প্রভাবশালী প্রোমোটারের চুরি যাওয়া মাল কিনে দেওয়ার জন্য চাপ, থানায় মৃত্যু হল রাজকুমারের

Last Updated:

১০ ই ফেব্রুয়ারি থানার পুলিশ আশুরা বিবি নামে এক ফুটপাথবাসী কাগজ কুড়ানীকে আসামী চিহ্নিত করণের জন্য ডেকে নিয়ে যায়।

#কলকাতা: সিঁথি থানার কাণ্ডে প্রশ্নের মুখে পুলিশের অতি সক্রিয় ভূমিকা। ১৭ ই জানুয়ারি প্রদীপ পাল নামে এক প্রোমোটার সিঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ,যে তার বিল্ডিং থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার ট্যাপ কল চুরি গিয়েছে। ওইদিনই সেই মর্মে মামলা শুরু হয় থানা। তদন্ত শুরু করে সিঁথি থানার পুলিশ।
১০ ই ফেব্রুয়ারি থানার পুলিশ আশুরা বিবি নামে এক ফুটপাথবাসী কাগজ কুড়ানীকে আসামী চিহ্নিত করণের জন্য ডেকে নিয়ে যায়। তারপর ডেকে নিয়ে যায় রাজকুমার সাহুকে। আশুরা বিবিকে দিয়ে পুলিশ স্বীকার করাতে চায় যে রাজকুমারকে কল গুলি বিক্রি করেছে সে। রাজকুমার সাহু অস্বীকার করলে তাকে পুলিশ মারধর করে এবং প্রদীপ পালের অভিযোগের ভিত্তিতে যে সমস্ত ট্যাপ কল চুরি হয়েছিল, সেগুলি কিনে দিতে বলা রাজকুমার সাহুকে ও তার পরিবারের লোকজনদের।
advertisement
প্রশ্ন এখানে ,প্রদীপ পাল কত বড় প্রভাবশালী বা কোন প্রভাবশালীর নিকটের মানুষ ? যার ফলে পুলিশ রাজকুমারকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা না হলে কলগুলি কিনে দিতে বলে! থানার মধ্যে রাজকুমার সাহুর মৃত্যুর পর, প্রত্যক্ষদর্শী আশুরা বিবির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই আশুরা বিবি পাইকপাড়া কলকাতা পৌর সংস্থার রাত্রি নিবাসে থাকতো। ১০ তারিখ ঘটনার পর আশুরা বিবি ফিরে যায় তার ওই রাত্রি নিবাসে। ১১ তারিখ সকাল থেকে আশুরা বিবি তার ছোট্ট দুটি সন্তানকে নিয়ে কোথায় চলে গিয়েছে কেউ জানেনা।
advertisement
advertisement
ওই রাত্রি নিবাসের অন্যান্য পরিজনেরা জানান আশুরা বিবি ৯মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি যথেষ্ট অসুস্থ। তাকে ওইদিন থানায় নিয়ে গিয়ে রীতিমতো অত্যাচার এবং মানসিক চাপ দিয়েছিল পুলিশ। সবার উপরে বড় প্রশ্ন, যদি কোন কিছু চুরির অভিযোগ থাকে,তাহলে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়ে তারপর পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্ধার করতে হয়।
রাজকুমার সহুকে বেশ কয়েক বছর আগে লালবাজারে চোরাই মাল কেনার অপরাধে একবার ধরে নিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় বেশ কয়েকদিন জেল খাটে তিনি। এলাকার মানুষের দাবি, এর আগেরবারও কোন দোষ না করা সত্ত্বেও রাজকুমারকে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। রাজকুমার কোন রাজনৈতিক দলের সাথে থাকত না। প্রচুর গরীব মানুষ ওর দ্বারা উপকৃত হত। পুলিশ পুলিশের তদন্ত করছে। তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে এখন অবধি সন্তুষ্ট নয় রাজকুমারের পরিবার। সারা এলাকায় একটাই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রদীপ পালের কল কিনে দেওয়ার জন্য পুলিশ এত চাপ দিল কেন? আর সেই চাপের ফলে একজন মানুষকে মেরে ফেলতে হল! এই বিষয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বললে, তারা কেউ মুখ খুলতে চাননি।
advertisement
Shanku Santra
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
প্রভাবশালী প্রোমোটারের চুরি যাওয়া মাল কিনে দেওয়ার জন্য চাপ, থানায় মৃত্যু হল রাজকুমারের
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement