কলকাতা: প্রকল্প চিহ্নিত করতে হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়ত সমিতি, জেলাপরিষদ সাধারণ সভা ডেকে অনুমোদন করতে হবে। আগের প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ব্যায় হয়ে থাকলে সে নিয়েও সাধারণ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন করিয়ে রাখতে হবে। এই অনুমোদন পাওয়ার পরই তা ই-গ্রামস্বরাজ পোর্টালে আপলোড করতে হবে। নতুন প্রকল্পগুলি অনুমোদনের পরই তা চূড়ান্ত পরিকল্পনা ও খরচের রূপরেখা আইনি অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট ভেটেড করার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে পেশ করতে হবে এবং তা করতে হবে ৯ জানুয়ারির মধ্যে। তারপরই এই ভেটড স্কিম বা প্রকল্পগুলি ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে সাধারণ সভায় অনুমোদন করাতে হবে। ১৪ জানুয়ারির মধ্যে টেন্ডার ডাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ শেষ করে রাখতে হবে। যাতে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বরাদ্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করে দেওয়া যায়। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আসা মাত্রই কাজ শুরু করতে যাতে দেরি না হয়, তাই আগাম পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করে চূড়ান্ত প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে রাখতে বলেছিল নবান্ন। এজন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের ১৬৬০ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা এসে গিয়েছে। কিন্তু ৫০ শতাংশও টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। ওয়ার্ক অর্ডার দূরস্ত, অধিকাংশ জেলায় এখনও টেন্ডার পর্যন্ত ডাকা হয়নি। এই ঘটনায় বিরক্ত নবান্ন। এজন্য বিডিও-দের নিয়ে জেলা প্রশাসনকে বৈঠক ডেকে সব কাজ দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিল নবান্ন। চলতি আর্থিক বছরে পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের কাছ থেকে পাওয়া ২৪৪৫ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারেনি। এই টাকা গ্রামর পানীয় জল, শৌচালয় সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে খরচ করার কথা। ইতিমধ্যে কমিশনের আরও টাকা এসেছে। এই টাকা যাতে পড়ে না থাকে, সে'জন্য পঞ্চায়েত দফতর জেলাগুলিকে ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরে প্রকল্প চিহ্নিতকরণ,তার প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে দিল্লির বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই কাজ শুরু করা যায়।
কিন্তু বাস্তব চিত্রটা উল্টো হয়ে গিয়েছে। বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি,নদিয়া পূর্ব বর্ধমান, পূর্বমেদিনীপুরে ছিটেঁফোঁটা কাজ হলেও বাকি জেলাতে কোনও কাজই হয়নি। নবান্নর এক কর্তার কথায়, '' পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের আগের বরাদ্দের ২৪৪৬ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা এখনও খরচ করতে পারেনি জেলাগুলি। এরমধ্যে টায়েড ফান্ডেই পড়ে রয়েছে ১৫২৭ কোটি টাকা। এই টাকা পাণীয় জল ও শৌচালয় তৈরিতে খরচ করার কথা। এছাড়াও অন্যান্য উন্নয়নমূলক খাতে আনটায়েড তহবিলে খরচ না হয়ে পড়ে রয়েছে ৯১৯ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা।''
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nabanna