এসআইআর আতঙ্ক ! বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার জন্য সীমান্তে শয়ে শয়ে মানুষের ভিড়

Last Updated:

At Bengal Border Checkpost, Hundreds Wait To Cross Back To Bangladesh: ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরতে প্রতিদিন ভোরবেলা থেকেই সীমান্তে ভিড় করছেন এদেশে থাকা ‘অবৈধ’ বাংলাদেশিরা। কেউ বা এসেছিলেন কাজের খোঁজে। কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে এসে এদেশেই থেকে গিয়েছেন। বানিয়ে নিয়েছেন ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডও।

এসআইআর আতঙ্ক ! (Photo: News18)
এসআইআর আতঙ্ক ! (Photo: News18)
কমলিকা সেনগুপ্ত, কলকাতা: এসআইআর আবহে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে ঢুঁ মারলে দেখা যাবে একেবারে অন্যচিত্র। এসআইআর ঘোষণার পর আতঙ্কে রয়েছেন অনেকেই। ভারত ছেড়ে বাংলাদেশ পালাতে গিয়ে ইতিমধ্যেই সীমান্তে গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে ৷ ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরতে প্রতিদিন ভোরবেলা থেকেই সীমান্তে ভিড় করছেন এদেশে থাকা ‘অবৈধ’ বাংলাদেশিরা। কেউ বা এসেছিলেন কাজের খোঁজে। কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে এসে এদেশেই থেকে গিয়েছেন। বানিয়ে নিয়েছেন ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডও। SIR আবহে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশ চলে যাওয়ার হিড়িক পড়লেও সীমান্তে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন যে ভারতে পাকাপাকি ভাবে থাকবেন বলে এখানেই সবকিছু বানিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হয়ে যাওয়ায় তাঁরা আর এখানে থাকতে পারছেন না। তাই ভারত ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
এমনই এক কাহিনি সাতক্ষীরার রোকেয়া বেগমের ৷ বসিরহাটের হাকিমপুরের চেকপোস্টে একটি চাদরের উপর শুয়ে থাকা রোকেয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ তিনি দাবি করেছেন যে, একজন বাংলাদেশি নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও, তাঁর কাছে ভারতের ভোটার আইডি কার্ড, আধার কার্ড ছিল এবং তিনি ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করার পরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধাও পাচ্ছিলেন।
advertisement
advertisement
News18-কে রোকেয়া বলেন, ‘‘আমি ছয় বছর আগে এসেছি। আমি সল্টলেকে থেকেছি। আমি ভোটও দিয়েছি। আমি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেয়েছি কারণ আমার কার্ড দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল। তবে আমার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই, এর জন্য আমি এখন ফিরে যেতে চাই।’’
advertisement
রোকেয়ার এই বক্তব্য থেকেই এখন প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এই সমস্ত সুবিধা তিনি পেলেন ? যদিও তাঁর কথাগুলি সরকারিভাবে যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ৷ এদেশের বিভিন্ন নথি থাকা সত্ত্বেও, রোকেয়া বলেছেন যে তিনি এসআইআর প্রক্রিয়ার কারণে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং তীব্র অনিশ্চয়তার কারণেই এখন সীমান্তে এসে রয়েছেন।
গত চার দিন ধরে, শয়ে শয়ে মানুষ হাকিমপুর সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছেন ৷ অনেকেই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে তাঁরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং এখন ফিরে যেতে চান। News18-এর টিম রাস্তার ধারে জিনিসপত্র নিয়ে বসে থাকা বেশ কয়েকটি পরিবারকে খুঁজে পেয়েছে, যারা স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন এবং ক্লান্ত। বেশিরভাগ মানুষই একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন—যে SIR প্রক্রিয়াটি তাঁদের এদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করছে ৷ কারণ তাঁদের কাছে বৈধ নথির অভাব রয়েছে।
advertisement
সাতক্ষীরার আনোয়ারা বেগম জানান যে তিনি উত্তর ২৪ পরগনার ডানলপের কাছে গত তিন বছর ধরে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করছিলেন এবং SIR শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, এমন আরও অনেক বাংলাদেশি নাগরিক যারা বৈধ নথি ছাড়া ভারতে থাকছিলেন, তাদেরও এখন একই অবস্থা ৷
advertisement
আনোয়ারার পাশে থাকা মেহরুন বিবি বলেন তিনি পাঁচ বছর আগে তাঁর পরিবারের সঙ্গে এসেছিলেন এদেশে ৷ অভিযোগ, একজন দালাল তাঁকে এই কাজে সাহায্য করেছিলেন যিনি ৫,০০০ টাকা নিয়েছিলেন। মেহরুন নৈহাটিতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন কিন্তু নথি সংগ্রহ করতে পারেননি। তার পরিবার গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের কাছে অপেক্ষা করছে।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা মন্টু পাল বলেছেন যে প্রথম দলটি চার দিন আগে এসেছিল এবং সেই সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি স্মরণ করেন যে ওই দলের একজন গর্ভবতী মহিলার প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল এবং একটি হাসপাতালে শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন। তাঁর মতে, অনেক ব্যক্তি খোলাখুলিভাবে স্বীকার করেছেন যে তাঁরা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। অনেকেই জানিয়েছেন যে তাঁরা লকডাউনের বছরে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। আরেক ব্যক্তি, আবুল কালাম আজাদ দাবি করেছেন যে তিনি ছয় বছর আগে এসেছিলেন এবং নিউটাউনের চিনার পার্কে একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। তাঁর কাছে কোনও নথি ছিল না এবং তিনি বলেছেন যে SIR তাঁকে ফিরে যেতে বাধ্য করেছে।
advertisement
যশোরের শানাওয়াজ, যিনি বাগুইআটি এলাকায় কাপড় সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন, তিনি বলেন বাড়িওয়ালা তাঁকে চলে যেতে বলেছেন যখন SIR প্রক্রিয়া ঘোষণা করা হয়েছিল।
অনুপ্রবেশকারীদের উপস্থিতি নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় নিশীথ প্রামাণিক (Former MoS Home Nishit Pramanik) বলেছেন: ‘‘এটাই সত্য, যা এখন প্রকাশিত হয়েছে। দেখুন কীভাবে অনুপ্রবেশকারীরা এখানে অবস্থান করছে। তাছাড়া, এই রাজ্য সরকার আমাদের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি দেয়নি। যা সব কিছু স্পষ্ট করে দেয়। এই কারণেই SIR-এর প্রয়োজন ছিল।’’
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
এসআইআর আতঙ্ক ! বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার জন্য সীমান্তে শয়ে শয়ে মানুষের ভিড়
Next Article
advertisement
২২ গজের পর এবার ফ্যাশনেও চ্যাম্পিয়ন হরমনপ্রীতরা, ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের সম্মান ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের
২২ গজের পর ফ্যাশনেও চ্যাম্পিয়ন হরমনপ্রীতরা, মহিলা ক্রিকেটারদের সম্মান ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের
  • ২২ গজের পর এবার ফ্যাশনেও চ্যাম্পিয়ন হরমনপ্রীতরা

  • ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের সম্মান ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের

  • দেশের মহিলা ক্রিকেটের উত্থানের অন্যতম প্রতীকী মুহুর্ত

VIEW MORE
advertisement
advertisement