Jadavpur University: পায়খানা-বাথরুমও পরিষ্কার করতে হত ফার্স্ট ইয়ারদের, চলত দাদাদের ‘দাদাগিরি’ অলিখিত পরম্পরা

Last Updated:

সূত্রের খবর, পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, হস্টেলের ‘দাদাদের’ এমন ‘দাদাগিরির’ কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাত ছিল না৷ কিন্তু, এ নিয়ে দীর্ঘসময় ধরেই তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি৷ মফস্সল থেকে আসা একটা সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা ছেলের মৃত্যু পরে ধীরে ধীরে আলোচনা হতে শুরু করল এই সব নিয়ে৷

কলকাতা: এ একপ্রকার অলিখিত নিয়ম৷ হস্টেলের ‘পরম্পরা’৷ কোনও এক সময় যখন ‘দাদারা’ ফার্স্ট ইয়ার ছিল, তারাও এসব করেছিল৷ তারপর, যখন ‘দাদাদের’ পরবর্তী জেনারেশন রেডি হয়েছে, তারা আবার সেই একই হুকুম খাটিয়েছে নতুন ‘ফার্স্ট ইয়ার’দের উপর৷ এটাই তো হয়, এটাই তো হয়ে আসছে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ছাত্র আবাসিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে অন্তত এমন কথাই জানতে পারছেন তদন্তকারীরা৷ আবাসিক ছাত্রেরা এমন সমস্ত ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিচ্ছেন, যা শুনলে যে কেউ আতঙ্কিত হবেন৷
প্রান্তিক এলাকা থেকে দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছেলেরাই একমাত্র এই মেন হস্টেলে থাকার অনুমতি পায় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে৷ বাকি, হস্টেলের দাদাদের হাজার টাকা বা সামান্য কিছু দিলেই গেস্ট হিসাবে থাকার সুযোগ মেলে৷ ঠিক যেমনটা হয়েছিল মৃত ছাত্রের ক্ষেত্রে৷ এই ধরনের ছাত্রেরা এক সিনিয়র দাদার গেস্ট হিসাবে হস্টেলে থাকতে পারে৷ হস্টেল ‘কালচার’ অনুযায়ী, সেই সিনিয়র দাদা তখন হয়ে যায় তার ‘হস্টেল বাপ’৷ অলিখিত প্রথা অনুযায়ী, নেশার উপাদান তৈরি করা থেকে শুরু করে, ‘হস্টেল বাপের’ বিছানার চা-দর বদলে দেওয়া, জল ভরে আনা এবং অন্যান্য ফাই ফরমাশ খাটতে হয় গেস্ট হয়ে আসা নবাগত ছাত্রকে৷ তেমনটাই জানতে পারা গিয়েছিল আবাসিকদের একাংশের বয়ানে৷
advertisement
আরও পড়ুন: গাড়ির মধ্যে রক্তের ছাপ! ‘ওঁরা বলেছিল, উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছে,’ বললেন সেই রাতের ট্যাক্সিচালক
এবার জানা গেল আরও নতুন কথা৷ শুধু ‘হস্টেল বাপ’ই নয়, গোটা হস্টেলের সিনিয়রদের জন্যেও খাটতে হত নাকি নবাগত ছাত্রদের৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে হস্টেলের বেশ কয়েকজন প্রথম বর্ষের আবাসিককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, সেই সময়েই হস্টেলের দাদাদের ‘দাদাগিরি’ নিয়ে মুখ খুলেছে বেশ কয়েকজন ছাত্র৷ কী বলেছে তাঁরা?
advertisement
advertisement
জানা গিয়েছে, প্রথম বর্ষে পড়াকালীন হস্টেল সিনিয়রদের উপস্থিতি ও অনুমতি ছাড়া বাড়িতে ফোন পর্যন্ত করতে পারত না ছাত্রেরা৷ তাছাড়া, জুনিয়রদের জন্য তৈরি হয়েছিল রস্টার৷ তাতে লেখা ছিল, কে কবে টয়লেট পরিষ্কার করবে, কোন দিন কোথায় কার ‘ডিউটি’ থাকবে৷
এছাড়াও, সিনিয়রদের ঘর গুছিয়ে দেওয়া, ঘর পরিষ্কার করে দেওয়া, বিছানায় চাদর পেতে দেওয়ার মতো কাজ তো থাকতই৷ এক একদিন প্রায় প্রত্যেক সিনিয়রের জলের বোতল ভরে দেওয়ার দায়িত্ব পড়ত কারও কারও উপর৷ তারপরে, রাত ৯টা বাজলেই আতঙ্ক৷ শুরু হত ‘ইন্ট্রো’ পর্ব৷ সূত্রের খবর, প্রতিটা সিনিয়রের ঘরে গিয়ে নিজেদের ‘ইন্ট্রো’ দিতে হত প্রথম বর্ষের পড়ুয়া আবাসিকদের৷ তাতে নিজের নাম ঠিকানা, স্কুল, প্রাপ্ত নম্বর তো বটেই, এমনকি, বাবা-মা সম্পর্কেও আপত্তিকর প্রশ্নের উত্তর দিতে হত৷ কোনও কোনও ছাত্রের ক্ষেত্রে আবার নিধান থাকত ‘বিবস্ত্র’ হয়ে ‘ইন্ট্রো’ দেওয়ার৷ প্রথম কয়েকমাস এই পর্ব চলার পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হত পরিস্থিতি৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘এটা লজ্জার!’, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের
সূত্রের খবর, পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, হস্টেলের ‘দাদাদের’ এমন ‘দাদাগিরির’ কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাত ছিল না৷ কিন্তু, এ নিয়ে দীর্ঘসময় ধরেই তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি৷ মফস্সল থেকে আসা একটা সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা ছেলের মৃত্যু পরে ধীরে ধীরে আলোচনা হতে শুরু করল এই সব নিয়ে৷
advertisement
গত ৯ অগাস্ট, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে নীচে পড়ে যায় বাংলা বিভাগের এক নবাগত ছাত্র৷ ছেলের মৃত্যুতে হস্টেলের সিনিয়র দাদাদের বিরুদ্ধে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ আনেন মৃত ছাত্রের বাবা৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী কমিটির রিপোর্টেও ব়্যাগিংয়ের তত্ত্ব উঠে এসেছে৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Jadavpur University: পায়খানা-বাথরুমও পরিষ্কার করতে হত ফার্স্ট ইয়ারদের, চলত দাদাদের ‘দাদাগিরি’ অলিখিত পরম্পরা
Next Article
advertisement
সকালে মা দরজা খুলতেই...বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
  • সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ

  • দেগঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘনাচ্ছে রহস‍্য।

  • পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মদ্যপানের আসরেই খুন করা হয়েছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement