যাবে। শো কজের উত্তর যথাযথ না হলে বিভাগীয় তদন্তের মুখে পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে। এর পাশাপাশি শুক্রবারই চার দফায় উপস্থিতির হার নেওয়া হবে বলেও নবান্নের তরফে বিভিন্ন জেলা ও প্রত্যেকটি দফতরকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন : উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের ২৩ জেলাতেই ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি
যদিও শুক্রবার নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল রাজ্য জুড়ে উপস্থিতির হার ৯০%-এর বেশি ছিল গতকাল। এর পাশাপাশি যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন তার মধ্যে বেশিরভাগই ছাড় দেওয়া চারটি কারণের মধ্যে পড়েছিলেন বলেও দাবি করা হয় বিবৃতি দিয়ে। পাশাপাশি নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে এও জানানো হয়, এ ছাড়া যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। তবে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা তৈরি করা হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ তাঁরা নেবেন তা অপেক্ষা করছেন নবান্নের সবুজ সংকেতের জন্য বলেই সূত্রের খবর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nabanna, School Education