হোম /খবর /কলকাতা /
চিকিৎসকদেরও গ্রাস করছে মনের রোগ! গল্প এবার সিনেমার পর্দায়

চিকিৎসকদেরও গ্রাস করছে মনের রোগ! গল্প এবার সিনেমার পর্দায়

প্রতীকী ছবি৷

প্রতীকী ছবি৷

সোমবার সেই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটির ট্রেলার মুক্তি পেল সিনেমাটির প্রযোজক সংস্থা, চিকিৎসক সংগঠন 'প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়র্স'-এর ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে।

  • Share this:

কলকাতা: সিনেমায় মনোরোগ নিয়ে বিভিন্ন দৃশ্য  দেখা গিয়েছে। তবে এবার খোদ চিকিৎসকরাই বানালেন মনরোগের চিকিৎসা। সারা দুনিয়ায় মানসিক সমস্যা প্রায় মহামারির আকার নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন সমস্যার শিকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। তবে চিকিৎসকরা নিজেরাও যে একই সমস্যার শিকার।

আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো তাঁদেরও অনেকে ভেঙে পড়েন, জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচতে চান, কেউ বা বেছে নেন আত্মহননের পথ। অন্যের রোগমুক্তির নিদান দিতে গিয়ে কখনও বা নিজেই জড়িয়ে যান রোগপাশে। এ সবের কথাই উঠে এল সেলুলয়েডে। সিনেমার নাম 'সীমানা দ্য এজ' যা আদতে চিকিৎসকদের না বলা কথামালা। ডাক্তারদের মনের গহনে লুকিয়ে থাকা অনুভূতির জীবন্ত দলিলও বটে। খাদের কিনারা থেকে প্রত্যাবর্তনের কাহিনিও।

আরও পড়ুন: শুধু স্ত্রী নন, পরিবারের ১৩ জনের সরকারি চাকরি, সুজনকে নিয়ে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ

সোমবার সেই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটির ট্রেলার মুক্তি পেল সিনেমাটির প্রযোজক সংস্থা, চিকিৎসক সংগঠন 'প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়র্স'-এর ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে। অভিনয় থেকে শুরু করে সঙ্গীত পরিচালনা, সম্পাদনা, গল্প, চিত্রনাট্য, পরিচালনা, প্রযোজনা— সবের নেপথ্যেই কলকাতার স্বনামধন্য চিকিৎসকরা। এপ্রিলে ছবিটি মুক্তি পাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।

আরও পড়ুন: সবজি আসছে কলকাতায়, ট্রেনেই মেশানো হচ্ছে 'স্লো-পয়জন'! ঘটনা জানলে খাবার ইচ্ছে চলে যাবে

ছবির পরিচালক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায়ের জানান, “দিনের পর দিন অনেক ছাত্রছাত্রী, উঠতি মডেল, অভিনেতা এবং নানা পেশার লোকজনের মধ্য আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই তালিকায় রয়েছেন প্রচুর ডাক্তার এবং ডাক্তারি পড়ুয়াও। এর কারণ হল অবসাদ, যা জাঁকিয়ে বসেছে আধুনিক যান্ত্রিক জীবনযাত্রার কারণে। তাই আমরা ইতিবাচক বার্তা দিতে চেয়েছি।"

স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটি পরিবেশন করেছেন প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়র্সের যুগ্ম সম্পাদক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দোলুই ও ইএনটি বিশেষজ্ঞ অভীক ঘোষ। অভীক বাবু বলেন, 'চিকিৎসক- রোগী সম্পর্ক নিয়ে আমরা গত বছরেও একটি সিনেমা করেছিলাম। এবার চিকিৎসকদের মানসিক টানাপড়েন নিয়েও ছবি করলাম। এই সমস্যাগুলো চিকিৎসকরাই সবচেয়ে ভাল বোঝেন। ফলে সকলের কাজও হয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত ও সাবলীল। অনির্বাণ জানান, 'ছবিটির বিষয়ভাবনা মূলত মানসিক সমস্যাকে লক্ষ্য করেই এগিয়েছে। ছবিটির নেপথ্যে রয়েছেন অন্তত ৪০ জন চিকিৎসক।'

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Depression, Doctors