Jyotipriya Mallick: পরিচারককেও সম্পত্তি দান করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক! বানিয়েছিলেন ডিরেক্টরও, ইডির হাতে এল নতুন তথ্য
- Published by:Satabdi Adhikary
- Written by:Arpita Hazra
Last Updated:
ইডি সূত্রে খবর, গম থেকে আটা ভাঙিয়ে রেশন ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলারদের কাছে সরবরাহ করার সময় অনিয়ম করা হত৷ খুচরো আটা প্যাকেটজাত হয়ে বিক্রি হতো খোলা বাজারে৷ সেখান থেকে দুর্নীতির পথে আমদানি হত লক্ষ লক্ষ টাকা৷ পাশাপাশি, চালকল মালিকদের একটা বড় অংশ সরকারি সমবায় সমিতিগুলির সঙ্গে যোগসাজশ করে কৃষকদের থেকে ধান কেনার সময়েও বড়় ধরনের দুর্নীতি করত৷ লোপাট করা হত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও৷
কলকাতা: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে প্রায় সতের বছর ধরে কাজ করতেন৷ সেই পরিচারকেই নাতি তাঁর স্থাবর সম্পত্তি দান করেছিলেন মন্ত্রী৷ তদন্তে এবার এমনই তথ্য নাকি জানতে পেরেছে ইডি৷ প্রসঙ্গত, এর আগেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবেও নাম উঠে এসেছিল এই পরিচারকের৷ ইডি সূত্রের দাবি, গোয়েন্দাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এক মিল মালিক দাবি করেছেন, তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছিল ওই পরিচারককে দেওয়া সম্পত্তির দানপত্র৷ এমনকি, ওই মিল মালিক জ্যোতিপ্রিয়ের তিন শেল কোম্পানিতে ৫০ লক্ষ টাকা করে দিয়েছিলেন বলেও ওই সূত্রের দাবি৷ তবে, প্রশ্ন উঠছে, কেন হঠাৎ পরিচারককে সম্পত্তি দান করতে গিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়?
ওই মিল মালিকের মিলে তল্লাশি করে ভয়ঙ্কর সব তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি৷ সূত্রের খবর, ভুয়ো কৃষকদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও আত্মসাৎ করত এঁরা৷ এই দুর্নীতির কাজেও যুক্ত ছিলেন এই ব্যক্তি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘মহুয়া নিজের লড়াই নিজে লড়তে পারে’, ঘুষের বদলে প্রশ্ন কাণ্ডে অবশেষে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ইডি সূত্রে খবর, গম থেকে আটা ভাঙিয়ে রেশন ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলারদের কাছে সরবরাহ করার সময় অনিয়ম করা হত৷ খুচরো আটা প্যাকেটজাত হয়ে বিক্রি হতো খোলা বাজারে৷ সেখান থেকে দুর্নীতির পথে আমদানি হত লক্ষ লক্ষ টাকা৷ পাশাপাশি, চালকল মালিকদের একটা বড় অংশ সরকারি সমবায় সমিতিগুলির সঙ্গে যোগসাজশ করে কৃষকদের থেকে ধান কেনার সময়েও বড়় ধরনের দুর্নীতি করত৷ লোপাট করা হত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও৷
advertisement
advertisement
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সমবায় সমিতিগুলি সরাসরি কৃষকদের থেকে ধান কেনে এবং যাদের থেকে ধান কেনে সেই সব কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ধান কেনার পরিমাণ অনুযায়ী সরকারের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ টাকা জমা পড়ে। কিন্তু, বাকিবুর জেরায় স্বীকার করেছে, যে মিল মালিকদের একটা বড় অংশ গোপনে সরাসরি এজেন্ট মারফত কম দামে কৃষকদের থেকে ধান কিনে নিত। তারপর বিভিন্ন কৃষকদের নামে সেগুলি সমবায় সমিতিতে জমা করত।
advertisement
ধান জমা পরার পর মিল মালিকদের দেওয়া ভুয়ো কৃষকদের নাম এবং অ্যাকাউন্ট নম্বরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ টাকা জমা পড়ে যেত। সেইসব অ্যাকাউন্ট থেকে তারপরে হয় নগদ টাকা তুলে নেওয়া হত, নয়তো ওইসব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা মিল মালিকদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যেত।
advertisement
ARPITA HAZRA
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
West Bengal
First Published :
November 09, 2023 4:48 PM IST