‘সংবিধানকে সবাই সম্মান করবে, এটাই আমার আশা’, হুবহু বাজেট ভাষণ পাঠের পর ট্যুইটে খোঁচা রাজ্যপালের

Last Updated:

গর্জন হয়েছে বিস্তর। কিন্তু বর্ষণ বেবাক শূন্য। বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণই হুবহু পড়লেন রাজ্যপাল

#কলকাতা: গর্জন হয়েছে বিস্তর। কিন্তু বর্ষণ বেবাক শূন্য। বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণই হুবহু পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ভাষণ শেষে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন স্পিকারের ঘরেও। বিধানসভা ছাড়ার পর অবশ্য ট্যুইটারে খোঁচা রাজ্যপালের।
গর্জন বিস্তর, বর্ষণ নেই! সরকারি ভাষ্যেই ‘বন্দি’ রাজ্যপাল ৷ ভাষণ শেষ। এগিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। তারপর মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই প্রথা ভেঙে স্পিকারের ঘরে ঢুকলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।  রাজ্যপাল প্রথা ভাঙায় কিন্তু কোনও অস্বস্তি নেই। রাজ্যপাল অন্য প্রথা ভাঙবেন আশঙ্কায় টানটান উত্তেজনা ছিল গত কয়েক দিন ধরে। শুক্রবার বিধানসভায় যাওয়ার আগেও সেই সাসপেন্স রেখে দিলেন রাজ্যপাল।
advertisement
বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয় রাজ্যপালের ভাষণে। এটাই রীতি। রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণই পড়েন রাজ্যপাল। সেটাও রীতি। এবার জেট অধিবেশনের আগে সেই রীতি নিয়েই ছিল টানাপোড়েন। সরকারি ভাষণের বাইরে নিজের মতও বলতে পারেন, বহুবার সে ইঙ্গিত দেন রাজ্যপাল। যুদ্ধংদেহী মেজাজে রাজ্য সরকারও। শুক্রবার দুটোর আগেই বিধানসভায় পৌঁছন রাজ্যপাল। অভ্যর্থনা করলেন স্পিকার ও মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই বক্তৃতা শুরু করলেন রাজ্যপাল।
advertisement
advertisement
বহুবার প্রকাশ্যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমালোচনায় সরব রাজ্যপাল বিধানসভায় পড়লেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বিগত বছরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ছিল। পশ্চিমবঙ্গের কোথাও কোনও গুরুতর অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।’
জগদীপ ধনখড় পড়লেন, এই মুহূর্তে আমাদের দেশ একটি সঙ্কটজনক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছে। ভুল তথ্য প্রচারই আজ নতুন কায়দা এবং দেশপ্রেমের নামে সমস্ত ভিন্নমতকে প্রত্যাখ্যান করাই এখন নতুন ফ্যাশন। শতাব্দী প্রাচীন ধর্মীয় বহুত্ববাদের ঐতিহ্য আজ গণতন্ত্রের মুখোশধারী গরিষ্ঠতাবাদের স্বৈরাচারের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
advertisement
রাজ্য বিধানসভা সিএএ বিরোধী প্রস্তাব নেওয়ায় প্রকাশ্যেই আপত্তি জানিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। শুক্রবার তিনিই পড়লেন, ‘রাজ্য সরকার জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধ, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি অথবা ২০১৯ এর নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের নামে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টির তীব্র বিরোধিতা করছে। এই রাজ্যে যাতে কোনও ভাবেই এনআরসি চালু না করা হয় সেই মর্মে বিধানসভা ৬.০৯.২০১৯ তারিখে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ২৭.০১.২০২০ তারিখে ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। রাজ্য সরকার ছাড়াও এনআরসি প্রক্রিয়া কার্যকর না করার এবং এনপিআর প্রক্রিয়া অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছি।’
advertisement
ঘণ্টাখানেকের বক্তৃতা। হুবহু সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণ। নিজের কোনও মত যোগ করলেন না রাজ্যপাল। মধুরেন সমাপয়েৎ। তারপর স্পিকারের ঘরেও ফিল গুড মেজাজ।  বিধানসভা ছাড়ার পর অবশ্য ট্যুইটারে খোঁচা রাজ্যপালের। লেখেন, ‘সংবিধান মেনে ভাষণ দিয়েছি ৷ সংবিধানের ঐতিহ্য মেনেছি ৷ সংবিধানকে সবাই সম্মান করবে ৷ সবার কাছে এটাই আমার আশা ৷ সংবিধান মানাই একমাত্র পথ ৷ তাহলেই গণতন্ত্রের মূল্যবোধ বাড়ে ৷’ সত্যি কি শুক্রবার বিধানসভায় যুদ্ধশেষের বার্তা দিলেন রাজ্যপাল? নাকি কৌশলী চাল?
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
‘সংবিধানকে সবাই সম্মান করবে, এটাই আমার আশা’, হুবহু বাজেট ভাষণ পাঠের পর ট্যুইটে খোঁচা রাজ্যপালের
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement