হোম /খবর /কলকাতা /
"আসুক না, কে বারণ করেছে?" থার্ড ইনিংসের আগেই দলত্যাগীদের 'ওয়েলকাম' মমতার!

Mamata Banerjee : "আসুক না, কে বারণ করেছে?" থার্ড ইনিংসের আগেই দলত্যাগীদের 'ওয়েলকাম' মমতার!

রাজভবনে মমতা৷

রাজভবনে মমতা৷

ভোটের আগে শাসকদল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন একদল তৃণমূলী। এঁদের কেউ ছিলেন বিধায়ক, কেউ মন্ত্রী কেউ বা গুরুত্বপূর্ণ নেতা। সবারই মূলত দাবি ও অভিযোগ ছিল "দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না"।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা : তৃতীয়বার মন্ত্রীসভা গঠন করতে চলেছেন আগামী ৭ মে। তার আগে সোমবার কালীঘাটের বাড়ির সাংবাদিক বৈঠক থেকে 'দলবদলু'দের জন্য বিশেষ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তৃণমূল সুপ্রিমোর স্পষ্ট কথা, আসতে চাইলে আসতেই পারেন তাঁরা।" কার্যত তৃণমূলের তরফ থেকে যে দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যাওয়া নেতা-মন্ত্রীদের 'ঘরে ফেরা'তে কোনও বাধাই নেই সেই বার্তাই দিলেন মমতা।

ভোটের (West Bengal Election 2021) আগে শাসকদল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন একদল তৃণমূলী। এঁদের কেউ ছিলেন বিধায়ক, কেউ মন্ত্রী কেউ বা গুরুত্বপূর্ণ নেতা। সবারই মূলত দাবি ও অভিযোগ ছিল "দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না"। আর তাতেই নাকি এই রং-বদল। তবে রাজনৈতিক রং পাল্টেও শেষমেশ ভোটবাক্সে লাভের মুখ দেখতে পারেননি বহু দলবদলু। এমন নেতা-নেত্রীদের তালিকা সংক্ষিপ্ত হলেও ধারে ও ভারে তাঁরা হেভিওয়েট। সব্যসাচী দত্ত, জিতেন তিওয়ারি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশাখী ডালমিয়া বা প্রবীর ঘোষালের মতো সেই হেভিওয়েটদের পক্ষেই আম জনতার রায় পড়েনি। জনতার মন জিততে ব্যর্থ হয়েছেন একদা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা রুদ্রনীলও।

নতুন দলে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই বিধানসভার টিকিট হাতে পেয়েছিলেন রাজীব-জিতেনরা। তবে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে ব্যর্থ তাঁরা। ডোমজুড় আসনে নিজের পুরনো দলের প্রার্থী কল্যাণেন্দু ঘোষের কাছে হেরেছেন রাজীব। পাণ্ডবেশ্বরের বিদায়ী বিধায়ক জিতেন তিওয়ারি খুইয়েছেন নিজের আসন। উত্তরপাড়ায় প্রবীর ঘোষালের হার হয়েছে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের কাছে। তৃণমূলের রানা চট্টোপাধ্যায়কে বালির আসন ছাড়তে হয়েছে বৈশাখী ডালমিয়াকে।

অথচ সদ্য দলে যোগ দেওয়া এই নেতা-নেত্রীদের জেতাতে প্রচারে দেখা গিয়েছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে। ভোটপ্রচারে বাংলায় পা রেখেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েটরা। তবে এই দলবদলুদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন আম জনতা। ভোটবাক্সে তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে।

এবার কী তবে নেত্রীর পরোক্ষ আহ্বানে গুটি গুটি পায়ে ঘরে ফিরবেন সেই দলবদলুরা। কারণ তৃণমূলে থেকে কাজ করতে না পারার কথা বললেও দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া মন্ত্রী, বিধায়কদের মুখে কিন্তু এটাও শোনা গিয়েছিল, দিদির বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই তাঁদের। কেউ কেউ তো তাঁকে মায়ের সমান বলেও মন্তব্য হেরেছিলেন বিধায়ক পদ ছাড়ার সময়। রাজনৈতিক রসায়ন কী বলে তা জানতে অবশ্য চোখ রাখতে হবে বাংলার মসনদ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের দিকে।

Published by:Sanjukta Sarkar
First published:

Tags: Assembly Election 2021, Mamata Bandopadhyay