KMC| Blue-Green Kolkata|| পার্ক থেকে পুরসভা, কলকাতা শহর হতে চলেছে নীল-সবুজ

Last Updated:

Green and Blue Kolkata: বিভিন্ন সাইজের প্রায় ৩৮ লক্ষ বালতি ও বিনের বরাত দিয়েছে পুরসভা। পুজোর আগেই সারা শহরে পুরোদমে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

#কলকাতা: কলকাতা পুরসভা মানেই নীল সাদা। কিন্তু এবার কলকাতা শহর হতে চলেছি নীল সবুজ! অবাক হচ্ছেন? না শহরের পার্ক থেকে পুরসভার অফিস এর রং বদলচ্ছে না । শহরে বজ্র সংস্কারে নতুন দিশা দেখাতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। সেই জন্য শহরজুড়ে বাড়ি বাড়ি রাস্তায় রাস্তায় দোকানের সামনে বসবে নীল সবুজ বালতি এবং বিন। যাতে জঞ্জাল সাফাইয়ের পাঠটা শুরুতেই হয়ে যায়।
বজ্র পদার্থ থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে অনেক বেশি। তাই শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি চঞ্চল সাফাইয়ের কাজ শুরু হোক বাড়ি থেকেই। কলকাতা পুরসভা ও তাই একেবারে শুরুতেই জঞ্জাল পৃথকীকরণে জোর দিচ্ছে। বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের সময়েই পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথকীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। তার জন্য শহরের প্রতি পরিবারে দেওয়া হবে নীল এবং সবুজ রঙের দু’টি বালতি। পাশাপাশি, বিভিন্ন বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়, রাস্তার ধারে বসানো হবে এই দুই রংয়ের দু’টি ডাস্টবিন।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘরের মধ্যে বস্তা বস্তা টাকা! বেহালার ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়
বিভিন্ন সাইজের প্রায় ৩৮ লক্ষ বালতি ও বিনের বরাত দিয়েছে পুরসভা। পুজোর আগেই সারা শহরে পুরোদমে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। কঠিন বর্জ্যকে উৎসেই পৃথকীকরণের গুরুত্ব ও কার্যকারিতা সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে প্রচারও করবে কর্তৃপক্ষ। এর জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ড বা বড় ভিত্তিক সেমিনারের আয়োজন করবে পুরসভা। রাজ্যের অধিকাংশ পুরসভায় এই ব্যবস্থাপনা ইতিমধ্যেই চালু আছে। কিন্তু কলকাতার সব ওয়ার্ডে তা ছিল না। বর্তমানে শহরের ২৭টি ওয়ার্ডে এই পদ্ধতিতে জঞ্জাল সংগ্রহ করা হয়।
advertisement
advertisement
কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ জঞ্জাল সাফাই দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, পচনশীল আবর্জনার জন্য সবুজ বালতি এবং অপচনশীল, পুনর্নবীকরণযোগ্য আবর্জনা নীল বালতিতে সংগ্রহ করা হয়। পচনশীল জঞ্জাল থেকে তৈরি হয় সার। প্লাস্টিক সহ অন্যান্য আবর্জনা থেকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী তৈরি হয়। এর জন্য বর্তমানে ধাপায় নতুন একটি ইউনিটও বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাসপেন্সে ইতি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ইডি
কলকাতা পুরসভার সূত্রে খবর, প্রশাসনিক ও আর্থিক নানা জটিলতার কারণে এতদিন কলকাতার সব ওয়ার্ডে এই পরিষেবা চালু করা যায়নি। কিন্তু এবার পুরবোর্ড গঠনের পর এই কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রের খবর, গৃহস্থের বাড়ি বাড়ি বিলি করার জন্য ১০ লিটারের ছোট বালতি, ময়লার গাড়িতে ব্যবহারের জন্য ৪০ লিটারের অপেক্ষাকৃত বড় বালতি এবং রাস্তার ধারে রাখার জন্য ২৪০ লিটারের বড় ডাস্টবিন কেনা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার দাবি, জঞ্জাল পৃথকীকরণ ব্যবস্থা চালু করতে হলে তা সারা শহরেই করা প্রয়োজন। তাই গৃহস্থ বাড়ির পাশাপাশি শহরের সর্বত্র এই ব্যবস্থা লাগু করার চেষ্টা হচ্ছে। রাস্তাঘাটে হাঁটাচলার সময়েও মানুষ যাতে পচনশীল এবং অপচনশীল জঞ্জাল নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে, সেই অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
advertisement
শুরুতেই সব নাগরিক সচেতন হয়ে এই কাজ করবেন এমনটা নয়। কিন্তু নাগরিক সচেতনতার জন্য নিয়মিত প্রচার দরকার। অনেক সময় মানুষ সঠিকভাবে সেগুলি ব্যবহার করেন না। বালতি পাওয়ার পর আবর্জনা না ফেলে তা অন্য কোনও কাজে লাগিয়ে দেয়। এ বার কাউন্সিলরদের দিয়ে ফের এ বিষয়ে সচেতনতা প্রচার করানো হবে। পাশাপাশি, যে পুরকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করবেন, তাঁরাও যাতে ঠিকঠাকভাবে কাজটি করেন, সেদিকে নজরদারি রাখবে কলকাতা পুরসভা।
advertisement
BISWAJIT SAHA
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
KMC| Blue-Green Kolkata|| পার্ক থেকে পুরসভা, কলকাতা শহর হতে চলেছে নীল-সবুজ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement