কলকাতা : রাজভবনে হাতে খড়ি অনুষ্ঠান। তাও খোদ রাজ্যপালের। আর তাই নিয়েই সকাল থেকে সাজ সাজ রব রাজভবনের অলিন্দে। পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সরস্বতী বন্দনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এদিনের অনুষ্ঠান। এরপরেই রীতি মেনে অবশেষে হাতেখড়ি হয়ে গেল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের৷ এদিন বাংলার রাজনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতেই হল রাজভবনে রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই, তিথি অনুযায়ী সরস্বতী পুজো পড়েছে এই বছর। অন্যান্য বছর নিয়ম করেই প্রজাতন্ত্র দিবসের বিকেলেই চা-চক্রের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজভবন। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি, হাজির থাকেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ। কার্যত একটা ঘরোয়া আলাপচারিতার জায়গা হয়ে ওঠে সেটি। এদিনও সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিকেল ৩ঃ৪৭ মিনিট নাগাদ রাজভবনে এসে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একে একে হাজির হন আমন্ত্রিত সদস্যরা। কখনও বিমান বসুকে পিছনের সারি থেকে সামনের সারিতে এসে বসার অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী। কখনও আবার সচিব ও রাজনৈতিক সতীর্থদের সাথে মুখ্যমন্ত্রী আলাপ করিয়ে দেন রাজ্যপালের। ঘরোয়া পরিবেশে সৌজন্যের ছবি ধরা পড়ল রাজভবনের অন্দরমহলে।
দিয়াসিনীর হাত ধরে রাজ্যপাল শ্লেটে গোটা গোটা অক্ষরে লিখলেন বাংলার স্বরবর্ণ 'অ' ও 'আ'। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল গুরুদক্ষিণাও দেন তাঁর শিক্ষাগুরুকে। রাজ্যপাল বক্তব্য রাখেন বাংলাতেই। বলেন, 'আমি বাংলা শিখব। বাংলা সুন্দর ভাষা।আমি বাংলাকে ভালোবাসি। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের মুখে জয় বাংলা ধ্বনিও শোনা যায়। রাজ্যপালের মুখে শোনা যায়, 'জয় বাংলা, জয় নায়ক'।
এদিন পরিবার নিয়েই আমন্ত্রিতদের অভিবাদন জানান রাজ্যপাল। দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি। বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা সংগ্রামে লড়াইয়ে বাংলার অবদানের কথা বারবার তুলে এনেছেন সকলের সামনে। যদিও রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও আসেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়ক, ট্যুইট করে শুধু রাজভবনে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে না-থাকার কথাই জানাননি, তার পেছনে থাকা একগুচ্ছ কারণও ব্যাখ্যা করেছেন সবিস্তারে।
আরও পড়ুন: বিধায়কের সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, 'আদি-নব্য' লড়াই ঘিরে উত্তেজনা
ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার এবং রাজভবনের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করছেন রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁর মাধ্যমেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের অফিসকে তাঁদের নোংরা রাজনৈতিক খেলায় ব্যবহার করতে চাইছে। যা রাজ্যের আরও খারাপ করছে বলেই মত শুভেন্দুর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: CV Ananda Bose, Governor