Jadavpur University: গাড়ির মধ্যে রক্তের ছাপ! ‘ওঁরা বলেছিল, উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছে,’ বললেন সেই রাতের ট্যাক্সিচালক

Last Updated:

এদিন হলুদ ট্যাক্সিটিরও ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়। গোটা ট্যাক্সি থেকে তো বটেই, বিশেষ করে ট্যাক্সির পিছনের সিট থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক টিম। গাড়ির মধ্যে যেসব জায়গায় রক্তের দাগ ছিল, সেই সব জায়গায় থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঘটনার দিন ওই ছাত্রকে কীভাবে, কোন দিকে মাথা করে শুইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়ে ধারণা করতে চান তদন্তকারীরা। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ট্যাক্সিটি একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

কলকাতা: ঘটনার দিন থেকে ট্যাক্সির মধ্যেই পড়েছিল রক্তমাখা চাদরটি! সেই রক্তমাখা চাদর বাজেয়াপ্ত করলেন তদন্তকারীরা৷ গত ৯ অগাস্ট রাতে এই হলুদ ট্যাক্সি করেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গুরুতর আহত ওই ছাত্রকে৷ ভোরবেলা সেখানেই মৃত্যু হয় তার৷ যাদবপুরে নবাগত ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য৷ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে চার প্রাক্তনী এবং পাঁচ বর্তমান ছাত্রকে৷ নজরে আরও ৭-৮ জন৷ ঘটনার দিন যে হলুদ ট্যাক্সি করে আহত ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, গতকালই তার চালক তুলসী দাসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তদন্তকারীরা৷ শুক্রবারও ট্যাক্সি থেকে নমুনা সংগ্রহ করাকালীন তিনি উপস্থিত ছিলেন৷
জানা গিয়েছে, ঘটনার পর পরই ওইদিন একটি অ্যাম্বুল্যান্স, একটি অটো এবং একটি ট্যাক্সিকে ডেকেছিল হস্টেল ছাত্রদের একাংশ৷ ট্যাক্সিটি আগে আসায় সেটি করেই ওই ছাত্রকে নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ঘটনায় ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী সহ কয়েকজন সেই সময় গাড়িতে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷
আরও পড়ুন: ‘এটা লজ্জার!’, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের
ট্যাক্সি চালক তুলসী যাদবের দাবি, “ঘটনার দিন হস্টেল থেকে বেরিয়ে পড়ুয়ারা বলেছিল আমাকে উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছে, গাড়ি ঘোরাও, তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলো। আমার ট্যাক্সির মধ্যে বিছানার চাদর ছিল। যার উপর ওই আহত ছাত্রকে শুইয়ে গামছা জড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। মাথায় কাপড় জড়ানো ছিল৷” উনি জানান, কিছু ছাত্র দৌড়ে এসে কোলে করে ওই ছাত্রকে গাড়ির পিছনের সিটে তোলে৷ তারপর তিন চারজন সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে যায়৷ তারপর সেখানে ভাড়া মিটিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷
advertisement
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, ট্যাক্সিতে ওই  চাদরের উপর শুইয়ে রেখেই ওই ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেই কারণে, বিছানার চাদর থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে মৃত ছাত্রের রক্তের নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি সায়েন্টিফিক ইনভেস্টিগেশন জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, এদিন হলুদ ট্যাক্সিটিরও ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়। গোটা ট্যাক্সি থেকে তো বটেই, বিশেষ করে ট্যাক্সির পিছনের সিট থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক টিম। গাড়ির মধ্যে যেসব জায়গায় রক্তের দাগ ছিল, সেই সব জায়গায় থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঘটনার দিন ওই ছাত্রকে কীভাবে, কোন দিকে মাথা করে শুইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়ে ধারণা করতে চান তদন্তকারীরা। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ট্যাক্সিটি একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: রুম নম্বর ১০৪! যাবতীয় রহস্য লুকিয়ে এই একটা মাত্র ঘরে, সপ্তককে নিয়ে গোটাটাই ঘুরে দেখল পুলিশ
জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক টিম ট্যাক্সি থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার পরে রিপোর্ট দেবে কলকাতা পুলিশকে। তখনই বোঝা যাবে কীভাবে ওই ছাত্রকে ট্যাক্সিতে তোলা হয়েছিল? কোন দিকে মাথা ছিল? কীভাবে তারা হস্টেল থেকে হাসপাতালে পৌঁছল? এ সমস্ত কিছু নিয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে একটা ধারণা পাবেন তদন্তকারীরা।
advertisement
শুক্রবার ধৃত ৯ জনের মধ্যে সপ্তক কামিল্যাকে নিয়ে ঘটনার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করে যাদবপুর থানার পুলিশ। সঙ্গে ছিলেন ডিসি যাদবপুর। কীভাবে ওই রাতে ঘটনা ঘটল? ১০৪ নম্বর রুমের মধ্যে কী ঘটেছিল? কোন কোন ঘরে ওই ছাত্রকে দিয়ে ‘ইন্ট্রো’ দেওয়ানো হয়েছিল সেসব বিষয়ে এদিন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Jadavpur University: গাড়ির মধ্যে রক্তের ছাপ! ‘ওঁরা বলেছিল, উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছে,’ বললেন সেই রাতের ট্যাক্সিচালক
Next Article
advertisement
সকালে মা দরজা খুলতেই...বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
  • সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ

  • দেগঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘনাচ্ছে রহস‍্য।

  • পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মদ্যপানের আসরেই খুন করা হয়েছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement