হোম /খবর /কলকাতা /
বিরল কৃতিত্ব ছিল আরজি করের, বন্ধ সেই পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার! এবার সাপে কামড়ালে?

R G Kar Medical College: বিরল কৃতিত্ব ছিল আরজি করের, বন্ধ হয়ে গেল পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার! এবার সাপে কামড়ালে কী হবে?

আর জি কর হাসপাতাল

আর জি কর হাসপাতাল

R G Kar Medical College: কোভিড পর্বে অনেকে ভুল করে স্যানিটাইজার খেয়ে ফেলেছিলেন। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারতেন সাধারণ মানুষ। এবার কী হবে?

  • Share this:

কলকাতা: বন্ধ হয়ে গেল আর জি কর হাসপাতালে দেশের প্রথম সরকারি পয়জন ইনফর্মেশন সেন্টার।  এই ঘটনায় আর জি করে হাসপাতাল ঘিরে উঠল বিতর্ক। বিশ্বে এরকম ৩২৮টি পয়জন ইনফর্মেশন সেন্টার রয়েছে। সবগুলিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। এর মধ্যে ভারতে আছে ন’টি।

২০১৮ সালে আরজিকর হাসপাতালে শুরু হয়েছিল এই পরিষেবা। সরকারি ভাবে দেশের প্রথম কোনো সরকারি হাসপাতালে শুরু হয়েছিল এই পরিষেবা। এবার তা বন্ধ হয়ে যাওয়াকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। আর জি করে এই পরিষেবা চালুর পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগাযোগ করতেন সাধারণ মানুষ। বাকি কেন্দ্রগুলি হল সিএমসি ভেলোর, অমৃতা ইনস্টিটিউট, কস্তুরবা, জেএসএস, এইমস, মণিপাল, জিজি হাসপাতাল এবং আমেদাবাদের একটি কেন্দ্র। এরই সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেল বিষ সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানার টোল ফ্রি ফোন পরিষেবাও।

আরও পড়ুন: শুকনো গরমের অস্বস্তি কলকাতায়, আগামী সপ্তাহেই আবহাওয়ায় বিরাট বদল! চরম পূর্বাভাস

২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর আর জি করের কেন্দ্রটি এখনও পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ এখানকার টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে সাপের কামড়-সহ নানা ধরনের বিষের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। ২০২২ সালে দেশের সেরা পয়জন ইনফর্মেশন সেন্টারের সন্মান পায় কেন্দ্রটি। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে এই সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা, ইনচার্জ তথা ফরেনসিক ও স্টেট মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ সোমনাথ দাসকে বদলি করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। তারপর থেকেই আর বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করতে পারেনি আরজিকর। তার ফলেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই সেন্টার।

আরও পড়ুন: সুযোগ পেলেই জোয়ান খান? শরীরে কী হচ্ছে এতে জানেন? মাথা ঘুরে যাবে জানলে

আর জি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, 'বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত আমরা। দ্রুত চালু করতে স্বাস্থ্য ভবনকে অনুরোধ করেছি।' মূলত, উপসর্গ শুনে বিভিন্ন ধরনের সাপ, তার বিষের প্রকৃতি ও চিকিৎসা সম্পর্কে অবহিত করানো, ফার্মাসিউটিক্যাল পয়জনিং বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চটজলদি চিকিৎসা, বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক খেয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে কী করা উচিত, বোলতা, মৌমাছি-সহ বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গের কামড়ে কী করণীয়, বিষাক্ত মাকড়শা ও অন্যান্য কীটের কামড়ে কী করবেন, কী করবেন না-- এরকম নানা তথ্য টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে জেনে নিতে পারতেন মানুষ।

কোভিড পর্বে অনেকে ভুল করে স্যানিটাইজার খেয়ে ফেলেছিলেন। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারতেন সাধারণ মানুষ। শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা এমনকি গ্রাম থেকেও ফোন আসত মানুষের। হঠাৎই এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উঠছে প্রশ্ন।

ওঙ্কার সরকার

Published by:Raima Chakraborty
First published:

Tags: RG Kar Hospital, Snake Bite