বর্ষবরণের রাতে পার্ক স্ট্রিটে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার,ব্যবসায়ী,গৃহবধূরা!

Last Updated:

অর্পিতা চতুর্বেদী, গৌতম নিয়োগী একা নয়, আরও এরকম শতাধিক ট্রাফিক ওয়ার্ডেন রয়েছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের।

ABHIJIT CHANDA
#কলকাতা: অবাক করার মতো হলেও এমনই ঘটনা ঘটে চলেছে শহর কলকাতায় ৷  অর্পিতা চতুর্বেদি,৫৮ বছর বয়েস। ভবানীপুরে বাড়ি। পেশায় একটি প্রখ্যাত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের চিফ অ্যাকাউন্টিং অফিসার। বাড়িতে ভরা সংসার। জীবনে স্বপ্ন ছিল আইপিএস অফিসার হওয়ার কিন্তু দুর্ঘটনায় সেটা আর হয়ে ওঠেনি। তবু সেই স্বপ্নকে পাথেয় করেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন অর্পিতা। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক ওয়ার্ডেনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সে কি উদ্যম! দুর্গাপুজোর ব্যস্ত সময়,ক্রিসমাস, নতুন বছর, ইডেনে আইপিএলের ম্যাচ, ভারতের কোন ক্রিকেট ম্যাচ হলেও রাস্তা সামলানোর গুরুদায়িত্ব পালন করেন অর্পিতা । বছরের যে দিনগুলো আর পাঁচটা মানুষ আনন্দে উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। সে দিনগুলোতেই অর্পিতা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেন মানুষ যাতে ভালভাবে রাস্তায় চলাচল করতে পারে তার ব্যবস্থা করে।এতেই তার আনন্দ।
advertisement
গৌতম নিয়োগী উত্তর শহরতলির বাঙুর এভিনিউ এর বাসিন্দা। ৬২ বছর বয়স, দেখলে কে বলবে? মঙ্গলবার বর্ষবরণের রাতে পার্ক স্টিটে মিউজিক ওয়ার্ল্ডের সামনে যেভাবে ট্র্যাফিক সামলেছিলেন গৌতমবাবু, তাতে মনে হতেই পারে, চল্লিশ বছরের অভিজ্ঞতা তাঁর। কে বলবে, ব্যক্তিগত জীবনে গৌতম নিয়োগী একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কিন্তু শুধুমাত্র সমাজসেবার টানেই স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে উৎসবের দিনগুলোতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এইভাবে ট্র্যাফিক ওয়ার্ডেনের কাজ করেন। প্রথমদিকে পরিবারের প্রবল আপত্তি ছিল পরবর্তীকালে তারাও গৌতম বাবুর কাজে গর্বিত।
advertisement
advertisement
মঙ্গলবার বর্ষবরণের রাতের পার্ক স্ট্রিটে যেভাবে গাড়ি চলছিল, তাতে মনেই হচ্ছিল না যে হাজার হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছে। এখানে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক কর্মীদের সঙ্গে এই ওয়ার্ডেনরা যেভাবে সন্ধ্যে সাতটা থেকে রাত্রি দুটো পর্যন্ত একটানা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সাধারণের যাতায়াতের পথ সুগম করেছে, তাদের শুধু একটাই প্রার্থনা, মানুষ যেন একটু ভালোভাবে থাকে। পথের নিয়ম যেন প্রত্যেকটি মানুষ মেনে চলে।
advertisement
অর্পিতা চতুর্বেদী, গৌতম নিয়োগী একা নয়, আরও এরকম শতাধিক ট্রাফিক ওয়ার্ডেন রয়েছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের। উৎসবের দিন থেকে শুরু করে যে দিনগুলোতে শহরে প্রচন্ড ভিড় হয়, সেই দিনগুলোতেই এই ট্রাফিক ওয়ার্ডেনরা সমস্ত রকম বাধা-বিপত্তিকে অগ্রাহ্য করে শুধুমাত্র নেশায় ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কলকাতা ট্রাফিক পুলিশকে সাহায্য করেন। বর্তমানে কলকাতা পুলিশে ১৩৯ জন এরকম ট্রাফিক ওয়ার্ডেন আছেন। আর এই মানুষগুলোই হয়তো পর্দার অন্তরালে থাকা এক সুপার হিরো‌।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
বর্ষবরণের রাতে পার্ক স্ট্রিটে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার,ব্যবসায়ী,গৃহবধূরা!
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement