কলকাতা : মেট্রো রেলের টোকেনে এতদিন পরিচয় ছিল হাওড়া ব্রিজ । অচিরেই সেই ব্যবস্থার বদল আসতে চলেছে । এ বার টোকেন জুড়ে থাকবে শুধুই বিজ্ঞাপন । বিকল্প উপায়ে আয় বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ ।
এ বার ব্র্যান্ডিং হতে চলেছে কলকাতা মেট্রোর টোকেন । প্রথম দফায় ২ লাখ টোকেন ব্র্যান্ডিং হবে। ভাড়া না বাড়িয়ে উপার্জনের উৎস খুঁজছে মেট্রো । তাই স্টেশন বিল্ডিং, গেটের পরে টোকেনেও ব্র্যান্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত । কয়েক লক্ষ টাকা আয় হবে এই ব্র্যান্ডিং থেকেই। কলকাতা মেট্রো রেলের সাতটি স্টেশনকে ব্র্যান্ডিং করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল তারা । মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিটি স্টেশনে প্রায় ১৫০০ বর্গফুট জায়গা দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থাকে । যেখানে ওই সংস্থা তাদের বিজ্ঞাপন দিতে পারবে । মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এতে বার্ষিক ৪০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা আয় হবে কলকাতা মেট্রো রেলের। এর আগে বেশ কয়েকটি স্টেশনকে ব্র্যান্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এ বার সেই সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা।
কলকাতা মেট্রো রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দমদম, নোয়াপাড়া, বেলগাছিয়া, এসপ্ল্যানেড, পার্ক স্ট্রিটের মতো স্টেশন গুলিতে ব্র্যান্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এ ছাড়া ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের বেঙ্গল কেমিক্যাল এবং শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনকে ব্র্যান্ডিং করা হবে। পাঁচ বছরের চুক্তিতে এই ব্র্যান্ডিং করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো । একই সঙ্গে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বর্তমানে যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ নেমে এসেছে । অন্যদিকে ১০০ টাকা রোজগার করতে বর্তমানে ২৬৪ টাকা খরচ হচ্ছে কলকাতা মেট্রো রেলের । খরচ সামাল দিতেই বিকল্প উপায়ে রোজগারের ভাবনা চিন্তা করছে তারা । সে কারণেই এই ধরনের পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন মেট্রো রেল আধিকারিকরা ।
আরও পড়ুন : রথযাত্রায় খুঁটিপুজোয় শারদোৎসবের ঢাকে কাঠি, জানা গেল কলকাতার বেশ কিছু পুজোর থিম
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে গত দু'বছর পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ ছিল কলকাতা মেট্রোর দরজা । এর আগে কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময়ও মেট্রো বন্ধ ছিল বহুদিন । এখন পরিষেবা চালু হয়েছে ঠিকই । তবে একদিকে যেমন লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীর সংখ্যা কমেছিল, একই সঙ্গে টানা দীর্ঘদিন মেট্রো না চলায় চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে । এদিকে ভারতীয় রেলের মতো পণ্য পরিবহণ করে উপার্জন করার মতো সুযোগও নেই মেট্রো রেলের হাতে। এই অবস্থায় ব্র্যান্ডিং নামক বিকল্প পথেই অর্থাগম খুঁজছে তারা । ইতিমধ্যেই সেক্টর ফাইভ ও সল্টলেক স্টেডিয়াম নামে যে দুই মেট্রো স্টেশন রয়েছে, তার ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : হরিদেবপুরকাণ্ডের জেরে অবশেষে নিয়োগ-পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার
আরও পড়ুন : পুজোর চারদিন ডায়েট বন্ধ, শুধু মায়ের ভোগ: চেতলা অগ্রণীর খুঁটিপুজোয় প্রসেনজিৎ
বেলগাছিয়া, শোভাবাজার-সুতানুটি, চাঁদনি চক, ফুলবাগান, সিটি সেন্টার মেট্রো স্টেশনও সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে। চালুর আগেই ব্র্যান্ডিং হয়েছে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনে । এই তালিকায় সংযোজিত হয়েছে দমদম, নোয়াপাড়া, বেলগাছিয়া, এসপ্ল্যানেড, পার্ক স্ট্রিট, বেঙ্গল কেমিক্যাল । মেট্রো স্টেশনে ব্র্যান্ডিংয়ের অর্থ, নির্দিষ্ট ১৫০০ বর্গফুট জায়গার মধ্যে ওই সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থা তাদের ছাপানো বিজ্ঞাপন দিতে পারে। তা ভিজ্যুয়ালও হতে পারে। আবার চাইলে সংস্থার নামে কোনও কিয়স্ক তৈরি করেও বিজ্ঞাপন দিতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Metro Railways