#কলকাতা: আমফনের প্রভাব অজানা ছিল সবার৷ এত ভয়ানক হতে পারে আমফন তা যেন স্বপ্নেও ভাবিনি ওরা। সবাই তখন টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছেন, একের পর এক আমফান সংবাদ। হটাৎ ঘর অন্ধকারে সবই এক পলকে ঘর বন্দী। এমনিতেই লকডাউনে ঘরবন্দী দশায় একঘেয়ে অবস্থা। আমফনের প্রভাব যে কতটা ভয়াবহ রুপ নিতে পারে তা অনেকেই নিজের ঘরে বসে বুঝেছেন। চোখের সামনে ভেঙে গুড়িয়ে যেতে দেখেছে বাড়ির সদ্য তৈরি করা পাঁচিল। বাড়ির সামনে অবসরের সঙ্গী চায়ের দোকানের অস্থায়ী ছাদ উরে যেতে দেখেছেন। আমফান শেষ হতেই রাজ্যবাসী বুঝেছেন আমফানের হাত থেকে বাঁচা খুবই কঠিন।
বাড়ির সামনে অনেকেই দেখেছেন বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে যেতে। তারপর থেকেই বন্ধ বৈদ্যুতিক পরিষেবা। হিন্দমোটরের কোতরং-এর বাসিন্দারা মনে করেছিল সবই ঠিক হবে কিছু ঘন্টার মধ্যেই। না, সেই ভয়াবহতা বুঝেছেন বাড়ির বাইরের জিটি রোডে আসতেই। একের পর এক পূর্ণ বয়স্ক গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি সহ। তারপরে অনেকেবার স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরের সাথে যোগাযোগ করলেও লাভ হয়নি। বুধবারের তান্ডবের পর বৃহস্পতিবার কাটিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই জিটি রোডে হিন্দমোটরের কোতরং এর বাসিন্দারা। সবার একটাই দাবি এত সময়ের পরেও কেন মিলছে না বিদ্যুৎ? তার জেরে পথ অবরোধ করল এলাকা বাসিন্দারা। সকাল থেকে যে রাগে ফুঁসতে শুরু করেছিল এলাকাবাসী তারই জের বলে মানছেন অবরোধকারীরা৷
শুধুই যে একটি জায়গায় তা নয়, হিন্দমোটর থেকে উত্তরপাড়া পর্যন্ত রাস্তার জায়গায় দফায় দফায় অবরোধ করল এলাকার বাসিন্দারা। রাজু মিদ্দা জানান, এই অবরোধ চলবে, যতক্ষণ না বিদ্যুৎ পরিষেবা শুরু হয়। একইভাবে এলাকায় বাসিন্দা টুম্পা সুর বলেন, বারবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন তা জানাতে গেলেও কোন লাভ হয়নি, অসুবিধার কথা শোনার কোন লোক। এই অবরোধের জেরে অফিস টাইমে সমস্যায় পড়েন জ্যোতিময় কর। অবরোধ গাড়ি আটকে জেতেই তিনি জানান, আগে জানলে বিকল্প রাস্তা ব্যাবহার করা যেত, অফিস টাইমে পৌঁছাতে পারবো না। শুক্রবার জেলার সঙ্গে একইভাবে কলকাতাতেও অবরোধ দেখা যায় দিনভর।
Susovan Bhattacharjee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।