রাজ্য সরকারি পরিকাঠামোতে প্রথম জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবের উদ্বোধন হল স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- Written by:Onkar Sarkar
Last Updated:
এতদিন জিনোম সিকোয়েন্স-এর জন্য ভরসা ছিল শুধুমাত্র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরলজি অথবা কেন্দ্রীয় সরকারের কল্যাণী জিনোম সিকুয়েন্স ল্যাব।
ওঙ্কার সরকার, কলকাতা: রাজ্য সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রথম জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাব উদ্বোধন হল স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। এতদিন জিনোম সিকোয়েন্স-এর জন্য ভরসা ছিল শুধুমাত্র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরলজি অথবা কেন্দ্রীয় সরকারের কল্যাণী জিনোম সিকুয়েন্স ল্যাব। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই ল্যাবের পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, নয়া ল্যাবরেটরিটি পুরোদমে কাজ শুরু করলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলির জন্য আর শুধুমাত্র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি বা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত কল্যাণী জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবের নির্ভর করতে হবে না ৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধান্ত নিয়োগীর উপস্থিতিতে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এই গবেষণাগারের উদ্বোধন করা হয় ৷
advertisement
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের নিজস্ব কোনও জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরি ছিল না ৷ উল্লেখ্য, যেকোনও জীবের বংশগতি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমেই জানা যায় ৷ ডিএনএ এবং রক্তজনিত বিভিন্ন অসুখ নির্ণয় করা জন্যও এই পরীক্ষা করা হয় ৷ করোনাকালে এর চাহিদা ছিল ব্যাপক ৷ বিশেষ করে ওমিক্রনের সময় চিকিৎসকরা জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার উপর জোর দেন ৷ সেই সময় পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে অনেক সময় লেগে যেত ৷ আশা করা হচ্ছে, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে নয়া জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরি খোলায় এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই মিটবে ৷
advertisement
advertisement
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা অ্যাডভান্সড ল্যাবে হয় ৷ আমাদের এখানে সেই ল্যাবেরই উদ্বোধন করা হল ৷ কল্যাণীতে এই পরিকাঠামো রয়েছে ৷ তবে সেটি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন ৷ রাজ্য সরকারের অধীনে এই ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম ৷’’
advertisement
আপাতত এখানে যে পরিকাঠামো রয়েছে, তাতে একদিনে সর্বাধিক চারজনের জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করানো যাবে ৷ কিন্তু, এখনই সাধারণ মানুষ এই পরিষেবা পাবেন না ৷ আপাতত 'ট্রায়াল' হিসাবে পরপর ১০০ থেকে ১৫০ জনের জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করানো হবে ৷ তারপর সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে পুণের ন্যাশনাল ভাইরোলজিতে ৷ তারা সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সবুজ সংকেত দিলেই তার ভিত্তিতে অনুমোদন দেবে ইনসাকগ ৷ আর তারপরই আমজনতা এই পরিষেবার সুবিধা নিতে পারবেন ৷ নিয়ম অনুসারে, পরীক্ষার সাতদিন পরই পাওয়া যাবে রিপোর্ট ৷
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
December 16, 2022 6:47 AM IST