#কলকাতা: ১৭ জানুয়ারি ২০২১, বাংলার ভোটের হাওয়া গরম হতেই শিবসেনার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সঞ্জয় রাউত জানিয়ে দিয়েছিলেন বাংলায় ভোটে প্রার্থী দিতে চলেছে শিবসেনা। দেড় মাসের মধ্যেই উলটপুরাণ, প্রার্থী তো দিচ্ছেই না শিবসেনা। বরং কঠিন সময়ে অনেকটা আরজেডি বা সমাজবাদী পার্টির মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে এসে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মহারাষ্ট্রের প্রধান রাজনৈতিক দল।
এ দিন শিবসেনা প্রধান সঞ্জয় রাউত ট্যুইটারে এই সিদ্ধান্তের কারণ বিশদ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি লিখেছেন, "বাংলার নির্বাচন নিয়ে বহু মানুষই কৌতূহলী। তাঁরা জানতে চাইছেন বাংলার ভোটের লড়াইয়ে সেনা প্রার্থী দিচ্ছে কিনা। উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলার পর আমরা যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি তা জানাচ্ছি। এবার ভোটে গোটা লড়াইটাই দিদির সঙ্গে অন্য সবার। এই অন্য সব গুলি শক্তির অদ্যাক্ষর M। M হল মানি, মাসল এবং মিডিয়া। এই প্রত্যেকটি শক্তির সঙ্গে লড়াই আরেক M অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই পরিস্থিতিতে শিবসেনার সিদ্ধান্ত বাংলায় নির্বাচনের না লড়াই করার। বরং সর্বশক্তি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার আমরা তার সাফল্য কামনা করি এবং আমরা বিশ্বাস করি মমতাই আসল বাংলার বাঘিনী।"
— Sanjay Raut (@rautsanjay61) March 4, 2021
রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক যতটা তেতো বিজেপির ততটাই ভালো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে রীতিমতো ফোনে কথাবার্তাও হয় মমতার। শিবসেনা অতীতে যখন প্রার্থী দেওযার কথা বলেছিল, তখন স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা? তাহলে কি বিজেপি রুখতেই শিবসেনা তাস? মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ককে সুরক্ষিত রেখে হিন্দু ভোটব্যাঙ্কের জমাট বাধাটাই আটকাতে চাইছে তৃণমূল। তৃণমূলের সঙ্গে অল্প হলেও আসন সমঝোতা হতে পারে সেনার এমন কথাও ছিল। কিন্তু সেসব সম্ভাবনাতে জল ঢেলে দিল উদ্ধব-সঞ্জয় রাউতের দল।
বরং রাজনৈতিক ব্য়খ্যাটা এইরকম, মমতাকে সামনে রেখেই জোট বাঁধছে বিরোধীরা। সর্বতোভাবে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন অখিলেশ যাদব, লালুপুত্র তেজস্বী যাদবরা। এবার একই বার্তা এল মহারাষ্ট্র থেকে। সেক্ষেত্রে ২০২১ বঙ্গ নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হলে, জাতীয় রাজনীতিতেও নতুন সমীকরণ তৈরি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।