Kolkata Murder: হেদুয়ায় রহস্যজনক ভাবে মহিলা খুন, ছেলেও আহত! 'নিজের মানুষকে' খুঁজছে পুলিশ

পুলিশের দাবি,  এখনও পর্যন্ত কোনও সন্দেহভাজন কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে এই ধরনের খুনের কায়দা দেখে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে। যা অপরাধ বিজ্ঞানের তদন্তের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ বলে মনে করেন তদন্তকারীরা। যেভাবে চপার দিয়ে মহিলাকে ভর সন্ধ্যায় আঘাত করা হয়েছে, তাতে বিষয়টি পরিষ্কার যে, মহিলাকে খুনের জন্যই এসেছিল আততায়ী।

সেই সময় ছেলে মাকে বাঁচাতে যেতে তাকেও রীতিমতো খুনের মতো করেই কোপানো হয়। ভট্টাচার্য পরিবারের ওখানে দীর্ঘদিনের বাস। ওই বাড়িতে উপর নীচ করে তিনটি পরিবার থাকে। তারা ঘটনার সময় কিছু জানতে পারেনি। কারণ হিসাবে যেগুলো মনে করা হচ্ছে, ১.অনেক সময় চোর কিংবা ডাকাত চুরির সময় কিংবা ডাকাতির সময় বাধা পেলে তারা খুন করে। সর্বোপরি তারা যদি পরিচিত হয়ে থাকে বা ধরা পরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

আরও পড়ুন: পদ্মে কাঁটা! ‘বিদ্রোহী’দের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন সুকান্ত মজুমদার, পাল্টা হুঁশিয়ারি বিক্ষুব্ধ শিবিরের

এক্ষেত্রে পরিবারের তরফ থেকে কোনো চুরি যাওয়ার অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি। ২.অনেকেই বলছেন যে, মা ও ছেলেকে খুন করার একটাই উদ্দেশ্য থাকতে পারে।সেটা হল কোন বস্তু সংক্রান্ত বিষয় কিংবা সম্পর্কের অবনতির ফলেই। তবে পরিবারের লোকজন এই সমস্ত বিষয়ে কোনও ভাবে মুখ খুলছে না। তবে মৃতার স্বামীকে বারবার ধরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইছে পারিবারিক কোনো শত্রুতা ছিল কিনা?

আরও পড়ুন: ভুল টিকিট নিয়ে ধরা পড়তেই গুলি চালিয়ে দিলেন যাত্রী! শিয়ালদহ- নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে তুলকালাম

মৃতার স্বামী সুশান্ত ভট্টাচার্যের ৭০ বছর বয়স। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। বিবাহ অনেক দেরিতে করেছিলেন। তাদের সন্তান অনেকটাই পরে হয়েছিল। তার আগে সুশান্ত বাবুর ভাইপো খুব আদরের ছিল ওঁর কাছে। প্রতিবেশীরা পরিবারে কোনও দিন গন্ডগোল শোনেননি।তবে বিষয় কিংবা বস্তু নিয়ে সমস্যা ছিল না তো! এই প্রশ্ন ঘুরছে এলাকার মানুষের মধ্যে।