#সিউরি: দিদির অনুগামী বলে পরিচিত তিনি। ভোটের লড়াই হোক বা প্রতীকী প্রতিবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পথেই যে তাঁর পরম স্নেহের কেষ্ট হাঁটবেন তাতে আর সন্দেহ কী! এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখাদেখি পেগাসাস কাণ্ডের (Pegusus) প্রতিবাদে নিজের স্মার্টফোনে লিউকোপ্লাস্ট লাগালেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও (Anubrata Mandal)। শরিক হলেন মমতারই প্রতীকী প্রতিবাদে।
পেগাসাস কাণ্ডে যে একশোর বেশি নাম আপাতত সামনে এসেছে তার প্রথম দিকেই ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্টই বলেন, ভোটের মরশুমে তাঁকে ঘনঘন যোগাযোগ রাখতে হয়েছে এই দুজনের সঙ্গেই। অর্থাৎ তাঁর গতিবিধিও মাপা হয়েছে। প্রতিবাদে একুশে জুলাই মমতা মঞ্চে ওঠেন ফোনে স্টিকিং প্লাস্টারের লাগিয়ে।তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেন, "আমি কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারি না। কারণ ফোন ট্যাপ হচ্ছে। তাই ফোনই প্লাস্টার করে দিয়েছি। তবে ভারত সরকারকে প্লাস্টার করতে দেবো না। ওরা থাকলে দেশ বরবাদ হয়ে যাবে। এমনকি নিজেদের মন্ত্রী অফিসারদেরও ফোন ট্যাপ করে নিয়েছে। এমনকি বহু বিচারপতির ফোন ও ট্যাপ হয়েছে। ওরা আমাদের গণতান্ত্রিক স্তম্ভটাকেই ধ্বংস করতে চাইছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা বিচার ব্যবস্থা সংবাদ মাধ্যম সব কিছু ধ্বংস করতে চাইছে।
মমতা এই পন্থা সামনে আনতেই দেখা গেল অনুব্রত তাঁকে অনুসরণ করছেন। শুক্রবার বোলপুরের কার্যালয়ে বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান করবে অনুব্রত মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই প্রথম লক্ষ্য করা যায় তাঁর ফোনটিতেও টেপ জড়ানো। দিদির পরামর্শেই কি এমনটা করলেন, অনুব্রত এই প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন।
তবে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ আসুক বা না আসুক মমতার দেখানো পথে অনুব্রত হেঁটে আসছেন বিগত কয়েক দশক এক্ষেত্রেও যে সেই নিয়ম এর ছেদ পড়বে না তা তো বলাই বাহুল্য।
-প্রতিবেদক আবীর ঘোষাল
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Anubrata Mandal, Pegasus crisis