#কলকাতা: দুর্গা পিতুরি লেনের পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে সমীক্ষার কাজ শুরু হল মঙ্গলবার থেকে। হিমাদ্রি গুহর নেতৃত্বে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল এ দিন সমীক্ষার কাজ শুরু করেন। ওই এলাকার ১৫, ১৬ এবং ১৯ এই তিনটি বাড়িকে কেন্দ্র করে সমীক্ষা করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা পুরসভার কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে। এরপরে চলবে বাকি সমীক্ষার কাজ।
বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য হিমাদ্রি গুহ বলেন, "আজ থেকে সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে। ১৫, ১৬ ও ১৯ নম্বরের তিনটি বাড়ি সার্ভে করেছি। এখান থেকে একটি বৈজ্ঞানিক ধ্যনধারনা তৈরি হয়েছে। সোজা করে বলতে গেলে, মাটির নিচ থেকে জল উঠেছে। আর জল ওঠার ফলে মাটি বসে গিয়েছে। তার জেরেই বাড়ি হেলে গিয়েছে। তবে সেটা পুরোটা নয়। কেক যেমন কাটা হয় খানিকটা সেই রকমই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেছে। হাফ থেকে এক ইঞ্চি হেলে গিয়েছে বাড়িগুলি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরসভাকে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। তবে তাড়াতাড়ি সবকিছু বোঝা যাবে না। জটিল কাজ। পাঁচজনের টিম কাজ করছে। কাল আবার অন্য দল আসবে।"
আরও পড়ুন: 'সাজানো বাগান শুকিয়ে গেল', ১৬/১ দুর্গা পিতুরির বাসিন্দা আশিষের আফশোস
সোমবারও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যান। বিশেষজ্ঞ দল চলে যাওয়ার পর ১৯ নম্বর বাড়িটিতে সাপোর্টিংয়ের কাজ শুরু করে কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। এ দিনও দুর্গা পিতুরি লেনে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। নিজেদের অবশিষ্ট জিনিস উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সব উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও যতটুকু পারা যায় নিয়ে যান অনেকেই। ইতিমধ্যেই ১৬/১ নম্বর বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৬ নম্বর বাড়িটি ভাঙার কথা থাকলেও বাড়ি মালিকের অনুমতি না পাওয়ায় সেটা ভাঙার কাজে হাত দেওয়া যায়নি। ১৫ নম্বর ও ১৯ নম্বর বাড়িটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে পুরো এলাকার কী পরিস্থিতি রয়েছে তা জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
UJJAL ROY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।