কলকাতা: বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মরশুম পরিবর্তনের সময় জলবাহিত পেটের রোগের রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হয় প্রতি বছর।যদিও মানুষ পানীয় জল নিয়ে আগের থেকে অনেকটা সচেতন। তবুও বেশকিছু মানুষ সাধারণ জল দিয়েই তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কলকাতা শহরে কিংবা শহরতলিতে, রেলস্টেশন থেকে আরম্ভ করে শহরের বিভিন্ন মোড়ে লেবুজল বিক্রি হয়।গ্রীষ্মে তৃষ্ণার্ত মানুষেরা সূর্যের দাবদাহে শরীর ঠান্ডা করবার জন্য,একটু বরফ দিয়ে লেবু জল পান করেন।
কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি? এই জল পান করার ফলে কী ক্ষতি হয়? যে জল ব্যবহার করা হয়,সেই জল সাধারণ নলের জল। এর আগেও নানা গবেষণায় বেরিয়েছে,এই জল মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ওই জলে যে বরফ ব্যবহার করা হয়, সেই বরফ অতি নিম্নমানের সাধারণ জল থেকে তৈরি। যার মধ্যে নানা ধরনের ক্ষতিকারক খনিজ থেকে আরম্ভ করে অপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন : দেশের সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গদাতা! বাবাকে নিজের লিভারের একাংশ দান করে নজির কিশোরীর
তাছাড়া যখন লেবুজল প্রস্তুত করে,তখন দেখবেন একটি বোতলে গোলানো থাকে মিষ্টি জল।সেটিই শরবতে মেশায়।আসলে ওটি স্যাকারিন মেশানো জল। অতিরিক্ত স্যাকারিন স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর।এই জল নিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ নানা সময় অভিযান চালালেও,এখনও পর্যন্ত এই জলের ব্যবসা বন্ধ হয়নি। প্রতিদিন শুধু কলকাতাতে এই ধরনের জল পান করেন কয়েক লক্ষ মানুষ।
আরও পড়ুন : বড়িশায় ৪০০ বছরের প্রাচীন জোড়া শিবমন্দিরের সংস্কার করল কলকাতা পুরসভা, শিবরাত্রিতে ফের ভক্ত সমাগম
স্বাস্থ্য দফতর এখনও পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে চুপ রয়েছে। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালযয়ের অধ্যাপক গবেষক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, " এই ধরনের লেবু জলের সঙ্গে স্যাকারিন মিশিয়ে পান করলে মানবস্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতির সম্ভাবনা। স্যাকারিন খুব অল্প পরিমাণে মানুষের দেহে প্রবেশ করলে,ক্ষতি হয় না। তবে যারা মেশাচ্ছে, তারা পরিমাণ জানে না। অনেকটা বেশি পরিমাণে মিশে যাওয়ার ফলে মানব স্বাস্থ্য বিপর্যস্ত হচ্ছে। তাছাড়া মাছের বরফে ভারী মেটাল,ইকোলাই,কলিফর্ম থাকতে পারে।যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি পেটের রোগের সম্ভাবনা থাকে। এই ধরনের বিষয়ে সাধারণ মানুষের সজাগ হওয়া প্রয়োজন।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Lemon water, Summer