কলকাতা: বিস্ফোরক দাবি বিধানসভার স্পিকারের। বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানালেন, সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী নাকি তৃণমূলেরই। তিনি নিজেই নাকি এই কথা জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকারকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেসের কোনও বিধানসভায় পা রাখতে পারেননি। একমাত্র আইএসএফ-এর নওশাদ সিদ্দিকিই জিতেছিলেন ভাঙড় কেন্দ্র থেকে। তার পরে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতলেন কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস।এবারের বিধানসভায় অধীর চৌধুরীর কংগ্রেসের একমাত্র প্রতিনিধি।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ের পরে শনিবার প্রথম বিধানসভায় আসেন বাইরন বিশ্বাস। বাম–কংগ্রেস জোটের প্রতিনিধি হিসাবে বিধানসভায় এসে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানে কিছুক্ষণ আলোচনার পর তিনি বেরিয়ে আসেন। বাইরন বিশ্বাসকে সঙ্গে করে বিধানসভায় আসেন প্রদেশ কংগ্রেসের দুই নেতা। প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র এবং নেপাল মাহাত ছিলেন তাঁর সঙ্গে।
বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, সাগরদিঘির বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলেরই। তাঁর আরও দাবি, এই কথা বাইরন নিজেই তাঁকে জানিয়েছেন। সাগরদিঘিতে হারের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, তবে কি সঙ্খ্যালঘু ভোট তৃণমূলের পাশ থেকে সরে যাচ্ছে? বাইরনের এমন মন্তব্যের পরে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "ওটা (সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়) একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছিল। অদের যে বিধায়ক, তিনি আমার সঙ্গে বিধানসভায় নিজেই স্বীকার করেছেন যে আমি তো তৃণমূলেরই লোক। তৃণমূলের ভোটেই আমি জিতেছি। সুতরাং যারা ভোট দিয়েছেন তাঁরা সবাই তৃণমূলের সমর্থক। আমাদের যেহেতু প্রার্থী নির্বাচনে কোনও ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। যার জন্য তৃনমূলের ভোট ওইদিকে চলে গিয়েছে। তিনি কি করবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি মুখে বলছন তিনি তৃণমূলের লোক।"
স্বাধীনতার পরে একুশের নির্বাচনেই প্রথম রাজ্য বিধানসভার কংগ্রেসের আসন শূন্য ছিল। সেই অপবাদ অন্তত আগামী ৫ বছরের জন্য ঘুচল। তবে, রাজ্যের প্রাক্তন শাসকদল বামেদের আসন সংখ্যা কিন্তু এখনও শূন্য।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।